ঈদের রাতে আতশবাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের পাগলাদাহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত অনিক হাসান (২২) পাগলাদাহ গ্রামের হৃদয় হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো চারজন। এর মধ্যে, গুরুতর আহতাবস্থায় একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহতরা হলেন- একই এলাকার বহর আলীর ছেলে আরিফ হোসেন (১৭), লুৎফর মোল্লা ছেলে রিপন হোসেন (৪০), তার ছেলে আপন (১৭) ও সাইদ হোসেনের ছেলে শামীম হোসেন (১৭)।

যশোর কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাসনাত বলেন, ‘‘সোমবার সন্ধ্যায় পাগলাদহ এলাকায় শিশুরা আতশবাজি ফোটাচ্ছিল। এসময় এক শিশুর শরীরে বাজি পড়াকে কেন্দ্র করে বিবাদে জড়ায় দুই পক্ষ। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারামারি হয়। এতে পাঁচজন আহত হন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনিক হাসান মারা যান। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শ্বাসনালিতে আতশবাজির আগুন, মুহূর্তে প্রাণ গেল শিশুর

পটুয়াখালীতে শ্বাসনালিতে আতশবাজি ঢুকে মোহাম্মদ রাফি (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পৃথক ঘটনায় আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে আহত হয়েছেন আরো দুজন।  

শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে জেলা শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাফি পৌর নিউ মার্কেটের মাছ ব্যবসায়ী মানির হাওলাদারের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনায় পরিবারসহ এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে। 

এ ছাড়াও রাত সাড়ে নয়টার দিকে আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে মো. বেলাল তালুকদার (১৬) এবং তার চাচাতো ভাই মো. রাব্বি (১৫) আহত হয়েছেন। দুজনের বাড়ি সদর উপজেলার হকতুল্লা গ্রামে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরিবারের বাধা সত্ত্বেও রাফি গতকাল রাতে বন্ধুর সঙ্গে স্থানীয় বাজারে আতশবাজি ফোটাতে যায়। এ সময় আতশবাজির একটি অংশ রাফির শ্বাসনালিতে ঢুকে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফিকে মৃত ঘোষণা করেন।

রা‌ফির মামা মো. বশার মিয়া জানান, মাগ‌রিবের নামাজের পরে রাফিকে আতশবা‌জি ফোটাতে নিষেধ করে তি‌নি বাজারে চলে যান। রাত ৮টার দিকে খবর পান আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে  রা‌ফি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। 

রাফির বাবা মো. মনির হোসেন বলেন, ‘‘আমার ছেলে ঈদের আনন্দ করছিল, কে জানত এই আনন্দই তার জীবনের শেষ মুহূর্ত হবে!’’

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘এ ধরনের দুর্ঘটনা খুবই দুঃখজনক। অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে। অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’’

ইমরান//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ১৮
  • গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ১৮
  • পশ্চিমবঙ্গ-গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ২১
  • গণপিটুনিতে দুই ভাই নিহত, আহত মা-বাবা
  • নরসিংদীতে ৪ জনকে কুপিয়ে জখম, একজনকে জবাই করার চেষ্টা 
  • পশ্চিমবঙ্গে আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণ, শিশুসহ নিহত ৭
  • আতশবাজির সময় বিস্ফোরণে শিশুর মৃত্যু, দুজনের হাত-চোখ ক্ষতিগ্রস্ত
  • আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু, দুই কিশোরের হাত-চোখ ক্ষতিগ্রস্ত
  • শ্বাসনালিতে আতশবাজির আগুন, মুহূর্তে প্রাণ গেল শিশুর