Risingbd:
2025-04-02@17:18:24 GMT

প্রাক্তনদের নিয়ে আমিরের ঈদ

Published: 1st, April 2025 GMT

প্রাক্তনদের নিয়ে আমিরের ঈদ

পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে, মাথায় মাথা ঠেকিয়ে ফ্রেমবন্দি হয়েছেন রিনা দত্ত ও কিরণ রাও। তারা দুজনেই আমির খানের প্রাক্তন স্ত্রী। “সতিন মানেই শত্রু”— প্রচলিত এ কথা যেন ঈদুল ফিতরে ভুল প্রমাণ করলেন তারা!

পরিচালক কিরণ রাও তার প্রাক্তন স্বামী আমির খানের পরিবারের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন। তার বেশকিছু ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। যার মধ্যে আমিরের প্রথম প্রাক্তন স্ত্রী রিনা দত্তের সঙ্গে একটি সেলফিও রয়েছে। তাতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। যদিও সেখানে আমির খানকে দেখা যায়নি।

একটি ছবিতে আমিরের মা জিনাত হোসেন নীল স্যুট পরে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন। এরপর কিরণ রাও, রিনা দত্ত, আমিরের দুই বোন নিখাত, ফারহাতের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য পোজ দিয়েছেন। কিরণ রাও হলুদ রঙের স্যুট পরেন, রিনা দত্ত পরেছিলেন বেগুনি রঙের শারারা ড্রেস। তারা সকলেই হাসি মুখে ক্যামেরায় পোজ দেন।

আরো পড়ুন:

কত টাকা আয় করল সালমান-রাশমিকার সিনেমা?

বুলেট প্রুফ গ্লাসের ওপার থেকে দেখা দিলেন সালমান

আরেকটি ছবিতে আমির খান ও কিরণের ছেলে আজাদ রাও খানকে মধ্যাহ্নভোজের জন্য সবার সঙ্গে টেবিলে বসে থাকতে দেখা যায়। অভিনেতার মেয়ে ইরা খান, তার স্বামী নূপুর শিখরে এবং তার মা প্রীতম শিখরেও আমিরের বাড়িতে আয়োজিত ঈদ উদযাপনে অংশ নেন।

ঈদুল ফিতরের দিন আমির খান তার ছেলে জুনাইদ ও আজাদকে সঙ্গে নিয়ে ভক্ত-অনুরাগী, সংবাদমাধ্যমকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে বাড়ির বাইরে বের হন। তারা তিনজনই সাদা রঙের কুর্তা পরেছিলেন। ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর পর সকলের মাঝে কাজু কাটলি বিতরণ করেন আমির খান।

ব্যক্তিগত জীবনে ভালোবেসে অভিনেত্রী রিনা দত্তর সঙ্গে প্রথমবার সংসার বাঁধেন আমির খান। ১৯৮৬ সালে কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় ম্যারেজ রেজিস্টার অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন রিনা ও আমির। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই সন্তান— জুনাইদ ও ইরা। ২০০২ সালে এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

রিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কিরণ রাওয়ের সঙ্গে আমিরের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এই অভিনেতার ‘লগান’ সিনেমার সেটেই তাদের পরিচয় হয়। এক সময় বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং ২০০৫ সালে এই জুটির বিয়ে হয়। এ সংসারে আজাদ রাও খান নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। ২০২১ সালের ৩ জুলাই যৌথ বিবৃতিতে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন এই যুগল।

দ্বিতীয় সংসার ভাঙার পর বেশ কিছুদিন সিঙ্গেল জীবনযাপন করার পর গৌরি স্পাট নামে বেঙ্গালুরুর এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান আমির খান। কিছুদিন আগে সকলের সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়েছেন ‘দঙ্গল’ তারকা। তবে ঈদুল ফিতরের দিনে গৌরিকে সেখানে দেখা যায়নি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম র খ ন ন আম র খ ন আম র র

এছাড়াও পড়ুন:

এক দুর্ঘটনায় নিঃস্ব দুই পরিবার 

আনন্দ বিষাদে পরিণত হলো চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়ায়। ছুটি কাটাতে একই মাইক্রোবাসে দুটি পরিবারের সদস্যরা যাচ্ছিলেন পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। তবে যাওয়া আর হলো না, মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল সব। 

বুধবারের সকালের স্নিগ্ধ আলো ফোটার সময় চট্টগ্রামগামী রিলাক্স পরিবহনের বাসের সঙ্গে কক্সবাজারমুখী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ভয়াবহ সংঘর্ষ কেড়ে নেয় মাইক্রোবাসের দশজনের প্রাণ। স্বপ্নগুলো মুহূর্তেই দুমড়ে-মুচড়ে মিশে গেল গাড়ির ধ্বংসস্তূপের সঙ্গে। 

দুর্ঘটনার পর আহত ছয়জনকে দ্রুত উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাণ হারায় আরও একজন। বাকী ৫ জনকে পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু নিষ্ঠুর নিয়তি সেখানেও হানা দেয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বিছানায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আরও ২ জন।

হাসপাতালের বিছানায় বাকী তিনজন লড়ছেন জীবনের জন্য। দুটো পরিবার শূন্য হয়ে দশটি জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটল এই একটি দুর্ঘটনায়।

নিহত ১০ জনের পরিচয় নিশ্চিত করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম হাইওয়ে পুলিশ। নিহতরা হলেন, ঝিনাইদহের শৈলকুপা এলাকার দুলাল বিশ্বাসের ছেলে দিলীপ বিশ্বাস (৪৩), দিলীপ বিশ্বাসের স্ত্রী সাধনা মন্ডল (৩৭), দিলীপের শ্বশুর আশীষ মন্ডল (৫০), ঢাকার মিরপুরের আব্দুল জব্বারের ছেলে রফিকুল ইসলাম শামীম (৪৬), রফিকুল ইসলামের স্ত্রী লুৎফুন নাহার সুমি (৩৫), বড় মেয়ে আনিসা (১৬), ছোট মেয়ে লিয়ানা (০৮), মৃত রফিকুল ইসলামের ভাগনি তানিফা ইয়াসমিন (১৬), মামা মুক্তার হোসেন (৬০) ও মাইক্রোবাস চালক ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকার কালা মিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ আলী (৫৫)।

১৮ বছর বয়সী তরুণ দুর্জয় মণ্ডল ও প্রেমা এবং ৭ বছর বয়সী আরধ্যা বিশ্বাস মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে চমেক হাসপাতালে। তারা এখনও জানে না তাদের প্রিয়জন আজ কোন নিষ্ঠুর পরিণতির শিকার হয়েছেন।

লোহাগাড়ার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকাটি যেন এক মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। ঠিক ঈদের দিন সকালেই একই এলাকায় দুর্ঘটনায় ঝরেছিল পাঁচটি তাজা প্রাণ। পরের দিন মঙ্গলবার কাছাকাছি স্থানে দুটি মাইক্রোবাস উল্টে আহত হয়েছিলেন অন্তত আটজন। আর বুধবারের এই দুর্ঘটনায় দশজনের মৃত্যু পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ