অতিথিপরায়ণ সাহাবি উম্মু শুরাইক (রা.)
Published: 1st, April 2025 GMT
অনেক নারী আছেন অতিথি আপ্যায়ন করতে খুব পছন্দ করেন। বাসায় মেহমান আসলে মেহমানের জন্য রান্না করতে তাদের ভালো লাগে। ঘরে ভালো কিছু রান্না হলে পাশের ঘরের প্রতিবেশীর সঙ্গে সেই খাবার ভাগাভাগি না করে খেতে পারেন না। সাহাবিদের মধ্যে তেমন একজন নারী ছিলেন উম্মু শুরাইক (রা.), যার বাড়িতে সব সময়ই মেহমান থাকত। তাঁর বাড়িটি ছিল অনেকটা ‘অতিথি হাউজ’ বা মেহমানখানার মতো।
উম্মু শুরাইক (রা.
তিনি মক্কার নারীদের মধ্যে ইসলামের দাওয়াত দিতেন, যারা ইসলাম গ্রহণ করত, তাদের বিভিন্ন বিষয় শেখাতেন। মক্কার লোকেরা দেখল উম্মু শুরাইক মক্কায় থাকলে নারীদের মুসলিম বানিয়ে ফেলবে। ফলে তারা তাঁকে মক্কা থেকে বের করে দেয়। (তালেবুল হাশেমী, মহিলা সাহাবি, পৃ ১৯৬)
পরবর্তী সময়ে তিনি মদিনায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন এবং অনেক সম্পদশালী হন। অতিথিকে আপ্যায়ন করতে তিনি পছন্দ করতেন। যার ফলে তাঁর বাড়িতে অতিথিদের ভিড় লেগে থাকত। তখনকার সময়ে মদিনায় কোনো হোটেল ছিল না। বাইরে থেকে কোনো অতিথি মদিনায় আসলে রাত্রিযাপনের জন্য থাকার কোনো জায়গা ছিল না।। তাদের কারও না কারও বাড়িতে থাকতে হতো।
আরও পড়ুনআবু জাহেলের মা আসমা বিনতে মুখাররাবা (রা.) সাহাবি ছিলেন ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪বাইরে থেকে মদিনায় যেসব অতিথি আসতেন, তাদের থাকার ব্যবস্থা করতেন উম্মু শুরাইক (রা.)। তাঁর বাড়ি ছিল আধুনিক যুগের রেস্ট হাউজ বা হোটেলের মতো। তবে, সেটা ছিল বিনা মূল্যে।
ফাতিমা বিনতে কায়স (রা.) নামের এক নারীকে তাঁর স্বামী তালাক দিলে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন উন্মু শুরাইকের (রা.) বাড়িতে যেতে। তিনি তখন মন্তব্য করেন, ‘উম্মু শুরাইক সম্পদশালী আনসারি নারী, আল্লাহর রাস্তায় অধিক দানকারিণী। তাঁর নিকট অনেক অতিথি সমাগম হয়।’ (সুনানে নাসাঈ, হাদিস: ৩,২৩৭)
উম্মু শুরাইকের (রা.) সঙ্গে রাসুলের বেশ সুসম্পর্ক ছিল। তিনি রাসুলুল্লাহর (সা.) জন্য ঘি পাঠাতেন।
আরও পড়ুনসাহসী সাহাবি হজরত যুবাইর (রা.)১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার।
এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন।