ঈদুল ফিতরের দিন মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত ও মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত সিনেমা ‘বরবাদ’। যা মুক্তির পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। তবে সিনেমাটি মুক্তির প্রথম দিনেই পাইরেসির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় গুলশান থানায় হাজির হয়েছিলেন সিনেমার পরিচালক মেহেদি হাসান হৃদয় ও প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমি।

এ বিষয়ে পরিচালক মেহেদি হাসান হৃদয় জানান, ‘বরবাদ’ দেশের ১২০টি হলে চলছে। তবে ঠিক কোন হল থেকে পাইরেসি হয়েছে, তা এখনই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ‘এক মুহূর্তের পাইরেসি পুরো টিমের পরিশ্রমকে বরবাদ করতে পারে। এটি শুধু আইন বিরুদ্ধ নয়, শিল্পের প্রতিও অবজ্ঞা।’

পাইরেসি ঠেকাতে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ‘বরবাদ’ টিম। তারা বলেন, ‘ইতিমধ্যে অনেকগুলো পাইরেসি ক্লিপ আমাদের নজরে এসেছে, যা চলচ্চিত্রের জন্য অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাই আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

তারা আরও বলেন, ‘যেকোনো পাইরেসি লিংক বা ভিডিও নজরে এলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

এদিকে ছবি মুক্তির দিনই ‘বরবাদ’ টিমের পক্ষ থেকে দর্শকদের অনুরোধ জানানো হয়, ‘বড় পর্দায় দেখুন, পাইরেসি থেকে বিরত থাকুন, শিল্প ও শিল্পীর সম্মান করুন।’

‘বরবাদ’ একটি রিভেঞ্জ থ্রিলার ঘরানার সিনেমা। যা অ্যাকশনপ্রেমীদের জন্য নির্মিত হয়েছে। এতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার ঈধিকা পাল। আরও আছেন- যীশু সেনগুপ্ত, মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম ও ফজলুর রহমান বাবু।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঈদ র স ন ম বরব দ

এছাড়াও পড়ুন:

সেফগার্ডিং নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন

উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে সেফগার্ডিং কার্যক্রমের প্রতি অধিক গুরুত্ব প্রদানের লক্ষ্যে উন্নয়ন খাতের পেশাজীবী ও নীতিনির্ধারকদের নিয়ে গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছিল ব্রিটিশ কাউন্সিল। সবার জন্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে উদ্যোগী দাতা সংস্থাগুলোর বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ‘ফান্ডার সেফগার্ডিং কোলাবোরেটিভের (এফএসসি)’ অংশীদারত্বে ব্রিটিশ কাউন্সিল অডিটরিয়ামে গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

গুরুত্বপূর্ণ এ আয়োজন নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস বলেছেন, ‘আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে ক্রমেই সেফগার্ডিং–সংক্রান্ত প্রতিকূলতা ও ঝুঁকি বাড়ছে। তাই আমাদের প্রয়োজন, সেফগার্ডিং নিয়ে বোঝাপড়া ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি। সেই সঙ্গে জরুরি ও সম্মিলিতভাবে সেফগার্ডিং–সংক্রান্ত কার্যকরী পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠা করা। সে লক্ষ্যেই ব্রিটিশ কাউন্সিল ফান্ডার সেফগার্ডিং কোলাবোরেটিভের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে, যেন সেফগার্ডিংয়ের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে কর্মরত অংশীদারদের একত্র করা যায়। আমি আশা করি, এই আয়োজন সেফগার্ডিং নিয়ে চলমান উদ্যোগকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং আমরা এই আয়োজন ভবিষ্যতেও চলমান রাখতে সচেষ্ট থাকব।’

এই গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলো, বহুপক্ষীয় সংস্থা, বেসরকারি খাত, দাতা সংস্থা, আয়োজক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার ২৫ প্রতিনিধি।

অনুষ্ঠানে ফান্ডার সেফগার্ডিং কোলাবোরেটিভের সিনিয়র রিজিওনাল অ্যাডভাইজর (দক্ষিণ এশিয়া) অনুরাধা মুখার্জি বলেন, ‘ফান্ডার সেফগার্ডিং কোলাবোরেটিভ এমন একটি পৃথিবী নির্মাণে বদ্ধপরিকর, যেখানে প্রতিটি সংগঠনের কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে নিরাপত্তা ও কল্যাণ। নিরাপদ সাংগঠনিক পরিবেশ ও তা টিকিয়ে রাখতে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে আমরা বিভিন্ন দাতাদের সঙ্গে কাজ করে থাকি। বাংলাদেশের উন্নয়ন ক্ষেত্রে সেফগার্ডিংয়ের চলমান ধারা ও ভবিষ্যতের কর্মপন্থা বিষয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে এই যৌথ আয়োজন করতে পেরে আমরা খুব আনন্দিত।’

সবার জন্য সুরক্ষিত ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেন শিশু কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক কেউই তাঁদের বয়স, শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা, আর্থসামাজিক পটভূমি, জাতিগত পরিচয়, লিঙ্গ, ধর্ম বা বিশ্বাসের কারণে কোনো ঝুঁকি কিংবা হয়রানির শিকার না হন। মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে সচেষ্ট ব্রিটিশ কাউন্সিল সেফগার্ডিং–সম্পর্কিত চর্চা নিশ্চিতকরণে অঙ্গীকারবদ্ধ, যেন ঝুঁকিতে থাকা শিশু ও প্রাপ্তবয়স্করা নিরাপদ বোধ করার পাশাপাশি ব্রিটিশ কাউন্সিলের সংস্কৃতিবিষয়ক কার্যক্রমের মাধ্যমে উপকৃত হন।

সেফগার্ডিং সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে ভিজিট করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ