কুয়ালালামপুরে গ্যাস পাইপলাইন ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
Published: 1st, April 2025 GMT
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের বাইরে একটি শহরতলিতে গ্যাস পাইপলাইন ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় এখনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সেলাঙ্গর রাজ্যের মধ্যাঞ্চলীয় পুত্রা হাইটসে একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে আগুনের সূত্রপাত।
জাতীয় তেল কোম্পানি পেট্রোনাস জানিয়েছে, সকাল ৮ টা ১০ মিনিটে তাদের একটি গ্যাস পাইপলাইনে আগুন লাগে।
সেলাঙ্গর ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সুবাং জায়ার পুত্রা হাইটসের জালান পুত্রা হারমোনিতে গ্যাস পাইপলাইনে অগ্নিকাণ্ডে ১৯০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিভাগের পরিচালক ওয়ান রাজালি ওয়ান ইসমাইল বলেন, আগুনে ১৪৮টি গাড়ি এবং ১১টি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সংস্থাটির মহাপরিচালক নর হিশাম মোহাম্মদ বলেছেন, আগুনের শিখা ৩০ মিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল, তাপমাত্রা এক হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল।
তিনি জানান যে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করে।
সরকারি সংবাদমাধ্যম বারনামা জানিয়েছে, কাম্পুং টেঙ্গাহ, কাম্পুং কেনগান এবং কাম্পুং সুঙ্গাই বারুতে ৫০টিরও বেশি বাড়ি গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণ এবং পরবর্তীতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গতকালের বক্তব্যে রোহিঙ্গাদের জন্য ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গড়ার কথা বোঝাতে চেয়েছি: জামায়াত নেতা তাহেরের বিবৃতি
ঢাকা সফররত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে গতকাল রোববার জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে মিয়ানমারের আরাকানে সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গাদের এলাকায় ‘ইনডিপেনডেন্ট আরাকান স্টেট’ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছিলেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তবে আজ সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমি যে বক্তব্য দিয়েছি, তাতে মূলত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও নিরাপদভাবে তাঁদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করার ব্যবস্থা ও তাঁদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলার বিষয়টি বোঝাতে চেয়েছি।’
গতকাল বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর জামায়াত নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে ১১ বা ১২ লাখ রোহিঙ্গা আছে; তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের খাদ্য, কাপড় ইত্যাদি দেওয়া কোনো সমাধান নয়। স্থায়ী সমাধানের জন্য রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া ও পুনর্বাসন করতে হবে। সে জন্য আমরা আরাকানকেন্দ্রিক সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গাদের এলাকায় “ইনডিপেনডেন্ট আরাকান স্টেট” করার প্রস্তাব দিয়েছি।’
এ বিষয়ে আজ জামায়াতের প্রচার বিভাগের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বৈঠকের পর সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এ সম্পর্কে যে ব্রিফিং দিয়েছেন, তাতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে আজ বিবৃতি দিয়েছেন। এরপর উদ্ধৃতি চিহ্নের ভেতরে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের বক্তব্য তুলে ধরা হয়। তাতে বলা হয়, ‘(গতকালের) ব্রিফিংয়ে আমি যে বক্তব্য দিয়েছি, তাতে মূলত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও নিরাপদভাবে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করার ব্যবস্থা ও তাদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলার বিষয়টি বোঝাতে চেয়েছি। আমার বক্তব্যের মাধ্যমে কোনো ভুল–বোঝাবুঝি সৃষ্টি হলে তা এই বিবৃতির মাধ্যমে নিরসন হবে বলে আশা করি। এটিই জামায়াতে ইসলামীর দৃষ্টিভঙ্গি।’