ফ্যাসিস্টমুক্ত এই বাংলাদেশ যাতে কেউ পরিবর্তন করতে না পারে: আমীর খসরু
Published: 1st, April 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ফ্যাসিস্টমুক্ত এই বাংলাদেশ যাতে কেউ পরিবর্তন করতে না পারে। কোনো ফ্যাসিস্ট যাতে না পারে, অন্য কোনো শক্তিও যাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার সকালে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময়ের সময় গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা বলেন বিএনপির নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদীবাগে নিজ বাসভবনে মেজবানের আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনে বিএনপি, এর সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেন। তাদের জন্য নানা পদের খাবারের আয়োজন করা হয়।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু বলেন, একটি শক্তি ক্ষমতায় থাকার জন্য নতুন নতুন পন্থা বের করছে; কিন্তু ফ্যাসিস্টরা দাঁড়াতে পারেনি। এই শক্তিও যাতে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য বাংলাদেশের মানুষ প্রস্তুত রয়েছে।
ফ্যাসিস্টের পতনের পর এখন দেশে নির্বাচনী হাওয়া বইছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আজ সবার মধ্যে আনন্দ–উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যাচ্ছে। গণতন্ত্রের স্বাদ পাচ্ছেন। তবে পুরোটা আসেনি। এখন নির্বাচনী হাওয়া দেখতে পাচ্ছেন। সবার মধ্যে নির্বাচনের উৎসাহ ও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। সবার মনে হচ্ছে, দেশ নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। এখানে যেভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়, আজ মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষ সেভাবে বহু বছর পর নির্বাচনের সে আনন্দঘন পরিবেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
গত ১৬ বছরের লড়াই–সংগ্রামের কথা জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১৬–১৭ বছর ধরে যে আকাঙ্ক্ষার জন্য, স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য লড়েছি, সে আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে জনগণের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা সংসদ–সরকার পরিচালিত হবে, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। সে আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য মানুষ প্রতিনিয়ত অপেক্ষা করছে। সুতরাং আজকের পরিবেশ বিগত বছরের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটাই বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশকে এভাবে রাখতে হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ র জন য পর ব শ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মিয়ানমারকে ৩০ লাখ ডলার অনুদান দেবে এডিবি
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারকে মানবিক সহায়তা দিতে ৩০ লাখ ডলার অনুদান দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। গত ২৮ মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের জনগণের জরুরি ও মানবিক চাহিদা পূরণে এই অনুদান দেওয়া হবে।
এই অনুদান শিগগিরই ছাড় করা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মাধ্যমে এই সহায়তা দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী, পানীয় জল, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও আশ্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনায় সহযোগিতা দেওয়া হবে। নগদ সহায়তার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক চাহিদা পূরণ করাই এই অনুদানের লক্ষ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই ভূমিকম্পের কারণে মিয়ানমারের চলমান মানবিক সংকট আরও তীব্র হয়েছে। এমনিতেই দেশটির মানুষ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। ভূমিকম্পের কারণে তাদের চ্যালেঞ্জ আরও বেড়েছে।
এডিবির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক উইনফ্রিড উইকলেইন বলেছেন, ‘মিয়ানমারের জনগণের ওপর ভূমিকম্পের প্রভাব নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি ত্রাণ সহায়তা করতে অবিলম্বে তিন মিলিয়ন বা ৩০ লাখ ডলার অনুদান ছাড়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এশীয় উন্নয়ন তহবিল ১৪-এর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট তহবিলের সম্পদ ব্যবহার করে আরও বড় পরিসরে সহায়তা দেওয়া যায় কি না, সেই বিবেচনা করছি আমরা।’
এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য দুর্যোগ মোকাবিলায় গঠিত তহবিল থেকে এই সহায়তা দেওয়া হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট বড় ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলায় এই তহবিল থেকে সহায়তা দেওয়া হয়।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে এডিবি। নানাবিধ জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদস্য ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে থাকে এডিবি। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবির সদস্যদেশ ৬৯, যার মধ্যে ৪৯টি দেশ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের।