গাজার রাফা শহর খালি করার নির্দেশ ইসরায়েলি সেনার
Published: 1st, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজার সর্বদক্ষিণের শহর রাফা এবং বেশ কয়েকটি পৌর এলাকা খালি করে বাসিন্দাদের অন্যত্র চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গতকাল সোমবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এ কথা বলেছেন।
গত মাসে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করে দেওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সেনারা গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলা করা শুরু করে দিয়েছেন। এর আগে হামাসের সঙ্গে সংঘাত শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলের হামলায় রাফা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনারা প্রথমে রাফা থেকে চলে আসতে সম্মত হয়েছিলেন। মিসর থেকে এ এলাকায় অস্ত্র পাচার হয় দাবি করে তাঁরা জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকায় তাঁদের উপস্থিতি প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঈদেও থেমে নেই হামলা, গাজায় নিহত অন্তত ৮০১৬ ঘণ্টা আগে হামাস–নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবিগত ১৮ মার্চ ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আবার গাজায় বিমান হামলা শুরু করে। এ হামলায় এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে হামাস–নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য দপ্তর। আর গত ৪৮ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮০ জন।
স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ৫০ হাজার ৩৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এর মধ্যে কতজন হামাস সদস্য ও কতজন বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তা জানায়নি স্বাস্থ্য দপ্তর। মানবাধিকার সংগঠনগুলো মনে করছে, এই হিসাব মোটের ওপর ঠিক আছে।
গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে অর্ধেক শিশু। জাতিসংঘ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।
আরও পড়ুনগাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব মিসর-কাতারের৩০ মার্চ ২০২৫ যুদ্ধবিরতি শেষে ৩২২ শিশুর মৃত্যু, জানাল ইউনিসেফইউনিসেফ জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় ৩২২ শিশুর মৃত্যু ও ৬০৯ জন আহত হয়েছে। গতকাল ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে বলেছে, এই শিশুরা মূলত ভেঙে পড়া বাড়ি বা তাঁবুতে ছিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ১৮ মার্চ থেকে নতুন করে বোমা হামলা ও ত্রাণ সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ায় গাজায় ১০ লাখ শিশু হুমকির মুখে পড়েছে। যুদ্ধবিরতি গাজার শিশুদের কাছে আশার আলো নিয়ে এসেছিল। কিন্তু সেই শিশুরা আবার নতুন করে ভয়ংকর সহিংসতা চক্রের মধ্যে পড়েছে।
২ মার্চ থেকে গাজায় কোনো ত্রাণ সাহায্য পাঠাতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে খাবার, পানি ও চিকিৎসা–সংকট বেড়েছে।
আরও পড়ুনঈদের দিন গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ নিহত ৬৮৩১ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
গৃহকর্মী সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি
দিনরাত খেটেও সপ্তাহে একদিনের ছুটি পান না গৃহকর্মীরা। তাদের কাজের নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই, নেই সুনির্দিষ্ট মজুরিও। এমনকি শ্রমিকের পরিচয় থেকেও বঞ্চিত তারা। বাসাবাড়িতে কাজ করতে গিয়ে নিজের নামও হারিয়ে ফেলেন গৃহকর্মীরা। তাই অধিকার আদায়ে গৃহকর্মী সুরক্ষা আইন-২০২৫ বাস্তবায়নের দাবি উঠেছে বরিশালে।
আজ বুধবার উন্নয়ন সংগঠন আভাস আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান গৃহকর্মীরা। সেখানে উপস্থিত গৃহকর্মী মনিরা আক্তার ও পুতুল বলেন, তারা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেও সাপ্তাহিক ছুটি পান না। অসুস্থাতার জন্য কাজে যেতে না পারলে নানা কৈফিয়ত দিতে হয়। একজন গৃহকর্মী মাসে সর্বোচ্চ আয় করতে পারেন ৮ হাজার টাকার মতো। এই আয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সংসার চলে না। তাদের মাসিক মজুরি অন্ততপক্ষে ১৫-২০ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি করেন।
গৃহকর্মীদের সংগঠন অপরাজিতা গৃহকর্মী উন্নয়ন সংঘের সভাপতি শিউলী জামানের লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরা হয় ৬ দফা দাবি। গৃহকর্মীদের শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকের স্বীকৃতিসহ অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে তাদের ন্যূততম বেতন নির্ধারন, কাজের পরিবেশে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, সাপ্তাহিক ছুটি প্রদান, শোষণ-নির্যাতন বন্ধ ও আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা এবং লিখিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে গৃহকর্মী নিয়োগ।
আভাসের নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজল সেখানে বলেন, গৃহকর্মীদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তি করে তাদের অধিকার সুরক্ষিত করা জরুরি। গৃহকর্মী সুরক্ষা আইন-২০২৫ বাস্তবায়ন হলে তাদের জীবনমান উন্নয়ন হবে, শ্রমবাজারকে আরও ন্যায্য ও নিরাপদ করে তুলবে।