মুক্তির পর শাকিবের ‘বরবাদ’ সিনেমা ফাঁস
Published: 1st, April 2025 GMT
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পরেই পাইরেসির কবলে পড়েছে শাকিব খান অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘বরবাদ’। এ তথ্য জানার পরই রাজধানীর গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন সিনেমাটির প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমি।
শাহরিন আক্তার সুমি বলেন, “বরবাদ’ মুক্তির আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পাইরেসি রোধের জন্য একটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছি। কিন্তু হল থেকে মুঠোফোন বা ক্যামেরা দিয়ে যারা ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন, তাদের জন্য আইনত ব্যবস্থা নেওয়া খুবই জরুরি ছিল। এটা যাতে কেউ না করেন, তা জানিয়ে একটি পোস্টও দিয়েছিলাম। তবে আজ সকালে দেখি, সিনেমার পুরো একটি কপি টেলিগ্রামে ঘুরছে, তারপর আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। এখন একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
সিনেমাটি মুক্তির আগে থেকেই পাইরেসির সন্দেহ করছিলেন প্রযোজক ও সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে সিনেমার ক্ষতি করতে চাইছেন। তবে তারা কারা সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানাননি প্রযোজক।
আরো পড়ুন:
টিভি পর্দায় ‘তুফান’
ঈদে পাঁচ নায়কের লড়াই
শাহরিন আক্তার সুমি বলেন, “নির্ধারিত কারো নাম এখন বলতে পারব না। বিভিন্ন গ্রুপ থেকে বিভিন্ন নামে কাজটি করা হচ্ছে। সুতরাং এভাবে বলা যাবে না। এখন প্রতিটি লিঙ্ক ধরে ধরে তদন্ত কমিটি কাজ করবে। গ্রেপ্তার হলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।”
ঈদুল ফিতরের দিন সারাদেশের ১২০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘বরবাদ’ সিনেমা। মুক্তির পর দর্শকদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে সিনেমাটি। এরই মধ্যে পাইরেসির খবরটি শাকিব ভক্তদের জন্য হতাশার।
মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘বরবাদ’ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইধিকা পাল। এছাড়াও অভিনয় করেছেন যীশু সেনগুপ্ত, শহীদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগর, ইন্তেখাব দিনার, মামুনুর রশীদ প্রমুখ। একটি আইটেম গানে পারফর্ম করেছেন কলকাতার নায়িকা নুসরাত জাহান।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কর ছ ন বরব দ
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রোকারেজ হাউসের আর্থিক প্রতিবেদন তৈরিতে ছাড়
শেয়ারবাজারের ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে কিছু বিষয়ে ছাড় দিয়ে ২০২৪ সালের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন তৈরির সুযোগ দিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে আলাদাভাবে নিজস্ব রূপরেখা বিএসইসিকে জানাতে হবে। তার ভিত্তিতে ‘কেস-টু-কেস’ সিদ্ধান্ত জানাবে সংস্থাটি।
গতকাল মঙ্গলবার বিএসইসির সঙ্গে শীর্ষ ২০ ব্রোকারেজ হাউসের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। লোকসানের বিপরীতে পর্যাপ্ত প্রভিশন না রেখে আর্থিক হিসাব তৈরিতে ছাড় গত ডিসেম্বরে শেষ হয়। ফলে ব্রোকারেজ হাউসগুলো বার্ষিক আর্থিক হিসাব প্রস্তুত করতে পারছিল না। এমন প্রেক্ষাপটে ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএর অনুরোধে বৈঠকটি হয়।
বিএসইসির হিসাবে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক মিলে মোট ৩৬ হাজার মার্জিন অ্যাকাউন্টে মূলধনি লোকসান রয়েছে, যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিতি রেখেছে। অনেক ব্রোকারেজ হাউসে মার্জিন ঋণের অ্যাকাউন্টে ‘নেগেটিভ ইক্যুয়িটি’ রয়েছে। এছাড়া প্রচুর ‘আনরিয়ালাইজড লস’ বা সম্ভাব্য ক্ষতি রয়েছে।
নেগেটিভ ইক্যুয়িটি হলো নিজস্ব মূলধনের বাইরে মার্জিন ঋণ নিয়ে কেনা শেয়ারের দাম যখন এতই কমে যায় যে, সব শেয়ার বিক্রি করেও ঋণের অর্থ আদায়ে ঘাটতি থাকে। শেয়ারে আনরিয়েলাইজড লস হলো– বিনিয়োগের পর বিক্রির আগে বাজারমূল্য কমে যাওয়ায় সম্ভাব্য ক্ষতি। এমন ক্ষতির বিপরীতে মুনাফা থেকে লোকসানের সমপরিমাণ অর্থ মূলধন হিসেবে সংরক্ষণ করতে হয়, যা করতে পারছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে শেয়ারবাজার ধসে মূলত ‘নেগেটিভ ইক্যুয়িটি’ তৈরি হয়েছে। ঋণে কেনা শেয়ারের বাজারমূল্য ঋণের তুলনায় ১২৫ শতাংশে নামলে ‘ফোর্স সেল’ করে ঋণ আদায় করার আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। তবে দরপতন ঠেকানোর নাম করে ২০১১ সাল থেকে বিএসইসি ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংককে ফোর্স সেল করতে বাধা দেয়। এজন্য প্রভিশন সংরক্ষণে ছাড় দিয়ে আসছিল। নতুন কমিশন আর ছাড় দিচ্ছিল না।
এ সংকট সমাধানে আলোচনার অনুরোধ জানিয়ে গত সোমবার ডিএসইর ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএর পক্ষ থেকে বিএসইসিকে চিঠি দেওয়া হয়। জানতে চাইলে আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডিবিএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও আইডিএলসি সিকিউরিটিজের এমডি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। দ্রুততম সময়ে আলোচনায় সাড়া দেওয়ায় বিএসইসিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন সমকালকে বলেন, শেয়ারবাজারে ‘নেগেটিভ ইক্যুয়িটি’ সমস্যাটি গত এক যুগেরও বেশি সময়ের, যা ‘ক্যান্সারে’ রূপ নিয়েছে। বিএসইসি বলেছে, এটি বয়ে বেড়ানোর সুযোগ নেই। ব্রোকাররাও তা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সমাধান করতে সম্মত হয়েছে। কমিশন প্রত্যেকের কাছ থেকে পৃথক পরিকল্পনা চেয়েছে। পরিকল্পনা জানানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। তবে চলতি প্রান্তিকের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।