কেন ট্রলের শিকার হচ্ছেন সৌরভের স্ত্রীর ডোনা গাঙ্গুলী
Published: 1st, April 2025 GMT
ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর স্ত্রী নৃত্যশিল্পী ডোনা গাঙ্গুলী পুলিশের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, তাঁর ওর তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে কুৎসা রটানো হচ্ছে। একজন নারী ইউটিউবার সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্ট দিয়েছেন।
কলকাতা পুলিশ বলেছে, ডোনার গাঙ্গুলীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
গত সপ্তাহে ডোনা যে অভিযোগ দায়ের করেন তাতে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে কলকাতার একজন স্ব-ঘোষিত ‘ইনফ্লুয়েন্সার’ গাঙ্গুলী পরিবারের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ করেছেন। ওই ইউটিউবার বলেছেন, গাঙ্গুলী পরিবার একজন অসুস্থ সবজি বিক্রেতার প্রতি অবহেলামূলক আচরণ করেছেন। এই প্রতিবেদনে ওই ইউটিউবার গাঙ্গুলী পরিবারের বাড়ি এবং গাড়ির ছবি দিয়েছেন।
পুলিশ বলেছে, ওই ইউটিউবার গাঙ্গুলী পরিবারের প্রতিবেশী। তিনি যে গাড়িটির ছবি প্রকাশ করেছেন তাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকার লাগানো আছে। ডোনা গাঙ্গুলী ওই গাড়িতে করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলেও তিনি দাবি করেছেন।
গাঙ্গুলী পরিবারের একজন মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা স্পষ্ট করতে চাই যে, এই ধরনের কোনও এসইউভি এলাকার কেউ ব্যবহার করে না।’
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ডোনা, সৌরভ ও তাদের মেয়েকে দেখা গিয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ডোনা মুখ্যমন্ত্রীকে টেমস নদীর ধারে তাদের বাড়ি দেখাচ্ছেন।
এ ঘটনায় হয়তো কলকাতায় রাজনীতির রং লেগেছে। মনে করা হচ্ছে, এই পোস্টগুলি ইচ্ছাকৃতভাবে গাঙ্গুলী পরিবারের সুনাম নষ্ট করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, ওই ইউটিউবার অভিযোগ করেছেন, তিনি টেলিফোনে হুমকি পাচ্ছেন। তিনি তাঁর বিতর্কিত পোস্টগুলো সরিয়ে নিয়েছেন। তবে তিনি এখনো হুমকি পাওয়ার বিষয়ে পুলিশের কাছে কোন অভিযোগ করেননি।
কলকাতা পুলিশের সাইবার সেল এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত করেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব র র কর ছ ন কলক ত
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২
নাটোরের লালপুর উপজেলায় ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার জেরে বিএনপির নেতাকর্মীর ওপরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। এতে সুজাত আলী ও সাব্বির নামে দুইজিন গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে একজন বিএনপিকর্মী বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধ দু’জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ঈদগাহে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করে করেছে পুলিশ।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের নামাজ শেষে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় বিএনপি ও স্থানীয়দের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করেনে তারা। এতে সুজাত আলী ও সাব্বির (২৪) নামের দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। লুকমান হোসেন নামের আরও একজন আহত হন। আহত সাব্বির হোসেনকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। গুলিবিদ্ধ দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার প্রতিবাদে লালপুর ইউনিয়ন বিএনপি এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে বক্তব্য দেন সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম লুলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, বিএনপি নেতা এটিএম জাহিদুল আলম ডলার ও জিয়া। তারা অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি পরিকল্পিতভাবে ঈদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা জনমনে প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে।
বিএনপি নেতারা হুঁশিয়ারি দেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) আমজাদ হোসাইন বলেন, দুই যুবক ঈদ মাঠে জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছে এ রকমটা জানতে পেরেছি। মারামারিতে সম্পৃক্ত ছিল এরকম ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা বলছে। তবে এতে যিনি ভুক্তভোগী হয়েছেন, তাকে এখনো আমরা পাইনি। এটা নিয়েও যাচাই-বাছাই করছি।
এসপি আমজাদ হোসাইন আরও বলেন, ঘটনাস্থলে ডিবি টিম, পুলিশ, যৌথবাহিনীর সদস্যরা রয়েছে সেখান থেকে রিপোর্ট আসলে পুরো ঘটনাটি জানতে পারব। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।