বেশিরভাগ বাড়িতে ঈদের সময় রান্না হয় পোলাও আর মাংস। স্বাদে ভিন্নতা আনতে এসময় চাইলে বিরিয়ানিও করতে পারেন। খাসি কিংবা গরুর মাংস দিয়ে তৈরি করতে পারেন চমৎকার স্বাদের বিরিয়ানি।
উপকরণ : পোলাও বা বাসমতি চাল আধা কেজি, দারুচিনি আস্ত ২ টি , এলাচ ৪ টি, তেজপাতা ২ টি, লবঙ্গ ৪ টি, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুঁচি এক কাপের চতুর্থাংশ, ঘি বা তেল ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৬ থেকে ৭ টি, লবণ স্বাদমতো
মাংসের কোরমা তৈরিতে যা যা প্রয়োজন : খাসি বা গরুর মাংস ১ কেজি, ঘি বা তেল এক কাপের চতুর্থাংশ , পেঁয়াজ কাঁটা আধা কাপ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, ধনিয়ার গুঁড়া আধা চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, টক দই আধা কাপ, জয়ফলের গুঁড়া আধা চামচ, জয়ত্রী আধা চামচ, দারুচিনির গুঁড়া আধা চামচ, দুধ এক কাপের চতুর্থাংশ, চিনি ১ চামচ, লবণ স্বাদ মতো
বিরিয়ানির উপকরণ : পেঁয়াজ ভাজা আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৪ থেকে ৫ টি, গোলাপ জল ১ টেবিল চামচ, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ , আলুবোখারা ৬ টি
প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে মাংসগুলো ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর মরিচের গুঁড়া এবং দই মাখিয়ে আধঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখুন। একটা কড়াইয়ে তেল বা ঘি দিয়ে তাতে পেঁয়াজ ভেজে বেরেস্তা করে নিন। আলাদা একটি বাটিতে তুলে রাখুন। এখন কড়াইয়ে ম্যারিনেট করা মাংস,আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা, জয়ফল-জয়ত্রীর গুঁড়া , দারুচিনি, এলাচ গুঁড়া, লবণ দিন।কিছুক্ষণ রান্না করে দুধ আর চিনি যোগ করুন। এখন এতে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। মাংস ভাল ভাবে সিদ্ধ হওয়ার পর পানি শুকালে কড়াইসহ রান্না মাংসটা এক পাশে রেখে দিন।
এবার পোলাওয়ের চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। একটা সস প্যানে ঘি বা তেল দিয়ে তাতে কুচি করে কাঁটা পেঁয়াজগুলো ভাজুন। এতে আস্ত গরম মসলা ও তেজপাতা দিন। তেলের মধ্যে পোলাওয়ের চাল দিয়ে নাড়তে থাকুন। হালকা ভেজে এতে ৪ কাপ পানি, লবণ আর কাঁচা মরিচ দিন। চাল সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত মাঝারি ও মৃদু তাপে পোলাও রান্না করুন।
বিরিয়ানির প্রস্তুতি : পোলাওয়ের চালের মধ্যে মাংসগুলো লেয়ার করে দিন। এবার এতে বেরেস্তা ভাজা, কিশমিশ, কাঁচা মরিচ ও গোলাপ জল দিন। আলু বোখারা যোগ করুন। পোলাওটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কয়েক মিনিট মৃদু আঁচে রান্না করুন। সালাদ ও বোরহানি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ওষুধ তৈরিতে কাঁচামাল প্রয়োজন ৪০০ ধরনের, দেশে উৎপাদন ৪১
ওষুধ তৈরিতে ৪০০ ধরনের অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) বা কাঁচামাল প্রয়োজন হয়। আর দেশে ৪১ ধরনের কাঁচামাল উৎপাদন হয়। এই কাজে ২১টি কোম্পানি কাজ করে। এখনও ৯০ শতাংশ এপিআই আমদানি নির্ভর হওয়ায় দেশে ওষুধের দাম কমানো এবং রপ্তানির বাজার ধরা চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছে ওষুধ শিল্প সমিতি।
সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওতে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন খাত সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডেল্টা ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. জাকির হোসেন, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মুহাম্মদ হালিমুজ্জামান, এসিআই হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এম মহিবুজ্জামান, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।
কর্মশালার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, ওষুধের কাঁচামাল তৈরির জন্য ৪৯ সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এই সব সংস্থার অনুমোদন নিতে ছয় মাসের বেশি সময় চলে যায়। এরপর কাঁচামাল উৎপাদনের জন্য যদি ৫০০ টন উপকরণ প্রয়োজন হলেও আমদানির অনুমোদন মেলে ১০০ টনের মতো। এছাড়া ওষুধের কাঁচামাল তৈরিতে আলাদা আলাদা মেশিন প্রয়োজন হয়। এই যন্ত্রের দাম অনেক। এসব সমস্যা যতদিন আমরা সমাধান না করতে পারবো ততক্ষণ ওষুধের কাঁচামাল শিল্প হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এক ছাতার মধ্যে সব সেবা আনার প্রস্তাব থাকলেও সরকার এটা করতে পারেনি।
তিনি বলেন, ওষুধের কাঁচামাল তৈরি করে চীন ও ভারত। এসব দেশে থেকেই আমরা কাঁচমাল তৈরি উপকরণ আমদানি করছি। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বেশি দামে এসব উপকরণ বিক্রি করছে। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আমরা পারবো না।
ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, ১৮ বছর আগে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় এ শিল্প প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। চায়নার একটি বিশেষজ্ঞ টিম পরিদর্শন করে বলেন, এতো ছোট জায়গায় এখানে কীভাবে ওষুধের কাঁচামাল তৈরি হবে। চীনের একটি করখানার ৫৫০ একর আয়তন। এজন্য এই পার্কে কারখানা স্থাপন ও এপিআই তৈরিতে কোম্পানিগুলোর আগ্রহ কম। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ওষুধ শিল্প পার্কে ৪২টি প্লট ২৭টি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি কোম্পানি সেখানে উৎপাদনে যাবে বাকীরা হয়তো এ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একীভূত (মার্জ) হবে।
এম মহিবুজ্জামান বলেন, এলডিসির কারণে আমাদের ওষুধ শিল্পে বেশ কিছু বিষয় মওকুফ করা হয়েছে। কিন্তু মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছালে এই ছাড়গুলো আর থাকবে না। তখন মূল (মাদার) কোম্পানি থেকে তাদের চাহিদা মতো দামে এপিআই কিনতে হবে। এর প্রভাব পড়বে ওষুধের বাজারে,বেড়ে যাবে ওষুধের দাম। তাই আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশে এপিআই উৎপাদনে নজর দিতে হবে। মুহাম্মদ হালিমুজ্জামান বলেন, দেশে এপিআই উৎপাদন না হওয়ায় বিদেশের মার্কেটে অন্য দেশের কোম্পানির সাথে প্রতিযোগীতার মুখে পড়তে হচ্ছে।