ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক স্কুলছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই ছাত্রীর বাবা-চাচা, ভাইসহ প্রায় ৮-১০ জনের ওপরে হামলা ও কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। গতকাল সোমবার ঈদের দিন দুপুরে উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন-স্কুলছাত্রীর বাবা মোহাম্মদ গাফফার মিয়া (৫৬), চাচা সাত্তার মিয়া (৬১), ফুফাতো ভাই তাইমুর মাতুব্বর (১৯)। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এছাড়াও আরও পাঁচজন ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আলগী ইউনিয়নের হাজী হাসিয়ার রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে (১৭) প্রায়ই ইভটিজিং করতেন প্রতিবেশী সিয়াম মোল্লা (১৯), রিফাত মোল্লা (২০), সাকিব মোল্লা (২২)। গত পরশুদিন ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হলে আবারও তার সঙ্গে খারাপ আচরণ ও কু-প্রস্তাব দেয় ওই তরুণরা। বিষয়টি ছাত্রী তার পরিবারকে জানায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা ও চাচা বিষয়টি অভিযুক্ত তরুণদের অভিভাবকসহ স্থানীয় গণ্যমান্যদেরকে জানান। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওই তরুণরা। রোববার ঈদের আগের দিন রাতে তারা ছাত্রীর বাড়িতে এসে আতশবাজি ফাটানো ও ঘরের চালায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। বিষয়টি আবারও ওই তরুণদের অভিভাবকদের জানালে সোমবার দুপুরে ১০ থেকে ১২ জন ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ওই শিক্ষার্থীর বাবা, চাচা ও ফুফাতো ভাইসহ সাতজন প্রতিবেশীকে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। এ সময় ও শিক্ষার্থীর বাড়িঘরসহ একাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে পালিয়ে যায়।

ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন সমকালকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহত প্রায় ৭-৮ জনের ভাঙ্গা হাসপাতালসহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইভট জ ক প য় জখম

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে সড়কে নিহত ১০ জনের মধ্যে দম্পতি ঝিনাইদহের বাসিন্দা

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত ১০ জনের মধ্যে দুইজন ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন, দিলীপ বিশ্বাস ও তার স্ত্রী সাধনা রাণী। এ দম্পতির শিশু সন্তান আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় বোয়ালিয়া গ্রামে শোক নেমে এসেছে।

বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া চুনতি বন রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রামের দোহাজারী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মনজুর হোসেন জানান, চট্টগ্রামমুখী রিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে কক্সবাজারগামী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে এক শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়। আহত হয়েছে পাঁচজন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের সকলের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। সম্ভবত মাইক্রোবাসটি কক্সবাজারে যাচ্ছিল। নিহতরা সকলে মাইক্রোবাসের যাত্রী।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

চট্টগ্রামে টানা তিন দিন একই স্থানে দুর্ঘটনা, নিহত ১৬

দোহাজারী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মো. মতিন বলেন, নিহত কয়েকজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এর মধ্যে দুইজন ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দা। বাকিদের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।

গণমাধ্যমে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার খবর প্রকাশের পর নিহত দিলীপ বিশ্বাসের গ্রামের বাড়ি বোয়ালিয়া গ্রামে শোকের মাতম চলছে। স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। নিহত দিলীপ বিশ্বাস বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। তিনি ঈদের ছুটিতে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে কয়েকজন মিলে কক্সবাজারে ঘুরতে যাচ্ছিলেন।

শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান জানান, দিলীপ বিশ্বাস ও তার স্ত্রী সাধনা রাণী মারা গেছে। তাদের মেয়ে আরাধ্য বিশ্বাস (৬) আহত হয়েছে। সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।  

ঢাকা/সোহাগ/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ