মঙ্গলবার সকালেই বড় এক চমক! এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিল, বিরাট কোহলি বুঝি অবশেষে বিগ ব্যাশ লিগে খেলতে যাচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি দল সিডনি সিক্সার্স তো নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা দিয়েই বসেছিল! 

সিক্সার্স তাদের পোস্টে জানায়, কোহলি দুই মৌসুমের জন্য তাদের দলে যোগ দিয়েছেন। পোস্টে কোহলির একটি গ্রাফিক ব্যবহার করা হয়, যেখানে ইংরেজিতে লেখা ছিল, ‘ওয়েলকাম বিরাট কোহলি’ এবং নিচে যোগ করা হয়েছিল, বিরাট কোহলি আগামী দুই মৌসুমের জন্য সিক্সার্সে যোগ দিয়েছেন।

তবে কিছুক্ষণ পরেই সিডনির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি ছিল এপ্রিল ফুল! এপ্রিলের প্রথম দিনে সবাইকে বোকা বানানোর ‘এপ্রিল ফুলের’ মজা নিতেই এমন পোস্ট করেছেন তারা। কারণ, আজ ১ এপ্রিল— বিশ্বজুড়ে ‘এপ্রিল ফুল’ উদযাপনের দিন! অস্ট্রেলিয়ার সময় ভারতীয় সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকায় অনেক উপমহাদেশীয় ভক্ত সকালে ঘুম থেকে উঠে খবরটি দেখে সত্যি ভেবেছিলেন। তবে কিছুক্ষণ পরেই তারা বুঝতে পারেন, এটি নিছক মজা ছাড়া কিছুই নয়।

একজন ভক্ত লিখেছেন, ‘ভালো কৌতুক ছিল! প্রথমে সত্যিই বিশ্বাস করে ফেলেছিলাম।’  

আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘আমি ভিন্ন টাইমজোনে থাকায় একদিন পিছিয়ে আছি, তাই বিশ্বাস করাটা কিছুটা স্বাভাবিক!’  

যদিও বাস্তবে কোহলি সিডনি সিক্সার্সে যোগ দিতে পারবেন না। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নিয়ম অনুযায়ী, কোনো সক্রিয় পুরুষ ক্রিকেটারকে বিদেশি লিগে খেলার অনুমতি দেওয়া হয় না। শুধুমাত্র অবসর নেওয়া ক্রিকেটাররা এসব লিগে অংশ নিতে পারেন। তবে নারী ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল

এছাড়াও পড়ুন:

মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের সংস্কার হচ্ছে, ভাঙচুর নয়

রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ সংস্কারের কাজ করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। আর দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এদিকে চলমান সংস্কারকাজের মধ্যে এ স্মৃতিসৌধ ভেঙে ফেলা হচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। অনেকে স্মৃতিসৌধের ভিডিও শেয়ার করে বলছেন, সেটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ‘ঢাকাস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের আধুনিকায়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। সংস্কারের কাজটি করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কুশলী নির্মাতা লিমিটেড। আগামী জুনের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত বিভাগের মিরপুর অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ আহসান বলেন, স্মৃতিসৌধের কাঠামোতে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। শুধু পুরোনো ইট সরিয়ে নতুন ইট বসানো হচ্ছে। মূল বেদির নকশা আগে যা ছিল, তাই আছে। কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।

মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সরেজমিন দেখা যায়, কবরস্থানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধটি টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা। ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধের বেদির দিকে ঢালু হয়ে নেমে আসা চারটি দেয়ালের মতো যে কাঠামো রয়েছে, সেগুলোর ইটের আস্তর যান্ত্রিক হাতুড়ি (হ্যামার ড্রিল) দিয়ে খোলা হচ্ছে। স্মৃতিসৌধের বেদির চারদিকে থাকা এমন চারটি দেয়ালের মধ্যে তিনটির আস্তর খোলার কাজ চলমান দেখা গেছে। স্মৃতিসৌধের সামনে এনে রাখা হয়েছে কংক্রিটের নতুন ব্লক।

তবে প্রকল্প এলাকায় সংস্কারকাজের কথা উল্লেখ করে কোনো সাইনবোর্ড টাঙানো হয়নি। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের নিয়ম হচ্ছে, প্রকল্প চলাকালে সেখানে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে জানাতে হয়, সেখানে কী হচ্ছে। এ কারণে অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছেন বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ দেখভালের দায়িত্বে থাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বলেছে, স্মৃতিসৌধকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। স্মৃতিসৌধে থাকা পুরোনো ইটের আস্তরণ যান্ত্রিক হাতুড়ি দিয়ে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এর জায়গায় নতুন ইট বসানো হবে। নির্মাণ করা হবে দোতলা মাল্টিপারপাস ভবন। এ ছাড়া বর্ষার সময় পানি যাতে জমে না থাকে, সে জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য রেস্টহাউস (বিশ্রামাগার) নির্মাণ করা হচ্ছে। টাইলস পরিবর্তন করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, স্মৃতিসৌধে দীর্ঘদিন কোনো সংস্কার করা হয়নি। প্রকল্পটি অনেক আগেই অনুমোদন হয়েছিল। এখন কাজ চলছে। সেখানে নকশার কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। সবকিছু আগের মতোই থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ