সালমান খান-রাশমিকা মান্দানা অভিনীত সিনেমা ‘সিকান্দার’। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ৩০ মার্চ বিশ্বের সাড়ে ৫ হাজার পর্দায় মুক্তি পেয়েছে এটি। মুক্তির আগে থেকে আলোচনায় থাকলেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন সমালোচকরা।

এ আর মুরুগাদোস নির্মিত সিনেমাটির রেটিং খুব একটা ভালো নয়। চলচ্চিত্র সমালোচক ঋষভ সুরি বলেন, “সালমান খান যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সামগ্রিকভাবে ‘সিকান্দার’ সেই ঈদি সিনেমা নয়।” তবে বক্স অফিসে সিনেমাটির যাত্রা মোটামুটিভাবে শুরু হয়েছে।

বলি মুভি রিভিউজ জানিয়েছে, চলতি বছরে বেশ কটি হিন্দি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার তালিকায় এটি দ্বিতীয় (২৫ কোটি রুপি, নিট)। প্রথম অবস্থানে রয়েছে ‘ছাবা’ (২৯ কোটি রুপি, নিট)। দুই দিনে বিশ্বব্যাপী ‘সিকান্দার’ আয় করেছে ৫৪ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকার বেশি)।

আরো পড়ুন:

বুলেট প্রুফ গ্লাসের ওপার থেকে দেখা দিলেন সালমান

মুক্তির আগেই ‘সিকান্দার’ সিনেমা ফাঁস

‘সিকান্দার’ সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সালমান খান। আর তার বিপরীতে রয়েছেন ৩১ বছরের ছোট রাশমিকা মান্দানা।

রাশমিকা-সালমান ছাড়াও ‘সিকান্দার’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন কাজল আগরওয়াল, সত্যরাজ, শর্মন জোশী, প্রতীক বব্বর প্রমুখ। এটি প্রযোজনা করছেন সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২০০ কোটি রুপি। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

শতবর্ষী রাস্তার ওপর সবজি চাষ আওয়ামী লীগ নেতার

চারঘাটের সরদহ ইউনিয়নের খোর্দগোবিন্দপুর মাঠপাড়ার গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে শত বছর ধরে গ্রামের মানুষ চলাচল করছেন। রাস্তাটি পাকা করতে দরপত্রও করা হয়েছে। সেই রাস্তার জমি নিজের দাবি করে পটোল রোপণ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সমজান আলী। এতে মানুষের চলাচল ও মাঠের ফসল পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এক যুগে কয়েক দফা কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় শতবর্ষী মাটির রাস্তাটির সংস্কার করা হয়। উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ থেকে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য দরপত্র হয়েছে। এর মধ্যে পাশের জমির মালিক সমজান আলী শ্রমিক দিয়ে রাস্তা কেটে ফসলি জমি বানিয়েছেন। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হলেও গত পাঁচ আগস্টের পর থেকে বিএনপি-জামায়াতের লোকজনের সঙ্গে চলাফেরা করছেন।
সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, দৈর্ঘ্যে ১২০ ফুট ও প্রস্থে ৪ ফুট অংশ কেটে নিজের জমির সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছেন সমজান আলী। সেখানে পটোল রোপণ করা হয়েছে। ১৩ ফুট প্রস্থের সড়ক থেকে আরও ৪ ফুট কেটে নেওয়া হবে বলে স্থানীয়দের জানিয়েছেন তিনি। এ অবস্থায় প্রকৌশল বিভাগের রাস্তা পাকাকরণ কাজ অনিশ্চয়তায় পড়েছে। স্থানীয়রা বাধা দিলেও রাস্তা কাটা বন্ধ না করে উল্টো হুমকি দেন সমজান আলী।
স্থানীয় ষাটোর্ধ্ব রেজাউল করিম বলেন, রাস্তাটি পাকাকরণের দরপত্র হয়েছে। এখন সেই রাস্তার বেশির ভাগ অংশ নিজের দাবি করে কেটে ফেলেছেন আওয়ামী লীগ নেতা সমজান আলী।
নাইমুর রহমান বলেন, বাবা-দাদা সবাই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেছেন। এখন শত শত মানুষের চলাচল। মাঠপাড়ার ফসল ভ্যান, ট্রলি ও মিনি ট্রাকে করে এই রাস্তা দিয়ে বাজারে নেওয়া হয়। কাউকে কিছু না জানিয়ে রাস্তাটি কেটে ফেলা হলো। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।
সমজান আলী বলেন, রাস্তার বেশির ভাগ অংশই আমার জমিতে। এ জন্য কিছু অংশ কেটে নিয়েছি। শুধু আমি রাস্তায় জমি দেব– তা হবে না। অন্যদেরও দিতে হবে। জমির কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজপত্র এখন কাছে নেই। তবে স্থানীয় আমিন সুবল চন্দ্র ছয় মাসে দুই দফা জমি পরিমাপ করেছে। মাপ অনুযায়ী রাস্তার বেশির ভাগ অংশ আমার জমিতে পড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্থানীয় আমিন বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবল চন্দ্র বলেন, জমিটি দেড় থেকে দুই বছর আগে পরিমাপ করেছি। কিছু অংশ রাস্তার ভেতরে ছিল। রাস্তাটি এখন সরকারি সম্পদ। তাই সমজান আলী জমি নিতে পারবে না– এ তথ্য তাঁকে জানানো হয়েছিল। 
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেন বলেন, কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য শুনানির নোটিশ করা হয়েছে। কাগজপত্র নিয়ে সমজান আলীকে আসতে বলা হয়েছে। তবে কোনো জমি ব্যক্তির সম্পত্তি হলেও ২০ বছর সেখানে মানুষজন হাঁটলেই তা সরকারি হয়ে যাবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ