দেশবরেণ্য সাংবাদিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমকালের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রয়াত গোলাম সারওয়ারের ৮৩তম জন্মদিন আজ মঙ্গলবার। ১৯৪৩ সালের ১ এপ্রিল আজকের এই দিনে তিনি বরিশালের বানারীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। দেশের আধুনিক সংবাদপত্রের অন্যতম কারিগর বলা হয় তাঁকে। দৈনিক ইত্তেফাকের তিন দশকের বার্তা সম্পাদক গোলাম সারওয়ার দৈনিক যুগান্তরেরও প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। সমকালের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত অবস্থায় ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট ৭৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

দেশের সাংবাদিকতার প্রতিষ্ঠানতুল্য ব্যক্তিত্ব গোলাম সারওয়ার ষাটের দশকে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। সেই থেকে টানা পাঁচ দশকের বেশি তিনি এ পেশায় মেধা, যুক্তিবোধ, পেশাদারিত্ব, দায়িত্বশীলতা, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার নিরবচ্ছিন্ন চর্চায় নিজেকে এবং বাংলাদেশের সংবাদপত্রকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেন। সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকার সময় ১৯৬২ সালে চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদীর বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা হিসেবে গোলাম সারওয়ারের সাংবাদিকতা পেশার সূচনা। একই বছর দৈনিক সংবাদের সহসম্পাদক হিসেবে যুক্ত হন। ১৯৭১ সালে যোগ দেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের পর কয়েক মাস বানারীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে সিনিয়র সহসম্পাদক হিসেবে যুক্ত হন। এরপর ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত যথাক্রমে প্রধান সহসম্পাদক, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ও বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

মেধা, নিষ্ঠা ও দক্ষতায় উৎকর্ষের কারণে গোলাম সারওয়ারকে অনেকেই ‘সাংবাদিকদের শিক্ষক’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বাংলাদেশের দৈনিক সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকদের সংগঠন বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদেরও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।

জন্মদিন উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার বাদ আসর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর কবরে শ্রদ্ধা জানানো হবে। প্রয়াত সম্পাদকের জামাতা মিয়া নাঈম হাবীব জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে বানারীপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে তাঁকে স্মরণ, শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমক ল গ ল ম স রওয় র গ ল ম স রওয় র ব দ কত

এছাড়াও পড়ুন:

আলোচিত মহেশ বাবু কত কোটি টাকার মালিক?

‘প্রিন্স অব টলিউড’খ্যাত অভিনেতা মহেশ বাবু। পর্দায় অসাধারণ অভিনয় এবং অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব গুণের কারণে অসংখ্য ভক্ত তার। ১৯৭৯ সালে ‘নিডা’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে ‘রাজাকুমাড়ু’ সিনেমার মাধ্যমে নায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। এরপর যশ-খ্যাতি যেমন পেয়েছেন, তেমনি অঢেল অর্থেরও মালিক হয়েছেন।

হঠাৎ অর্থ জালিয়াতি মামলায় মহেশ বাবুর নাম জড়িয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৮ এপ্রিল ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মূলত, রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার কারণে মহেশের নাম এই মামলায় জড়িয়েছে। ফলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন এই তারকা অভিনেতা। চলুন জেনে নিই, মহেশ ঠিক কত টাকার মালিক-

সিয়াসাত ডটকমের তথ্য অনুসারে, তেলেগু সিনেমার সবচেয়ে ধনী তারকাদের একজন মহেশ বাবু। চলতি বছরের হিসাব অনুযায়ী, তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৩০০-৩৫০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২৭-৪৯৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা)। এর মধ্যে উত্তরাধিকার সূত্রে ৪৮ কোটি রুপির মালিক হয়েছেন তিনি।  

২০০৫ সালে ‘আথাড়ু’ সিনেমার জন্য ৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন মহেশ বাবু। তারপর কেটে গেছে দুই দশক। বর্তমানে প্রতি সিনেমার জন্য ৬০-৮০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। তার পরবর্তী সিনেমা ‘এসএসএমবি২৯’। এটি পরিচালনা করছেন এস এস রাজামৌলি।

জানা যায়, রাজামৌলির এ সিনেমার জন্য কোনো পারিশ্রমিক নেবেন না মহেশ বাবু। তবে রাজামৌলি ও মহেশ বাবু সিনেমাটির লভ্যাংশ নেবেন। এতে করে ১০০-১৫০ কোটি রুপি আয় করতে পারবেন মহেশ বাবু।

আইএমডিবি’র তথ্য অনুসারে, মহেশ বাবু তার প্রথম সিনেমার জন্য ৭৫ লাখ রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন। গত বছরের হিসাব অনুযায়ী, তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩০০ কোটি রুপি (৪২৭ কোটি ৯২ লাখ টাকার বেশি)।

মহেশ বাবু অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘গুন্তুর করম’। এটি পরিচালনা করেন ত্রিবিক্রম শ্রীনিবাস। গত বছরের ১২ জানুয়ারি মুক্তি পায় এটি। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেন মীনাক্ষী চৌধুরী ও শ্রীলীলা। তাছাড়াও অভিনয় করেন— জগপতি বাবু, জয়রাম, ব্রাহ্মানন্দ, রামায়্যা কৃষ্ণান, প্রকাশ রাজ, রেখা, সুনীল প্রমুখ।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ