নরসিংদীতে ৪ জনকে কুপিয়ে জখম, একজনকে জবাই করার চেষ্টা
Published: 1st, April 2025 GMT
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য দিবালোকে নরসিংদীতে চার জনকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এদের মধ্যে এক জনকে জবাই করার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
সোমবার (৩১ মার্চ) বিকেলে নরসিংদী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র হেমেন্দ্র সাহার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে আহতদের সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মুমূর্ষু অবস্থায় চার জনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে একজনের কাটা আঙ্গুল উদ্ধার করে।
আহতরা হলেন- শহরের বানিয়ারসল এলাকার অটোচালক রমজান মিয়া, তার ছেলে রিফাত, মুহিম ও সাঠিরপাড়া এলাকার ফয়সাল। এদের মধ্যে ফয়সালের গলা কেটে জবাই করার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
আহত রিফাত জানান, আজ অটোরিকশায় তিনি আর তার বাবা রমজান মিয়া যাত্রী নিয়ে বাসস্ট্যান্ড যাচ্ছিলেন। রিকশাটি হেমেন্দ্র সাহার মোড়ে পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে তাদের অটোর ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে রমজান মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মোটোরসাইকেল চালক ও অটোচালকের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে মোটরসাইকেল চালক ফোন করে সন্ত্রাসীদের নিয়ে আসে। সন্ত্রাসীরা এসেই দা ছুরি চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি অটোচালককে কোপাতে থাকে। ওই সময় তাদের বাঁচাতে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে।
অস্ত্রের আঘাতে চারজন জখম হলে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে ফয়সাল নামে একজনের গলা কাটার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা.
সদর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. এমদাদ হোসেন জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। কারা এই ঘটনা সঙ্গে জড়িত তাদের শনাক্তের কাজ শুরু করা হয়েছে।
ঢাকা/হৃদয়/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এনায়েতনগর ইউপিকে আওয়ামী লীগের দোসর ধেকে মুক্ত করতে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদকে আওয়ামী লীগ দোসর মুক্ত রাখতে জোড়ালো প্রতিবাদ সহ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দরা। আওয়ামী লীগের দোসর সকল মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে পরিষদের কার্যক্রম চালানোর দাবি জানানো হয়।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বেলা ১২ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিএনপির এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে।
এদিকে সমাবেশে বক্তারা বলেন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সহ সকল মেম্বাররা আওয়ামী লীগ সহ আওয়ামী লীগের দোসর। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে রয়েছে।
তার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে একজনকে দায়িত্ব দেয়ার বিধান থাকলেও সবাই আওয়ামী লীগের দোসর। তারা দিনের ভোট রাতে করে চেয়ারম্যান মেম্বার হয়েছে। এই অবৈধ নির্বাচনের মেম্বার চেয়ারম্যানদের জনগণ কিছুতেই মেনে নিবে না। তারা বিগত আমলে লুটপাট করেছে নতুন করে আবার লুটপাট করবে সেই সুযোগ জনগণ আর দিবে না। তাই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে আওয়ামী লীগের কোন দোসরকে না দিয়ে সরকারি ভাবে একজন প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হউক।
বক্তারা আরো বলেন, যারা এসি রুমে বসে চিন্তা ভাবনা করছেন আওয়ামী লীগের দোসর একজনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়ে ফায়দা লুটে নিবেন সেই সুযোগ এনায়েতনগর ইউনিয়নের জনগন তা কিছুতেই মেনে নিবে না। অবিলম্বে আওয়ামী লীগের দোসর মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে একজন প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হউক। নতুবা কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সমাবেশে এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এসএম মাহমুদুল হক আলমগীরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুর রহমান সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির চৌধুরী,সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম লিটন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রহিমা শরীফ মায়া, সহসভাপতি রোজিনা আক্তার, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান, এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনির হোসেন প্রমুখ।