পশ্চিমবঙ্গে আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণ, শিশুসহ নিহত ৭
Published: 1st, April 2025 GMT
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত দুই শিশুসহ ৭ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন লাগোয়া পাথরপ্রতিমা এলাকায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, প্রভাতী বণিক (৮০), সান্ত্বনা বণিক (২৮), অর্ণব বণিক (৯), অস্মিতা বণিক (৬ মাস), অঙ্কিত বণিক (৬ মাস), অরবিন্দ বণিক (৬৫) ও অনুস্কা বণিক (৬)। এখনো ৪ জন নিখোঁজ আছেন। বিস্ফোরণের পর থেকে তাঁদের কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না বলে গ্রামবাসীদের দাবি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে বিকট শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। একটু পর একটি বাড়িতে আগুন দেখতে পায় স্থানীয়রা। বাসন্তী পূজার জন্য বাড়িটির একটি ঘরে বেআইনিভাবে আতশবাজি তৈরি করা হচ্ছিল। তখনই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এই বিষয়ে পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর কুমার জানা বলেন, আতশবাজি তৈরি করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে পুরো বাড়িতে আগুন ধরে যায়। ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই বাড়ির ভিতরে আরও কিছু মানুষ আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘটনাস্থলে ঢোলাহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি বেআইনি আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের খাদিকুলে বেআইনি আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হয়েছে একাধিক।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের রাতে আতশবাজি ফোটানো নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত
ঈদের রাতে আতশবাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের পাগলাদাহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত অনিক হাসান (২২) পাগলাদাহ গ্রামের হৃদয় হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো চারজন। এর মধ্যে, গুরুতর আহতাবস্থায় একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- একই এলাকার বহর আলীর ছেলে আরিফ হোসেন (১৭), লুৎফর মোল্লা ছেলে রিপন হোসেন (৪০), তার ছেলে আপন (১৭) ও সাইদ হোসেনের ছেলে শামীম হোসেন (১৭)।
যশোর কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাসনাত বলেন, ‘‘সোমবার সন্ধ্যায় পাগলাদহ এলাকায় শিশুরা আতশবাজি ফোটাচ্ছিল। এসময় এক শিশুর শরীরে বাজি পড়াকে কেন্দ্র করে বিবাদে জড়ায় দুই পক্ষ। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারামারি হয়। এতে পাঁচজন আহত হন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনিক হাসান মারা যান। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/রাজীব