পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান আদিয়ালা কারাগারে ঈদের নামাজ পড়তে পারেননি। নিরাপত্তার কারণে তাঁকে ঈদের নামাজে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।

ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস থেকে শুরু করে তোশাখানা তছরুপের মতো নানা অভিযোগে ১০০টির বেশি মামলা রয়েছে।

ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে কারাবন্দী। আদিয়ালা কারাগারের ভেতরে কেন্দ্রীয় মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হলেও নিরাপত্তার কারণে তিনি সেখানে যেতে পারেননি।

ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিও কারাবন্দী রয়েছেন। ঈদের নামাজের সময় তাঁকে কারাকক্ষে থাকতে হয়েছে।

তবে কারাগারের অন্য বন্দী ও কারা কর্মকর্তারা ঈদের নামাজ পড়েছেন। আদিয়ালা কারাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন দিনের নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঈদ র ন ম জ ইমর ন খ ন

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত ট্রেনের ছাদে ‘টিকটক ভিডিও’ করছিলেন ৪ তরুণ, পড়ে দুজনের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় চলন্ত ট্রেনের ছাদে দাঁড়িয়ে ভিডিও বানানোর সময় পড়ে গিয়ে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মোগড়া রেলওয়ে সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই তরুণ।

নিহত দুজন হলেন কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার আবদুল করিম মিয়ার ছেলে আবদুল কাইয়ুম মিয়া (২২) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাসিন্দা তারেক মিয়া (২০)। আহত দুজন হলেন ইকরাম হোসেন (১৮) ও কসবার বিল্লাল মিয়া (২৫)। তাঁদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আজ বেলা ১১টার দিকে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন অতিক্রম করে। ট্রেনটি আখাউড়ার মোগড়া রেলওয়ে সেতু এলাকায় পৌঁছালে ট্রেনের যাত্রীবাহী বগির ছাদে থাকা চার তরুণ উঠে দাঁড়ান এবং ভিডিও বানাতে শুরু করেন। তিন তরুণ মিলে একজনের ভিডিও করছিলেন। এ সময় রেললাইনের ওপর দিয়ে যাওয়া তারে জড়িয়ে তাঁরা ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যান।

এতে ঘটনাস্থলেই কাইয়ুম মিয়া নামের একজনের মৃত্যু হয়। স্থানীয় লোকজন আহত তিনজনকে উদ্ধার করেন। দুজনকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও একজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারেক মিয়া নামের আরেকজনের মৃত্যু হয়।

আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. লুৎফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুজনকে আনা হয়েছিল। দুজনই অজ্ঞান ছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একজন মারা গেছেন বলে শুনেছেন। তবে তাঁর মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা গোপা পাল ও সানজিদা হক বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। একজনের মাথার খুলিতে ও আরেকজন গলায় ডিশ লাইনের তারের জখম আছে। দুজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, চার তরুণ ট্রেনের ছাদে দাঁড়িয়ে ‘টিকটক ভিডিও’ তৈরি করছিলেন। ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেকজন মারা যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ