একই বিসিএসের মাধ্যমে যোগদান করে প্রশাসন ক্যাডারের কোনো কর্মকর্তা সিনিয়র সচিব কিংবা মন্ত্রিপরিষদ সচিব হন; আর কেউ তাঁদের চেয়ে পাঁচ-ছয় ধাপ নিচের পদ থেকে অবসরে যান। কোনো ক্যাডার কর্মকর্তারা সরকারি গাড়ি-বাড়ি-চালক সুবিধা পান; আর কেউ অফিস চালানোর ন্যূনতম আবর্তন ব্যয়টুকুও পান না, নিজের টাকায় অফিস চালান। কেউ গাড়ি কেনার ব্যাপক সুবিধা পান, কেউ পান না।

অতীতে যে ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তারা রাষ্ট্রের যত বেশি ক্ষতি করেছেন, তাঁরাই সুবিধাও পেয়েছেন তত বেশি। যাঁরা ক্ষতি করেননি, তাঁদের কোনো সুবিধাও নেই। বর্তমানে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে মোট ক্যাডারের সংখ্যা ২৬। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে অন্যান্য ক্যাডারের বৈষম্যের চিত্র চূড়ান্ত পর্যায়ের। এই বৈষম্য থেকে সৃষ্ট বিরোধ চরমে পৌঁছেছে।

ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তার মধ্যকার বৈষম্য দূর করার জন্য ২৫ ক্যাডারের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ‘আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’। এই সংগঠনের স্লোগান ‘ক্যাডার যার, মন্ত্রণালয় তার’। নিজেদের দাবি আদায়ে তাঁরা বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করেছেন। এ পরিষদের আয়োজনে ‘জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রত্যাশিত সিভিল সার্ভিস’ শীর্ষক একটি সেমিনার ২০২৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়। আমাকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই সেমিনারে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন পরিষদের সমন্বয়ক ড.

মুহম্মদ মফিজুর রহমান।

সেমিনারে লিখিত বক্তব্যে সমস্যার কথা যেমন তুলে ধরা হয়েছে তেমনি সমাধানের পথও দেখানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সব ক্যাডারের পদোন্নতি প্রশাসন ক্যাডারের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা নিজেদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করেন। অন্যেরগুলোর সঙ্গে সমতা বিধান করেন না। সমস্যা নিরসনে পিএসসির অধীনে পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষমতা অর্পণের দাবি তোলা হয়েছে। প্রশাসনসহ সব ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি পিএসসি দেবে।

উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের যেকোনো কাজ প্রশাসন ক্যাডারের অধীনে থাকায় সেই কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে ও অন্তঃকোন্দল সৃষ্টি হচ্ছে। সে জন্য প্রশাসন ক্যাডারের অধীনতা থেকে এসব কাজ মুক্ত করার দাবি জানানো হয়। মন্ত্রীদের খুব কাছে থাকার সুবাদে চাকরির অনেক সুবিধা কেবল প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা পান বলেও উল্লেখ করা হয়। সব ক্যাডারের জন্য সমসংখ্যক পদসোপান সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে, যাতে একই সময়ে একই বিসিএসের সবার পদোন্নতি নিশ্চিত করা যায়।

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষেই সহজেই সম্ভব এই বৈষম্যমূলক পদ্ধতির মূলোৎপাটন করা। বৈষম্যবিরোধী সরকারের হাত ধরে আন্তক্যাডার বৈষম্য দূর হোক। এটি বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিসের যুগ যুগ ধরে চলে আসা জটিলতা দূর করবে। ২৫টি ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের দাবি আমলে নেওয়া হোক। দেশটা আমাদের সবার। এমনও আছে, পরিবারের একেকজন একেক ক্যাডারের কর্মকর্তা। আমরা চাই, সবার যৌথ প্রচেষ্টায় দেশ এগিয়ে যাক।

উল্লিখিত সেমিনারপত্রে ওই সময়ের প্রশাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, পুলিশ ও পশু সম্পদ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির তুলনামূলক একটি চিত্র হাজির করা হয়েছে। সেমিনারপত্র অনুযায়ী, ওই সময়ে Ñপ্রশাসন ক্যাডারে মোট কর্মকর্তা ৭ হাজার ৭৬ জনের মধ্যে ১০৪ জন ছিলেন প্রথম গ্রেডে, ৪৬১ জন ছিলেন দ্বিতীয় গ্রেডে, ৮৫১ জন তৃতীয় গ্রেডে। এ ছাড়া কয়েকজন সিনিয়র সচিব ও মন্ত্রিপরিষদের সচিব ছিলেন।

পুলিশের ৩ হাজার ১০০ কর্মকর্তার মধ্যে প্রথম গ্রেডে ছিলেন ২ জন, দ্বিতীয় গ্রেডে ছিলেন ৮, তৃতীয় গ্রেডে ছিলেন ১৩৫ জন। কৃষি ক্যাডারের ৩ হাজার ২০০ জনের মধ্যে প্রথম গ্রেডে কেউ নেই, দ্বিতীয় গ্রেডে ছিলেন ৫, তৃতীয় গ্রেডে ছিলেন ৪৯ জন। শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা ১৫ হাজার ৫০০ জন। তাঁদের মধ্যে একজনও প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় গ্রেডে নেই। স্বাস্থ্য ক্যাডারে ৩২ হাজার জনের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রেডে একজনও নেই। তৃতীয় গ্রেডে ছিলেন ৬৫৭ জন। পশু সম্পদ ক্যাডারে ২ হাজার ৯৩ জনের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রেডে কেউ নেই। তৃতীয় গ্রেডে ছিলেন ৩৩ জন। ওই সময়ের সঙ্গে বর্তমান অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি, বরং বৈষম্য আরও বেড়েছে বলে মনে হয়।

শিক্ষা ক্যাডারের সাড়ে ১৫ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে একজনও প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় গ্রেডে নেই। অবিশ্বাস্য বৈষম্য! কেন চতুর্থ গ্রেডের ওপরে কেউ নেই—এর কোনো সদুত্তর আছে কি? তাঁরা এক নম্বর গ্রেডে গেলে শিক্ষাব্যবস্থার ওপর কি ভীষণ নেতিবাচক প্রভাব পড়বে? বরং চার নম্বর গ্রেডে গিয়ে থেমে যাওয়ার কারণে তাঁরা মানসিকভাবে আহত হচ্ছেন। রাষ্ট্রের বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার ওপর সৃষ্ট বিরক্তি হতাশাগ্রস্ত করে তুলছে। যার প্রভাব পড়ছে পাঠদানে।

প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা প্রায় সবাই পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় গ্রেডে উন্নীত হবেন। প্রথম গ্রেডেও যাবেন অনেকে। কেবল তা–ই নয়, সুপার গ্রেডে সিনিয়র সচিব মন্ত্রিপরিষদ সচিব হবেন অনেকেই। সিনিয়র সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব—দুটি গ্রেড এক নম্বর গ্রেডেরও ওপরে। স্পেশাল গ্রেডের পদ। আপাতদৃষ্টে বেতন স্কেলে ২০টি ধাপ মনে করা হলেও প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ২২টি। ওপরের দুটি সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা যায় না, এতটাই ওপরে তাঁরা।

আনুপাতিক হারে চিকিৎসকদের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় গ্রেডে যাওয়ার সুযোগ দিলে কি স্বাস্থ্যব্যবস্থার চরম সর্বনাশ হতো? চিকিৎসকেরা প্রথম–দ্বিতীয় গ্রেডে গেলে কি তাঁদের সেবার মান খারাপ হয়ে যেত? অন্য যেকোনো ক্যাডারের চেয়ে একাডেমিক অনেক বেশি যোগ্যতা নিয়েও কেন তাঁরা ওই দুই গ্রেডে যেতে পারবেন না, এ প্রশ্নের উত্তর জানা নেই। স্বাস্থ্য ক্যাডারের অনেক পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও বছরের পর বছর ধরে সেগুলোয় পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না। কোনো কোনো বিভাগে গত ছয় বছরে একবারও পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা ভেবেছিলেন, বৈষম্য দূর হবে। বাস্তবে সেই বৈষম্য আরও বাড়ছে। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পাচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের মাসখানেকের মধ্যে একেকজন কর্মকর্তা কয়েকবার পদোন্নতিও নিয়েছেন। মৃত কর্মকর্তাদেরও পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নেই।

এখন বিসিএসের ব্যাচ ধরেই পদোন্নতি হয়েছে ও হচ্ছে। স্বাস্থ্য ক্যাডারেও সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এর ভিন্নতা হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বৈষম্য সৃষ্টিতে নতুন নজির স্থাপিত হবে। বৈষম্য দূরীকরণের চেষ্টায় যেন নতুন বৈষম্য সৃষ্টি না হয়। স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা কতটা দুর্ভাগা যে তাঁদের পদোন্নতির জন্য কর্মবিরতি পালনের মতো কর্মসূচিও দিতে হচ্ছে।

পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তারা দুজন ছাড়া কেন অন্যরা এক নম্বর গ্রেডে যেতে পারছেন না? এক নম্বর গ্রেডে বেশিসংখ্যক গেলে কি তাঁরা আইনশৃঙ্খলার সামাল দিতে পারবেন না? সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় পুলিশসহ অন্যান্য ক্যাডারের কেউ কেন হতে পারবেন না? কৃষি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কেউ কেন এক নম্বর গ্রেডে যেতে পারবেন না? পশু সম্পদ ক্যাডারের কর্মকর্তা তো তৃতীয় গ্রেডে চাকরির ইতি টানতে হয়। কেন এত বৈষম্য, সেই প্রশ্ন এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।

কেবল উল্লিখিত কয়েকটি ক্যাডার নয়, দুজন পুলিশ এবং প্রশাসন ছাড়া অন্য সব ক্যাডারের কর্মকর্তাদের এক নম্বরে রাখা হয়নি কী কারণে? প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সবার ভাগ্য নির্ধারণ করার দায়িত্ব পেয়েছেন বলে কি তাঁদের সবার ওপরের আসনে বসে থাকতে হবে? এখানে একটি বিষয় বলে রাখা ভালো, পদোন্নতির সঙ্গে খুব বেশি আর্থিক লাভালাভ থাকে না। এর কারণ, বার্ষিক বৃদ্ধিতে বেতন এমনতিই স্কেলের উচ্চতায় চলে যায়।

একই সঙ্গে একই প্রশ্নের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তারা চাকরিতে যোগদান করেন। কেবল তা–ই নয়, চাকরি স্থায়ীকরণ ও সিনিয়র স্কেল পরীক্ষাও হয় একই প্রশ্নে। এখানে মেধার প্রশ্ন নয়। সবাই অভিন্ন প্রশ্নপত্রে প্রতিযোগিতা করে এসেছেন। কেউ যদি বিশেষ সুবিধা পান, তাহলে তা হওয়া উচিত বিশেষায়িত বিষয়ের ক্যাডার কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্য, প্রকৌশল, কৃষি কিংবা পশু সম্পদ।

প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা নাকি বেশি মেধাবী, তাই তাঁদের বেশি সুবিধা পাওয়া উচিত—এমন একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন আদালত। ওই বিচারক হয়তো জানেন না, সম্মিলিত মেধার পেছনে থাকা কতজন প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি করেন। ‘জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রত্যাশিত সিভিল সার্ভিস’ শীর্ষক সেমিনারপত্রে দেখানো হয়েছে, ২৫তম বিসিএস পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধার দিক থেকে শেষ ৫০ জনের মধ্যে ৩০ জন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা হয়েছেন।

বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যাঁরা চাকরিতে যোগদান করেন, তাঁরা প্রত্যেকে সেবকমাত্র। এসব সেবকের মধ্যে একটি ক্যাডারের নামকরণ যখন হয়, প্রশাসন তখন আর সেবকচরিত্রে তাঁদের মধ্যে থাকে না। এ জন্য এই ক্যাডারের নামও পরিবর্তন করা প্রয়োজন। আন্তক্যাডার বৈষম্য দূরীকরণ এখন দেশের স্বার্থে জরুরি হয়ে পড়েছে।

বিশেষ একটি ক্যাডারের প্রতি অন্তর্বতী সরকারের যে বিশেষ দরদ, তা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। অথচ বিগত দিনগুলোতে জনস্বার্থ বিসর্জন দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ক্যাডারের কর্মকর্তাদের তুলনা নেই।

ভোটের অধিকার থেকে অনেক অধিকার ক্ষুণ্ন করার ক্ষেত্রে এই ক্যাডার সর্বাগ্রে ছিল। ভবিষ্যতে যাতে কোনো রাজনৈতিক সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করে দেশকে নিলামে তুলতে না পারে, সেই ব্যবস্থাও রাখতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষেই সহজেই সম্ভব এই বৈষম্যমূলক পদ্ধতির মূলোৎপাটন করা। বৈষম্যবিরোধী সরকারের হাত ধরে আন্তক্যাডার বৈষম্য দূর হোক। এটি বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিসের যুগ যুগ ধরে চলে আসা জটিলতা দূর করবে। ২৫টি ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের দাবি আমলে নেওয়া হোক। দেশটা আমাদের সবার। এমনও আছে, পরিবারের একেকজন একেক ক্যাডারের কর্মকর্তা। আমরা চাই, সবার যৌথ প্রচেষ্টায় দেশ এগিয়ে যাক।

তুহিন ওয়াদুদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং নদী রক্ষাবিষয়ক সংগঠন রিভারাইন পিপলের পরিচালক

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক য ড র র কর মকর ত দ র সব ক য ড র র প রথম গ র ড প রব ন ন সরক র র ব যবস থ ন কর ন পর ক ষ র সব র ব স এস র জন য দ র কর র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক

চীনের অর্থায়নে এক হাজার শয্যার আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ। মঙ্গলবার তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার টেক্সটাইল মিলসংলগ্ন জায়গাটিকে ‘প্রথম পছন্দ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সাইদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর ডা. জুবায়ের আল মামুন ও জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্তের খবরের পর মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা নেমে এসেছে। উচ্ছ্বসিত এ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মিছিলও হয়েছে।

ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, উপদেষ্টা মহোদয় রংপুর বিভাগের আশপাশে ১০ থেকে ১২ একরের মধ্যে একটি জায়গা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখানে ২০ থেকে ২৫ একর জমি পাওয়া যাবে। ফলে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এটি আরও উপযোগী হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসক এ জায়গাটির বিষয়ে প্রস্তাব দেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় এটি উপযোগী স্থান। এই জায়গা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ দ্বিমত পোষণ করেননি।

ডা. হারুন অর রশিদ আরও বলেন, নিরাপত্তার দিক থেকে উত্তরবঙ্গের মানুষ অত্যন্ত সহনশীল ও শান্তিপ্রিয়। পাশেই সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং সড়ক পথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা এই স্থানটিকে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য আরও উপযুক্ত করে তুলেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ