ভবিষ্যতের ‘হ্যাজি’ গড়ছেন কার্পেন্থিয়ানসের ম্যারাডোনা
Published: 1st, April 2025 GMT
বাঁ পায়ের দুর্দান্ত কারিকুরি, নজরকাড়া ড্রিবলিং আর খেলা তৈরির অসাধারণ দক্ষতার জন্যই রোমানিয়ান কিংবদন্তি ফুটবলার গিওর্গি হ্যাজিকে বলা হতো ‘কার্পেন্থিয়ানসের ম্যারাডোনা’—১৯৯৪ বিশ্বকাপে যাঁর পায়ের জাদু মুগ্ধ করেছিল ফুটবলপ্রেমীদের। সেই বিশ্বকাপে হ্যাজির অসাধারণ নৈপুণ্যে ফুটবল-বিশ্বকে চমকে দিয়ে রোমানিয়া ওঠে কোয়ার্টার ফাইনালে। হ্যাজি করেন তিন গোল। এখন পর্যন্ত এটাই বিশ্বকাপে রোমানিয়ার সর্বোচ্চ সাফল্য। ২০০০ সালে জাতীয় দলকে বিদায় জানান হ্যাজি। রোমানিয়াও ১৯৯৮ সালের পর আর বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিতে পারেনি।
তবে হ্যাজি রোমানিয়াকে আবার বিশ্বকাপে জায়গা পাইয়ে দেওয়ার পথ তৈরির চেষ্টা করছেন। খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় জানানোর পর মনোযোগ দিয়েছেন কোচিংয়ে। ২০০৯ সালে গড়ে তুলেছেন ‘গিওর্গি হ্যাজি ফুটবল একাডেমি’, যেটা এখন দেশটির ভবিষ্যৎ ফুটবলার গড়ার অন্যতম সূতিকাগার।
হ্যাজির একাডেমিতে বর্তমানে প্রায় ২০০ ফুটবলার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি
সরবরাহ কমের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। অধিকাংশ সবজি কিনতে গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে মাছেরও। এতে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে যে স্বস্তি ছিল, তা এখন আর নেই। বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কোনো কোনটির দাম একশো পেরিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে কমে শুধু পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে, তাও ৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া, করলা, বেগুন, বরবটি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
সবচেয়ে বেশি দাম দেখা গেছে কাঁকরোলের। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সজনে ডাঁটা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।
তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। পেঁয়াজের দামও কয়েক সপ্তাহ বেড়ে এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় আটকে আছে।
এদিকে, মাছের বাজারেও বাড়তি দাম দেখা গেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ও চাষের মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইলিশ ও চিংড়ির দাম।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি পিস ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিকেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, স্বাভাবিক সময়ে এসব মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে। এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা, চাষের রুই, তেলাপিয়া,পাঙাশ ও পুঁটি মাছও আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
ঢাকা/সুকান্ত/রাজীব