মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ব্যাংক কর্মকর্তা ও শিশুসহ ৩ ভ্যান যাত্রী নিহত
Published: 1st, April 2025 GMT
মেহেরপুরে ঈদের দিন সোমবার বেপরোয়া গতির একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। সন্ধ্যায় পৌর শহরের কাছে আহাম্মদ আলী টেকনিক্যাল কলেজের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার উজুলপুর গ্রামের হাসানুজ্জামান মোল্লার ছেলে অগ্রণী ব্যাংক অফিসার আক্তারুজ্জান শোভন (২৭), ভ্যানচালক হাসান আলীর ছেলে শিশু যোবায়ের হোসেন (১০) ও সদর উপজলোর বাড়িবাকা গ্রামের মোখলছেুর রহমানের ছেলে আল ইমরান।
আক্তারুজ্জামন ঘটনাস্থলেই মারা যান। শিশু যোবায়ের হোসেন ও আল ইমরানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে মারা যান। আহতরা হলো, গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামের নবিছদ্দিনের ছেলে ভ্যানচালক হাসান আলী ও মাইক্রোচালক গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন পলাশ।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। আহতদের মধ্যে যোবায়ের ও আল ইমরানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে পথেই তারা মারা যান।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি মাইক্রোবাস আমঝুপি এলাকা থেকে বেপরোয়া গতিতে মেহেরপুর শহরের দিকে যাচ্ছিল। মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে একটি ভ্যানে ধাক্কা দেয়। পরে মোটরসাইকেলের সঙ্গ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবা উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মাইক্রোবাস চালক হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটসেন দেখা হবে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
ছবি তুললেই লাঠিপেটা, বনানীতে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ
রাজধানীর বনানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে চালকদের আন্দোলন উত্তপ্তে রূপ নেয়। আন্দোলনের ছবি বা ভিডিও ধারণ করতে গেলেই রিকশাচালকদের হামলার শিকার হতে হয়েছে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে এলাকার যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে বনানী ১১ নম্বর রোড সংযোগ সেতুর সামনে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এই সময়ে যে কোনো ব্যক্তি ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে গেলেই চালকরা তাদের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন। তিনি রাইজিংবিডি ডটকমকে জানান, অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে আন্দোলনের ছবি তুলতেই চালকরা তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে।
তিনি বলেন, ‘‘অফিস সহকারীর সহায়তায় কোনোমতে জীবন নিয়ে ফিরে এসেছি। অটোরিকশা চালকরা বড় রামদা ও লাঠি নিয়ে যাকে পেয়েছে তাকেই আক্রমণ করেছেন।’’
বনানী সোসাইটির বাসিন্দা মোহাম্মদ আমজাদ জানান, তিনি ও তার কয়েকজন বন্ধু রাস্তায় দাঁড়ালে চালকরা তাদের লক্ষ্য করে লাঠিচার্জ শুরু করেন। ছবি তুলতে গেলে আরো বেপরোয়া হয়ে দুই বন্ধুকে গুরুতর আহত করা হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘‘অটোরিকশা চালকরা বস্তি থেকে লোকজন ভাড়া করে এনে সোসাইটির বাসিন্দাদের ওপর হামলা চালাচ্ছেন। এই ঘটনার বিচার না হলে ভবিষ্যতে আরো বড় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে।’’
বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা আন্দোলন করছিল। ছবি তুলতে গেলে তারা হামলা চালিয়েছে। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ঢাকা/রায়হান/এনএইচ