মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০০০ পেরিয়ে গেছে। সোমবার দেশটির সামরিক সরকার জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ভূমিকম্পে আহত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৯০০। এখনও নিখোঁজ ২৭০ জন। দেশটিতে ভূমিকম্পের প্রায় ৬০ ঘণ্টার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সাগাইং অঞ্চলে ধসে পড়া একটি স্কুল ভবন থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস। এই বিপর্যয়ের পর দেশটিতে এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। খবর- বিবিসি

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুনজানান, মান্দালয় অঞ্চলে ২৭০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সেখানে ভূমিকম্পে মসজিদ, সেতু এবং বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বিকল হওয়ায় অনেক অঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যাচ্ছে না। 

গত শুক্রবার মিয়ানমারে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। উদ্ধার তৎপরতা চালাতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দেশটির সরকারকে। এসব সীমাবদ্ধতার মধ্যে উদ্ধারকারীরা যখন জীবিতদের সন্ধান করছেন তখন জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে, যা ত্রাণ প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে। 

সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের ঘটনায় মিয়ানমারের রাস্তাঘাটে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ভূমিকম্পে রাস্তাঘাট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর সঙ্গে সামরিক সরকার, বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং সশস্ত্র যোদ্ধাদের মধ্যে চলা গৃহযুদ্ধের ফলে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারে কাজ করা সাহায্য সংস্থাগুলোর পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে। তবে বিরোধী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট জোর দিয়ে বলছে, যেকোনো সহায়তা যেন স্বাধীনভাবে ও স্থানীয় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। মিয়ানমারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর মান্দালয়ের ঐতিহাসিক অনেক ভবন এই ভূমিকম্পে মাটিতে মিশে গেছে। উদ্ধারকর্মীরা খালি হাতে ধ্বংসস্তুূপ ঘেঁটে দেখছেন। 

২০২১ সাল থেকে মিয়ানমার শাসন করা সামরিক জান্তা দেশটির সাগাইং, মান্দালয়, মাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিডো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। দেশটির দুই বড় শহর, মান্দালয় ও ইয়াংগুনের বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ ম কম প ন হত ভ ম কম প সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

দিনাজপুরে পথেঘাটে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে কাঁচাপাকা খেজুর

দিনাজপুরে রাস্তার পাশে, খালে-বিলে এবং বাড়ির আনাচে-কানাচে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে কাঁচা-পাকা খেজুর। একসময় রাস্তার ধারে অনেক খেজুর গাছ ছিল। এখন অনেক কমে গেছে। নতুন করে খেজুর গাছের আবাদ করতে দেখা যাচ্ছে না স্থানীয়দের। তবে প্রকৃতির ভারসাম্যের জন্য ও বজ্রপাতের নিরোধক হিসেবে খেজুর গাছের আবাদ বাড়ানো উচিত বলে মনে করছেন তারা।

বছরে দুইবার ফলন আসে খেজুর গাছে, শীতকালে মিষ্টি সুস্বাদু রস, আর গরমকালে খেজুর ফল। 

এসময়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে বের হলেই চোখে পড়ছে এই কাঁচাপাকা খেজুর। এখনই অনেক খেজুরে রঙ ধরেছে। তবে এখনো খাওয়ার উপযোগী হয়নি, এখনও খেতে কষ কষ লাগছে, পাকলে তা মিষ্টি হবে। পাকলে অনেকেই এই পাকা খেজুর বাজারেও বিক্রি করবেন। এখনও প্রায় ২৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগবে খেজুরগুলো পাকতে। 

সরকারি সড়কের পাশের গাছগুলো থেকে খেজুর পেড়ে স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা খেতেও শুরু করেছে। 

সদর উপজেলার রামনগর এলাকার রুবেল হোসেন বলেন, “আমার বাড়ির পাশে একটি খেজুরের গাছ রয়েছে। বয়স প্রায় অনেক হয়েছে। শীতকালে প্রতিদিন অনেক রস হতো। এখন গরমের সময় গাছে অনেক খেজুর ধরেছে। খেজুরগুলো কাঁচাপাকা, পাকলে খেতে অনেক মিষ্টি। এখনও এক মাস সময় লাগবে খেজুরে পাক ধরতে।” 

বিরামপুর রেলগট এলাকার আরাফাত মিয়া বলেন, “এই রেলগেটের দক্ষিণ পাশে রেললাইনের দুই পাশে অনেক খেজুরের গাছ রয়েছে। শীতকালে রাজশাহী থেকে কয়েকজন লোক এসে গাছগুলো থেকে রস নামায়। প্রতিদিন অনেক রস হয়। রস থেকে তারা গুড় তৈরি করে এবং এলাকার মানুষের নিকট বিক্রি করে। এখন গরমকাল, প্রতিটি গাছে প্রচুর খেজুর ধরেছে। খেজুরগুলো পাকলে আমরা এলাকার মানুষেরা পেড়ে খাই। খেতে অনেক সুস্বাদু।” 

ঢাকা/মোসলেম/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে জখম, থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ পরিবারের
  • বাংলাদেশকে হারানোর সুবর্ণ সুযোগ দেখছে জিম্বাবুয়ে
  • লেনিন কেন এখনও জরুরি
  • মিয়ানমার জান্তার মরিয়া চেষ্টা
  • হাওরে হাওরে ধান কাটার ধুম
  • ৯০ দিনের মধ্যে গণহত্যার বিচার ও অবিলম্বে আ.লীগের নিবন্ধন বাতিল দাবি
  • বিশ্ব সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন দিবস আজ
  • রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের ইট খোয়া, স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা
  • সুপেয় পানি সংকটের স্থায়ী সমাধানের পথ
  • দিনাজপুরে পথেঘাটে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে কাঁচাপাকা খেজুর