অধ্যাপক ইউনূসকে ঈদের শুভেচ্ছা নরেন্দ্র মোদির
Published: 31st, March 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানোর এই তথ্য জানানো হয়েছে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘পবিত্র রমজান মাসের শেষে আনন্দময় উৎসব উদ্যাপনের এই সময়ে আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের মানুষকে ঈদুল ফিতরের উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিবাদন জানাচ্ছি। পবিত্র রমজানে ২০ কোটি ভারতীয় মুসলিম বিশ্বজুড়ে তাঁদের ভাইবোনদের সঙ্গে রোজা রেখেছেন ও দোয়া করেছেন।’
ঈদুল ফিতর আনন্দময় উদ্যাপন, তার প্রতিফলন, কৃতজ্ঞতা ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি সময় উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদি শুভেচ্ছাবার্তায় বলেছেন, ‘এটি আমাদের সহমর্মিতা, উদারতা ও সংহতির মূল্যবোধের কথা মনে করিয়ে দেয় যা আমাদের জাতি হিসেবে এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে এক জায়গায় নিয়ে আসে। এই শুভক্ষণে আমরা সারা বিশ্বের মানুষের জন্য শান্তি, সম্প্রীতি, সুস্বাস্থ্য ও সুখ কামনা করছি। আমাদের দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হোক।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের জামাতে মুসল্লিদের ঢল
বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজ মসজিদে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের জামায়াত উপলক্ষে আজ সোমবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা মসজিদের প্রাঙ্গণে ভিড় জমান।
মুসল্লিদের আধিক্যের কারণে মসজিদে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসলিমদের সুবিধার্থে মূল মসজিদ কমপ্লেক্সের বাইরে উত্তর ও দক্ষিণ পাশে দুটি প্যান্ডেল করা হয়। সেখানেও মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন। সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে ইমামতি করেন খানজাহান আলী (রহ.) মাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা খালিদ।
সকাল সোয়া ৮টায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন। তৃতীয় ও শেষ জামাতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মাদ্রাসার প্রভাষক ও মৌলভীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মাসুম বিল্লাহ।
প্রতিটি জামাতে মুসাল্লিদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং কোলাকুলি মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায় তাদের। সব মিলিয়ে ঈদের জামাত উপলক্ষে ষাটগম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়। প্রথম জামাতে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসানসহ জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।