রেফারিকে মারতে গেলেন কোচ, ফিরলেন লাথি খেয়ে
Published: 31st, March 2025 GMT
পায়ের জাদুতে ব্রাজিল–আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা মাঠের সবুজে সুন্দর ফুটবলের ফুল ফোটান। যুগে যুগে দক্ষিণ আফ্রিকার ফুটবল উপহার দিয়েছে পেলে, ম্যারাডোনা, রোনালদো নাজারিও, লিওনেল মেসি, রোনালদিনিও, নেইমারদের মতো সৃষ্টিশীল ফুটবলার।
এই দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলেই আবার দেখা যায় মাঠের মধ্যে মারামারি, ঘটে কত ধরনের ঘটনা। কখনো এমন খবরও আসে যে রেফারি নিজেকে রক্ষা করতে মাঠে নেমেছেন পকেটে পিস্তল নিয়ে। গতকাল তেমন কিছু ঘটেনি। তবে পেরু কাপের ম্যাচে রেফারি নিজেকে বাঁচাতে একটি দলের কোচিং স্টাফের এক সদস্যকে লাথি মেরেছেন।
পেরু কাপে দেশটির সব অঞ্চলের ক্লাব অংশ নেয়। এখানে খেলেই দেশের শীর্ষ লিগে জায়গা করে নেয়। প্রায় প্রতিবছরই এই টুর্নামেন্টে অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। গতকাল স্পোর্ত হুয়াকিয়া ও মাগদালেনার মধ্যকার ম্যাচে তেমনই এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে।
ম্যাচ তখন শেষের দিকে। দ্বিতীয়ার্ধের ৩৭ মিনিটের খেলা চলছিল। নিজেদের মাঠে হুয়াকিয়া এগিয়ে ছিল ২–১ গোলে। এমন সময় হঠাৎ রেফারির দিকে একটি বোতল নিয়ে তেড়ে যান মাগদালেনার কোচিং দলের একজন। মাঠে ঢুকে তিনি রেফারির দিকে ছুটে যাচ্ছিলেন। অবস্থা বেগতিক দেখে রেফারিও দৌড়ে এসে কোচিং দলের ওই সদস্যের ঘাড়ে জোরেশোরে লাথি মারেন। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে পড়ে যান ওই কোচ।
এ ঘটনার পর রেফারিকে বাঁচাতে পুলিশ মাঠে চলে আসে। ঝামেলাপূর্ণ কিছু সময় কাটানোর পর ম্যাচটি বাতিল ঘোষণা করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবক আমিরুল মৃধাকে (৩২) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আমিরুল ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার খরসূতি গ্রামের মৃত আনোয়ার মৃধার ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৯ জুন ফরিদপুর পৌরসভার কমলাপুর পিয়ন কলোনিতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ওই দিন শিশুটি স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পর তার মামার দোকানে চিপস কেনার জন্য যায়। ওই সময় আমিরুল দোকানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি শিশুটিকে কলোনির একটি হোস্টেলের পিছনের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে শিশুটির মা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং মামলা করেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আইনজীবী গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট। এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে ধর্ষকদের জন্য।