রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে মাহফুজা আক্তার (৪৮) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মাহফুজার মরদেহ রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।

প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডেমরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম।

পুলিশ কর্মকর্তা শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ডেমরার বাঁশেরপুলের একটি বাসা থেকে মাহফুজা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের আগে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব নয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি খুন হয়েছেন।

মাহফুজা আক্তারের ছোট বোন মাকসুদা হক দাবি করেন, ১০ বছর আগে তাঁর বোনের স্বামী মারা যান। মারা যাওয়ার আগে ডেমরার বাড়িটি লিখে দিয়ে যান তাঁর ভগ্নিপতি। তাঁর বোন ডেমরার ওই বাড়িতে থাকতেন। এ নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ক্ষোভ ছিল। এর বিরোধের জের ধরে তাঁর বোনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন মাকসুদা।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় মোটরসাইকেল থামিয়ে যুবককে গুলি করে হত্যা

খুলনার ফুলতলা উপজেলার পিপরাইল গ্রামে মোটরসাইকেল থামিয়ে সুমন মোল্লা নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরের দিকে ঘটনাটি ঘটে। নিহত সুমন একই গ্রামের রকিব উদ্দিন মোল্লার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে জামিরা বাজারে যেতে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে রওনা হন সুমন। বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে বিপরীত দিক থেকে একটি মোটরসাইকেল আসা তিন যুবক তার গতিরোধ করে। তাদের মধ্যে একজন সুমনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলিটি সুমনের ডান থুতনি ভেদ করে বের হয়ে যায়। 

আরো পড়ুন:

গাজীপুরের আদালতে দীপু মনি-পলকসহ ৬ জন

অঝোরে কাঁদছেন পারভেজের মা

এ সময় সুমন মোটরসাইকেল থেকে পাশের ধান ক্ষেতে পড়ে যান। পরে স্থানীয়ার ধান ক্ষেত থেকে সুমনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।

ফুলতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে সন্ত্রাসীরা তাকে (সুমন) গুলি করে হত্যা করে। হত্যাকারীদের আটকে পুলিশ চেকপোস্ট এবং অভিযান পরিচালনা করছে। সুমনের মরদেহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ