প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশবাসীকে ঈদুল ফিতরের বার্তা ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে এবং দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের ঈদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আমরা একে অপরের কাছাকাছি যেতে পারি, আমাদের দূরত্ব কমিয়ে আনতে পারি, দেশ ও সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি। কারণ, এবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা অর্জন করতে হবে।’

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে এই বার্তা মনে রাখতে হবে।

সোমবার বিকেলে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে (সিএও) আয়োজিত অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা একে অপরের প্রতি সহনশীল হব, আমরা পরস্পরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলব। এর মাধ্যমে একটি সমাজে শান্তি ফিরে আসে। বাংলাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা এখন জরুরি এবং এটি প্রতিদিন আমাদের মনে রাখতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তাঁরা (জনগণ) দেশে শান্তি চান, যাতে মানুষ স্বাধীনভাবে তাঁদের দিন কাটাতে পারেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা একে অপরের মঙ্গল কামনা করি এবং আমরা দেশ ও সারা বিশ্বের জন্য শান্তি কামনা করি।’

ঈদের বার্তা তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ঈদ জাতি এবং তার জনগণকে পরিশুদ্ধ করার একটি অনন্য দিন, যাতে তারা সব দূরত্ব এবং সব পার্থক্য কাটিয়ে তাদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে পারে।

অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘জাতির সেই ঐক্য দরকার, বিশেষ করে এই সময় যখন আমরা আমাদের ইতিহাসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

এই ঐক্য গড়ে তুলতে এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্য অধ্যাপক ইউনূস সবার সাহায্য কামনা করেন।

এ সময় উপদেষ্টাবৃন্দ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, কূটনীতিক, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য, সংস্কার কমিশনের সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সুশীল সমাজের সদস্য এবং সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় সিনেমা হলে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ 

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় সিনেমা হলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ দর্শকরা।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর শহরের মাছ মহালে সোনালী টকিজ সিনেমা হলে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের সোনালী টকিজ সিনেমা হলে ঈদ উপলক্ষে বরবাদ সিনেমা চলছে। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার শোতে বিভিন্ন এলাকার দর্শক আসেন। সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সিনেমা ঠিকঠাক চললেও এরপর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ হয়ে যায়। ৩০ মিনিট সময় নিয়েও সাউন্ড সিস্টেম ঠিক না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হন দর্শকরা। পরে হামলা চালিয়ে সিনেমা হলের চেয়ার, বেঞ্চ ভাঙচুর করে।  পাশাপাশি সিনেমা হলের পোস্টার ছিড়ে নিচের কক্ষে অগ্নিসংযোগ করে। পরে স্থানীয় একদল যুবক বিক্ষুব্ধদের ধাওয়া দিলে সিনেমা হল এলাকা ত্যাগ করেন তারা। 

এ প্রসঙ্গে বিক্ষুব্ধ দর্শকরা জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির সময় হল কর্তৃপক্ষ কলাপসিবল গেটে তালা দিয়ে চলে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা ভাঙচুর চালায়। 

এ বিষয়ে জানতে সিনেমা হল পরিচালনাকারী হারুনুর রশিদকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে, হারুনুর রশিদের ছেলে লিমন জানান, তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাসায় চলে গেছেন। 

ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাস বলেন, “সিনেমা চলার সময় সাউন্ড সিস্টেমে ত্রুটি দেখা দেয়। সেটি মেরামত করতে না পারায় কর্তৃপক্ষ বাইরে থেকে সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া করে আনতে যায়। কিন্তু বাইরে কলাপসিবল গেটে তালা দেখে দর্শকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর চালায়।”

ঢাকা/মিলন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ