অধ্যাপক ইউনূসকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শাহবাজ শরিফের ফোন
Published: 31st, March 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। আজ সোমবার অধ্যাপক ইউনূসকে ফোন করেন শাহবাজ শরিফ। ফোনালাপে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে সন্তোষজনক আলোচনা হয়েছে। আমরা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি এবং পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদারের বিষয়ে আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি।’
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের আসন্ন বাংলাদেশ সফরের বিষয়টিও পোস্টে উল্লেখ করেন শাহবাজ শরিফ। তিনি লিখেছেন, ‘আগামী ২২ এপ্রিল একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলকে নিয়ে উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের অপেক্ষায় আছি। অধ্যাপক ইউনূসকে তাঁর জন্য সুবিধাজনক সময়ে পাকিস্তান সফরে আসার জন্য আবারও আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এ ছাড়া প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লাসহ বাংলাদেশ থেকে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদলকেও পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, ইনশা আল্লাহ।’
এই টেলিফোন আলাপের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফোন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শরিফ মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি আগামীতে সুবিধাজনক সময়ে পাকিস্তান সফরের জন্য অধ্যাপক ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সফর র
এছাড়াও পড়ুন:
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের জামাতে মুসল্লিদের ঢল
বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজ মসজিদে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের জামায়াত উপলক্ষে আজ সোমবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা মসজিদের প্রাঙ্গণে ভিড় জমান।
মুসল্লিদের আধিক্যের কারণে মসজিদে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসলিমদের সুবিধার্থে মূল মসজিদ কমপ্লেক্সের বাইরে উত্তর ও দক্ষিণ পাশে দুটি প্যান্ডেল করা হয়। সেখানেও মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন। সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে ইমামতি করেন খানজাহান আলী (রহ.) মাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা খালিদ।
সকাল সোয়া ৮টায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন। তৃতীয় ও শেষ জামাতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মাদ্রাসার প্রভাষক ও মৌলভীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মাসুম বিল্লাহ।
প্রতিটি জামাতে মুসাল্লিদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং কোলাকুলি মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায় তাদের। সব মিলিয়ে ঈদের জামাত উপলক্ষে ষাটগম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়। প্রথম জামাতে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসানসহ জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।