অশ্বিনীর বোলিং তোপে ১১৬ রানেই অলআউট কলকাতা
Published: 31st, March 2025 GMT
আইপিএলের ২০২৫ আসরের প্রথম দুই ম্যাচে মাঠে নেমে দুটিতেই হেরেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আজ সোমবার (৩১ মার্চ) তৃতীয় ম্যাচে তারা কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হয়। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে কলকাতা। কিন্তু অভিষিক্ত পেসার অশ্বিনী কুমারের বোলিং তোপে ১৬.২ ওভারে মাত্র ১১৬ রানে অলআউট হয়েছে কেকেআর।
অশ্বিনী ৩ ওভার বল করে ২৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। শুধু তাই নয়, অভিষেক ম্যাচে নিজের করা প্রথম বলেই তিনি আজিঙ্কা রাহানের উইকেট শিকার করেন। এরপর রিংকু সিং, মানিশ পান্ডে ও আন্দে রাসেলের উইকেট নেন তিনি।
দীপক চাহার ২ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট, হার্দিক পান্ডিয়া, ভিনেশ পাথুর ও মিচেল স্যান্টনার।
আরো পড়ুন:
ঈদ শুভেচ্ছায় যে বার্তা দিলেন ক্রিকেটাররা
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন সাকিব
ব্যাট হাতে কলকাতার অঙ্গকৃষ রখুবংশী ১৬ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন। রামানদীপ সিং ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান। এছাড়া মানিশ পান্ডে ১৯, রিংকু সিং ১৭ ও আজিঙ্কা রাহানে করেন ১১ রান।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট কলক ত
এছাড়াও পড়ুন:
গা-ছাড়া ক্রিকেটে ডুবল আশার সূর্য
পূর্বে উদিত সূর্যের কড়া তাপের দিনে বাংলাদেশের ক্রিকেট আকাশে নতুন কিছু শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দল। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ২৫ বছরে যা গড়ে উঠেনি টেস্ট সংস্কৃতি, সেটাই নতুন করে শুরুর ঘোষণা মিলেছিল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কণ্ঠে।
আত্মবিশ্বাসী ক্রিকেট খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেল্ফ ক্রিকেট থেকে বেরিয়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে হোক বা দক্ষিণ আফ্রিকা, এক দাঁড়িপাল্লায় মেপে প্রতিটি বল বুক চিতিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু ২২ গজে দেখা মিলল গা-ছাড়া ক্রিকেটের। তাতে টেস্ট সংস্কৃতি গড়ে তোলার যে অভিপ্রায় তা ভেস্তে গেছে প্রথম সুযোগে।
নিবেদনে প্রবল ঘাটতি, হতশ্রী ব্যাটিং প্রদর্শনী ও লড়াইয়ের জেদের অভাব। তাতে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিনটি জিম্বাবুয়ে নিজেদের করে নিয়েছে। সময় যত গড়িয়েছে, মধ্য গগন থেকে সূর্য পশ্চিমে যতটা হেলেছে বাংলাদেশের সম্ভাবনার সূর্যও ডুবেছে অতলে।
আরো পড়ুন:
অবশেষে জিম্বাবুয়ে সিরিজ সম্প্রচারকারী চ্যানেল পেলো বিসিবি
সিলেট ও চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত দিয়ে মাত্র ১৯১ রানে অলআউট বাংলাদেশ। ধারহীন বোলিংয়ের বিরুদ্ধে জবাব দিতে নেমে জিম্বাবুয়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৬৭ রান তুলে রাঙিয়েছে প্রথম দিন। ১০ উইকেট হাতে রেখে দিন শেষ করার স্বস্তিতে মুখে চওড়া হাসি অতিথি শিবিরে।
সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যর্থতার গল্পগুলো একই রকম। ব্যাটিং ব্যর্থতায় হতাশার সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া। বোলিংয়ে শেষ কয়েক বছর লড়াই করলেও ব্যাটিং মাথা ব্যথার কারণ। কালেভাদ্রে হাসে ব্যাট। বেশিরভাগ সময়ই থাকে আড়ালে। সিলেটের ২২ গজে আজকের দিনটা ছিল তেমনই।
যদিও বোলারদের এখানে ক্রেডিট দেওয়ার সুযোগ সামান্য। জিম্বাবুয়ের বোলাররা আহামরি বোলিং করেননি যে বাংলাদেশ ৬১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলবে। অতীত রেকর্ডও বিশ্রী। এই টেস্টের আগে অলআউট হওয়া দশ ইনিংসের মধ্যে ছয়টিতেই দুইশ ছুঁতে পারেনি।
যার শুরুটা ওপেনিং জট থেকে। সবশেষ ৩১ ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে কোনো সেঞ্চুরি আসেনি। এবার ৩১ রানেই উদ্বোধনী জুটিতে ফাটল। সাদমান স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরার ১ রান পরই মাহমুদুল হাসান জয় উইকেটের পেছনে তালুবন্দি হন। প্রথম সেশনে আর কোনো বিপদ বাদেনি। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনেই সব ওলটপালট। উইকেট আহামরি কঠিন ছিল না। ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ ছিল। জিম্বাবুয়ের বোলাররাও আহামরি বোলিং করেননি যে ব্যাটিংয়ে ধস পড়বে।
আত্মঘাতি শটে উইকেট উপহার দিয়ে না আসলে ব্যাটসম্যানদের আউট করা কঠিন ছিল। অতিথিদের জন্য কাজটা সহজ করে দেন অধিনায়ক শান্ত (৪০), মুশফিকুর (৪), মুমিনুল (৫৬) ও মিরাজ (১)। তাদের পথ অনুসরণ করেন তাইজুল (৩)। ৪৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে তুলে দাঁড়ানোর শক্তি লেজের ব্যাটসম্যানদের ছিল না। জাকের আলীর ২৮, হাসান মাহমুদের ১৯ রান স্কোরবোর্ড কিছুটা সমৃদ্ধ করে। ওতোটুকুই যা লড়াই। টেস্টে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করে ব্যাটিং জুটি। শুরুর দুই ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরার পর তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল ও শান্ত ১২৮ বলের জুটি গড়েছিলেন। ৬৬ রান আসে তাদের জুটিতে। যা দলের পক্ষে ছিল সর্বোচ্চ। বাকিটা সময়ে কেবল ছিল আসা-যাওয়ার মিছিল।
একই উইকেটে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা ১৪.১ ওভার খেলার সুযোগ পেয়েছিল। ব্রেইন বেনেটের ৩৭ বলে ৬ চারে সাজানো ৪০ ও বেন কারানের ৪৯ বলে ১৭ রানের জমাট ৬৭ রানের জুটি অবাক করেছে সবাইকেই। শেষ বিকেলে চার বোলার ব্যবহার করেও কোনো সাফল্য মেলেনি। তাতে দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একচ্ছত্র আধিপত্য ধরে দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে অতিথিরা।
ব্যাকফুটে থাকা বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন ফিরতে না পারলে টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ম্যাচের এপিটাফ লিখে নিয়েছে ধরে নেওয়াই যাবে।
ঢাকা/আমিনুল