বন্দরে গণমাধ্যম কর্মীকে কুপিয়ে জখম, বিএনপি অফিস ভাংচুর
Published: 31st, March 2025 GMT
বন্দরে জাহাজের পুরাতন গরদা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেওয়ার কাজে বাধা দেওয়ার জের ধরে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক রাসেল ইসলাম জীবন (৪৩) কে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ফেসিস্ট দোসর সাদা জাহাঙ্গীরসহ তার সন্ত্রাসী বিরুদ্ধে।
ওই সময় হামলাকারিরা ফেসিস্টরা স্থানীয় বিএনপি অফিসে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে আহতের কাছ থেকে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও ক্যাশবাক্স থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আহত গনমাধ্যম কর্মী রাসেল ইসলাম জীবন বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের মাহমুদনগর এলাকার মৃত নাজির সরদারের ছেলে।
স্থানীয় এলাকাবাসী আহতকে মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় বন্দর থানার মাহমুদনগর এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে আহত গনমাধ্যমকর্মী বড় ভাই গরদা ব্যবসায়ী নাদিম মাহামুদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ওই দিন দুপুরে ফেসিস্ট দোসর সাদা জাহাঙ্গীর, আলমগীর, সাইফুল, আকিব, আয়াতসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৭ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ও বাদীর তথ্য সূত্রে জানাগেছে, বন্দর থানার মাহমুদনগর এলাকার মৃত আজগর আলী মিয়ার ছেলে ফেসিস্ট সরকারের দোসর জাহাঙ্গীর ওরফে সাদা জাহাঙ্গীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে মাহমুদনগর এলাকাবাসী।
গত রোববার (৩০ মার্চ) আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর ওরফে সাদা জাহাঙ্গীর ও তার ভাই আলমগীর একই এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে সাইফুল, আলমগীর মিয়ার ছেলে আকিব ও শওকত মিয়ার ছেলে আয়াতসহ ৫/৭ জন সন্ত্রাসী অভিযোগের বাদী ভাঙ্গারী ব্যবসা নাদিম মাহমুদ এর দোকান থেকে জোর পূর্বক পুরাতন জাহাজের গরদা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
ওই সময় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী ছোট ভাই গণমাধ্যম কর্মী রাসেল ইসলাম জীবন বাধা প্রদান করলে এ নিয়ে তাদের মধ্য বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় ফেসিস্ট দোসর সাদা জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উল্লেখিত ভাঙ্গারী দোকানে অর্তকিত হামলা চালায়।
ওই সময় হামলাকারিরা গণমাধ্যম কর্মীকে হত্যার উদ্দেশ্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক কাটা ও হাড় ভাঙ্গা জখম করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে হামলাকারিরা ২০ নং ওয়ার্ড বিএনপি একটি কার্যালয়ে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় মাহমুদনগর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ল ইসল ম জ ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রাউন সিমেন্টের পরিচালকদের ২ কোটি শেয়ার হস্তান্তর, পেয়েছেন যারা
পুঁজিবাজারে সিমেন্ট খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসির চারজন উদ্যোক্তা পরিচালক তাদের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের কাছে প্রায় ২ কোটি শেয়ার হস্তান্তর করেছেন। ওই শেয়ারগুলো তারা ঘোষণা ছাড়াই বিক্রি করতে পারবেন।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসির উদ্যোক্তা পরিচালকরা হলেন- মিজানুর রহমান মোল্লা, আলমগীর কবি, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও মোল্লা মোহাম্মদ মজনু।
আরো পড়ুন:
হামি ইন্ডাস্ট্রিজের চার বছরের আর্থিক হিসাব তদন্তে কমিটি
অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়
পুঁজিবাজারের সমস্যা সমাধানে অ্যাকশন প্ল্যান দেওয়ার নির্দেশ
পরিচালক মিজানুর রহমান মোল্লা তার স্ত্রী আনোয়ারা রহমানকে ৩০ লাখ ও মেয়ে মুসসারাত মেহেজাবিনকে ৩০ লাখ শেয়ার দিয়েছেন। তিনি দুজনকে দিয়েছেন মোট ৬০ লাখ শেয়ার।
পরিচালক আলমগীর কবির পরিচালক তার ছেলে সোলায়মান কবিরকে ২৯ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার, স্ত্রী কামরুন নাহারকে ১৫ লাখ, মেয়ে রায়সা কবিরকে ৫ লাখ, ছেলে রায়হানুল কবিরকে ৫ লাখ ও মেয়ে নুসাইবাহ কবিরকে ৫ লাখ শেয়ার দিয়েছেন। তিনি মোট ৫৯ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার দিয়েছেন।
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম- এই পরিচালক তার স্ত্রী মাসুমা বেগমকে ১৫ লাখ, মেয়ে সাদমান সায়কা সেফাকে ১৫ লাখ, ছেলে সালেহিন মুশফিককে ১৫ লাখ শেয়ার দিয়েছেন। তিনি দিয়েছেন মোট ৪৫ লাখ শেয়ার।
মোল্লা মোহাম্মদ মজনু পরিচালক হিসেবে তার ছেলে আতিক মুর্শেদকে ৩০ লাখ শেয়ার দিয়েছেন।
কোম্পানিটির এই চারজন পরিচালক মোট ১ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার হস্তান্তর করেছেন।
ঢাকা/এনটি/রাসেল