ঈদ শুভেচ্ছায় যে বার্তা দিলেন ক্রিকেটাররা
Published: 31st, March 2025 GMT
দেশব্যাপী ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। অত্যন্ত আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন ক্রিকেটাররা। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্ত-সমর্থক ও দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তাও দিচ্ছেন ক্রিকেটাররা।
এই যেমন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা তামিম ইকবাল লিখেছেন, ‘‘এই ঈদে আল্লাহ আপনার সুস্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনুক। ঈদ মোবারক।’’
অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, ‘‘আসসালামু আ’লাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহ। তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম! আল্লাহ আমাদের সকল প্রার্থনা, ইবাদত ও ভালো কাজ কবুল করুক। আমাদের ও আমাদের পাপসমূহ মার্জনা করুক এবং আমাদের ইহকাল ও পরকালিন জীবনে সাফল্য দান করুক।’’
আরো পড়ুন:
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন সাকিব
দ.
অবসর ঘোষণা দেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একবাক্যে লিখেছেন, ‘‘ঈদের সুন্দর সকাল।’’
তারকা অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ লিখেছেন, ‘‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম। সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।’’
তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ লিখেছেন, ‘‘আসসালামুআলাইকুম, সবাইকে ঈদুল ফিতরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক টু এভরিওয়ান।’’
স্ত্রী-সন্তানসহ নিজের একটি ছবি দিয়ে লিটন কুমার দাস লিখেন, ‘‘আমাদের পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদ মোবারক। আশা করি এই উপলক্ষ আমাদের সবাইকে আরও বিনয়ী ও একে অপরের প্রতি সহায়ক হতে সাহায্য করবে। আমরা সবাই মিলে শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়তে পারি।’’
পেসার শরীফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘ঈদ মোবারক। তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম!’’
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লবণ মাঠ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুপক্ষে সংঘর্ষ-গোলাগুলি, আহত ৩৫
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে লবণ মাঠ নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে সংঘর্ষ ও গোলগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ও গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ ফোরকান, মোহাম্মদ মাহিম, আজিজুর রহমান ও নুর হোসেনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মোহাম্মদ দেলোয়ার, শাহজাহান, মোহাম্মদ রুবেল, জমির উদ্দীন ও আবদুল করিমকে (৪৫) বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার উপকূলীয় সরল ইউনিয়নের উত্তর সরল নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর সরল এলাকার জাফর আহমদের ছেলে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন লবণ মাঠ থেকে ফিরছিলেন। নতুন বাজার এলাকায় পৌঁছালে আমানুল্লাহ ও কবিরের নেতৃত্বে তাকে আটক করে মারধর করা হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে দেলোয়ারের লোকজন তাকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে আমানুল্লাহ ও কবিরের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এ সময় দেলোয়ারের লোকজন প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাদের ওপর গুলি চালানো হয় বলে জানান আহতরা।
গুলিবিদ্ধ ও আহতরা হলেন- মৃত জালেকের ছেলে ফোরকান (৩০), বদি আলমের ছেলে মোহাম্মদ মাহিম (১৮), মৃত নুরুল আমিনের ছেলে আজিজুর রহমান (৫০), মৃত আমিরুজ্জামানের ছেলে নুর হোসেন (৩৭), জাফর আহমদের ছেলে দেলোয়ার (৩৮), মোহাম্মদ শাকিল (২১), মোহাম্মদ রাকিব (২০), লোকমান (২৭), সৈয়দ নুর (৪৫), নয়ন (১৯), শাহাব উদ্দীন (৩২), মোহাম্মদ ইউনুস (৩২), মোহাম্মদ পারভেজ (২৩), মোহাম্মদ রাশেদ (২৩), মোহাম্মদ হাবিব (২৪), আবদুল আলিম (৪৫), মোহাম্মদ তৈয়ব (৫২), আবু তালেব (৬০) ও মোহাম্মদ ফরিদ (৫২)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ মাহিম বলেন, ‘আটক ও মারধরের খবর পেয়ে আমরা দেলোয়ারকে উদ্ধার করতে যায়। তখন প্রতিপক্ষ আমাদের ওপর হামলা ও গুলি চালায়। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম ও আবদুল্লাহ কবির লিটনের অনুসারী।’
হামলার বিষয়ে কবির হোসেন বলেন, ‘তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদেরও লোকজন আহত হয়েছেন। তবে তাদের ভয়ে আমরা আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারিনি।’
এদিকে হামলা ও গুলিবর্ষণের পর ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘লবণ মাঠ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। আমরা বারবার উভয়পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি।’