এবার পেশাদার ক্রিকেটে আরেক ফ্লিনটফ
Published: 31st, March 2025 GMT
বিখ্যাত বাবার বিখ্যাত ছেলে হতে পারবেন কি না, তা সময়ই বলে দেবে। তবে আপাতত পেশাদার ক্রিকেটার হওয়ার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন কোরি ফ্লিনটফ।
নামের শেষাংশ পড়েই কোরির পরিচয় বুঝে ফেলার কথা। হ্যাঁ, কোরি ফ্লিনটফ ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের বড় ছেলে।
বাবার পথ অনুসরণ করে ফ্লিনটফের দুই ছেলে ক্রিকেটে এসেছেন। মেজ ছেলে রকি ফ্লিনটফ কাউন্টি ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন; খেলছেন বাবারই ক্লাব ল্যাঙ্কাশায়ারে। ১৬ বছর বয়সী রকির এ বছর ইংল্যান্ড লায়ন্সেও (‘এ’ দল) অভিষেক হয়েছে।
এবার ফ্লিনটফের বড় ছেলে ও রকির বড় ভাই কোরিও প্রথমবারের মতো পেশাদার ক্রিকেটে চুক্তিবদ্ধ হলেন। ১৯ বছর বয়সী কোরি আগামী দুই মৌসুম খেলবেন কেন্টে। তাঁকে দলে ভেড়ানোর খবর আজ নিশ্চিত করেছে কাউন্টি ক্লাবটি।
গত কয়েক সপ্তাহ কেন্টে ট্রায়াল দিয়ে কোচিং স্টাফের মন জিতে নিয়েছেন অলরাউন্ডার কোরি ফ্লিনটফ। সম্প্রতি দলটির প্রধান কোচ হয়েছেন ইংল্যান্ডের আরেক সাবেক অলরাউন্ডার ও জাতীয় দলে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের একসময়ের সতীর্থ অ্যাডাম হোলিওক।
একাডেমি ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে কোরি সব ম্যাচ খেলেছেন ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ল্যাঙ্কাশায়ার বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গে তাঁর চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়েছে। ২১ বছর বয়স পর্যন্ত কাউন্টি ক্রিকেটের নবাগত ক্রিকেটাররা বছরে প্রায় ২০ হাজার পাউন্ড (৩১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা) পেয়ে থাকেন। ২০২৭ সাল পর্যন্ত কেন্টে থাকলে কোরি পাবেন ৪০ হাজার পাউন্ডের (৬২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা) মতো।
কেন্টের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কোরি ফ্লিনটফ বলেন, ‘কেন্টে যোগ দিতে পেরে এবং অ্যাডাম হোলিওক ও তাঁর চমৎকার কোচিং স্টাফের অধীন আমার উন্নতি অব্যাহত রাখতে পেরে আমি আনন্দিত। ড্রেসিংরুমে সব সতীর্থ আমাকে স্বাগত জানিয়েছে। এখানকার পরিবেশ অসাধারণ। আমি জানি, শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেটে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কেন্টই আমার জন্য সঠিক জায়গা। আমার সামনে যা অপেক্ষা করছে, তা নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত।’
সর্বশেষ দুই মৌসুম কোরিকে বড্ড ভুগিয়েছে পিঠের চোট। এ কারণে লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে। এখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ। মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ের সঙ্গে পেস বোলিংও করবেন। এ ছাড়া কাউন্টিতে খেলার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনাও চালিয়ে যাবেন। আগামী শুক্রবার নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে ‘ডিভিশন টু’–এর ম্যাচ দিয়ে কেন্টের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে কোরির।
অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের আরও দুই সন্তান আছে। বড় মেয়ে হোলি ফ্লিনটফের বয়স ২১ বছর আর ছোট ছেলে প্রেস্টন ফ্লিনটফের বয়স ৫ বছর।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র বয়স
এছাড়াও পড়ুন:
রোনালদোর ছেলেটি কার—মায়ের পরিচয় আজও রহস্যে ঘেরা
১০০০ গোল? নাকি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা? ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অপেক্ষাটা কিসের? বয়স তো চল্লিশ পেরিয়ে গেল! উত্তর খুঁজতে গিয়ে চুল-দাড়ি পেকে গেল অনেকের। আর সেটা জানে নাকি একটা বাচ্চা ছেলে, আগামী জুনে যে পনেরো ছোঁবে।
ঝামেলা হলো, সে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বড় ছেলে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জুনিয়র। বাবার ব্যক্তিগত ইচ্ছা কী সে হয়তো জানে না, তবে এটা জানে, বাবা একটু সময় দেবেই। এর মধ্যেই তাকে তৈরি হয়ে উঠতে হবে। অর্থাৎ বাবার অবসর নেওয়ার এখনো দেরি আছে। ঠিক কতটা, সেটা সে হয়তো জানে না, আন্দাজ করতে পারে। দুই বছর?
ষোলো-সতেরোর ভেতর সে মূল দলে চলে এলেই বাবার অপেক্ষার অবসান। বাবা কেন বুট তুলে রাখে না, সেটা জুনিয়রের তাই ভালোই জানা। আসল কথা হলো, অবসর নেওয়ার আগে তার বাবা তার সঙ্গে খেলতে চান। গত মাসেই কথাটা বলেছেন ফরাসি সংবাদমাধ্যম ‘ক্যানাল১১’কে, ‘আমি এটা চাই। এমন না যে এটার জন্য রাতে ঘুম হয় না, কিন্তু হলে ভালো হতো।’
জুনিয়র জানে, ফুটবলের তাবৎ উঁচু উঁচু স্বপ্ন ধরাশায়ী করলেও এই স্বপ্ন তার বাবা চাইলেই পূরণ করতে পারবেন না। বাবা তো আর আল নাসর অনূর্ধ্ব-১৫ দলের সঙ্গে মাঠে নামতে পারবেন না! যা করার তাকেই করতে হবে। আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে উঠে আসতে হবে আল নাসরের মূল দলে। সর্বোচ্চ ৩ বছর? তখন হয়তো সম্ভব।
আরও পড়ুনরোনালদোর ছেলের জন্য পাঁচ দেশের দরজা খোলা ২৮ মার্চ ২০২৫এর মধ্যে আসল কাজটা করতে হবে তাকে। বাবা সেটাও সেই ফরাসি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘দেখা যাক। ব্যাপারটা আমার চেয়ে তার (জুনিয়র) ওপর বেশি নির্ভর করছে।’
বাবার জায়গা থেকে দেখলে জুনিয়রের কাঁধে অনেক দায়িত্ব। কিন্তু বাবা আগেই বলে দিয়েছেন সবাইকে, ক্রিসের ‘যেটা ভালো লাগে করবে। আমি হবো গর্বিত বাবা।’
ফুটবলটা যে তার ভালো লাগে না, তা নয়। অবশ্যই ভালো লাগে। আর লোকেও বলে, বাপ কা বেটা; খেলার ধরন ও ধার দেখে। ২০১৯ সালে সংবাদমাধ্যমে বের হয়েছিল, জুভেন্টাসের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে ২৮ ম্যাচে ৫৮ গোল করেছে। আসলে বাবার খেলার জায়গাগুলোই জুনিয়রের ফুটবল পাঠশালা। রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একাডেমি পেরিয়ে এখন আল নাসরের বয়সভিত্তিক দলে। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৩ দলকে সৌদি প্রিমিয়ার লিগ জিতিয়ে এখন অনূর্ধ্ব-১৫ দলে বাবার মতোই ৭ নম্বর জার্সির খেলোয়াড়।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও তাঁর বড় ছেলে ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়র