ফোন দিয়ে ‘চোর’ বলল, ক্যাশে টাকা কম ছিল তাই বস্তাভরে মালামাল নিয়ে এসেছি
Published: 31st, March 2025 GMT
‘প্রতিদিনই তো প্রায় দুই লাখ টাকা বেচাকেনা করেন। তাহলে ক্যাশ ড্রয়ারে টাকা এত কম রেখেছেন কেন? টাকা কম রেখেছেন তাই, কয়েক বস্তা ভরে মালামাল নিয়ে এসেছি।’- রাতে চুরির পর ভোরে দোকান মালিককে ফোন দিয়ে এমন কথা বলেছে এক চোর। আলোচিত এমন কথোপকথনের ঘটনাটি ঘটেছে ঈদের দিন আজ। সোমবার ভোরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা রোডের মল্লিক ফার্মেসির মালিকের সঙ্গে।
প্রতিষ্ঠানটির মালিক হরেন্দ্রনাথ সাহা সমকালকে জানান, ঈদের দিন সোমবার ভোরে বাড়িতে ফন রেখে তিনি হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার মোবাইলে কয়েকবার কল আসে। তিনি বাড়িতে না থাকায় তার স্ত্রী কলটি রিসিভ করলে অপর প্রান্ত থেকে বলেন, আপনাদের দোকান চুরি করেছি। কিছু সময় পরই তিনি বাড়িতে আসলে তার স্ত্রী ফোনের এমন কথাটি জানান। প্রথমে তিনি মনে করেছিলেন, কেউ হয়ত ইয়ার্কির ছলে এমন করছে। এরপর ওই নাম্বারে কল দিলে রিসিভ করে চোর বলেন, ‘রাতে আমি আপনার ফার্মেসিতে চুরি করেছি।’ চোর আরও বলেন, ‘প্রতিদিনই তো আপনার ফার্মেসিতে প্রায় দুই লাখ টাকার উপরে বেচাকেনা করেন। কিন্তু ক্যাশ ড্রয়ারে ৪০/৫০ হাজার টাকা রেখেছেন কেন? টাকা কম রেখেছিলেন, তাই আমরা কয়েক বস্তায় ভরে ঔষধ নিয়ে এসেছি। দোকানে গিয়ে খুলে দেখেন, সব দেখতে পাবেন।’
এমন কথা শোনার পর পরই মালিক হরেন্দ্রনাথ দ্রুত চাবি নিয়ে দোকান খুলে দেখেন, সত্যিই ক্যাশ ড্রয়ার ভাঙা। দোকানের কয়েকটি র্যাকে ওষধপত্র খালি।
মালিক হরেন্দ্রনাথ জানান, ঈদের আগের দিন গভীর রাতে চোরেরা তার দোকানের পেছনের গ্রিল কেটে প্রবেশ করে এই চুরি করে। এ ঘটনার পর বিষয়টি তিনি থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, চুরির ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী দোকান মালিককে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ
এছাড়াও পড়ুন:
ও লেভেল-এ লেভেলসহ বিভিন্ন পরীক্ষার ফি পাঠাতে নতুন নির্দেশনা
শিক্ষার্থীদের ও লেভেল এবং এ লেভেল পরীক্ষার ফি পাঠাতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনা অনুযায়ী এসব পরীক্ষার ফি কেন্দ্রের মাধ্যমে আদান প্রদান করতে পারবে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, ও লেভেল, এ লেভেল, টোফেল, এসএটি প্রভৃতি স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশে অনুমোদিত কেন্দ্রগুলো সরাসরি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে বিদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবে।তবে এই সুবিধা নিতে হলে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থার অনুমোদিত হতে হবে। পাশাপাশি রেমিট্যান্স প্রক্রিয়ার আগে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে ব্যাংকগুলোকে ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা সংগ্রহ করতে হবে।
আগে ব্যাংকগুলোকে এ ধরনের রেমিট্যান্সের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হতো। নতুন নির্দেশনার ফলে এখন থেকে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সমমানের (যেমন ও, এ বা এএস লেভেল) পরীক্ষার জন্য রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই। এছাড়া টোয়েফল, এসএটি ইত্যাদির পরীক্ষার ফি-ও এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই বিদেশে প্রেরণযোগ্য হবে।
আরো পড়ুন:
এসএসসি ও সমমান
পাস-ফেল দূরের কথা, যে স্কুলের কেউ পরীক্ষাই দিচ্ছে না
গণিত পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় এসএসসির কেন্দ্র ভাঙচুর
ঢাকা/এনএফ/এসবি