৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহ-সম্পাদক, তাজুল ইসলাম (৫৪) এর মৃত্যুতে গভির শোক প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. বিয়াজুল ইসলাম। 

সোমবার (৩১ মার্চ) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, তাজুল ইসলাম ছিলেন বিএনপির নিবেদিত প্রান, জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক।

তার এ চলে যাওয়ায় বিএনপি জাতীয়তাবাদী শক্তির একজন পরীক্ষিত সৈনিক হারালো। দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা আমরা  গভীরভাবে শোকাহত।

শোক বার্তায় মো.

রিয়াজুল ইসলাম আরও বলেন, নিহত তাজুল ইসলামের পরিবার পরিজনের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। মহান আল্লাহ তায়ালা তাজুল ইসলামকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন।

উল্লেখ্য, সোমবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় সানারপাড় লন্ডন মার্কেটস্থ নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন তাজুল ইসলাম। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্নাইলাইহের রাজেউন।  
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ত জ ল ইসল ম ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ