সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি ইউনিয়নে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রামের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার ঈদুল ফিতরের নামাজের পর বেলা ১১টার দিকে উপজেলার লামার দমদমিয়া গ্রামের দুর্গামারা বিলের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ভিতরগুল ও লামা দমদমিয়া গ্রামের লোকজনের মধ্যে দূর্গামারা বিলের পাড়ের একটি অস্থায়ী খেলার মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধটি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে এ বিষয়ে একাধিক সালিশ বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু বিষয়টির কোনও সমাধান হয়নি।

এরই মধ্যে সোমবার ঈদের নামাজ শেষে বেলা ১১টার দিকে দমদমিয়া গ্রামের লোকজনের আয়োজনে বিবাহিত ও অবিবাহিত যুবকদের মধ্যে দুর্গামারা বিলের পাড়ে ফুটবল খেলার প্রতিযোগিতা চলছিল।

দমদমিয়া গ্রামের লোকজন ফুটবল খেলছে দেখে ভিতরগুল গ্রামের একদল যুবক একই মাঠে খেলতে যান। এ সময় উভয় গ্রামের যুবকরা মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে বিবাদে জড়ান। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫  জন আহত হন।

পরে আহতদের গোয়াইনঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ বলেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র ম র ল কজন র গ য় ইনঘ ট ফ টবল খ ল স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের জামাতে মাইকের যান্ত্রিক ক্রটি নিয়ে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ, আহত ১০

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ঈদের নামাজ আদায়ের সময় মাইকের যান্ত্রিক ক্রটি নিয়ে কথা কাটাকটি নিয়ে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের দমদমা গ্রামে ঈদের নামাজ আদায়ের সময় এই সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের দমদমা গ্রামে ঈদের নামাজ আদায়ের সময় মাইকের যান্ত্রিক ক্রটির কারণে দুই দলের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে অন্ততঃ ১০ জন আহত হন। আহতদেরকে কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

স্থানীয়রা জানান, দমদমা গ্রামে জামে মসজিদ চত্বরে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। কিন্তু মাইকের ত্রুটির কারণে কাতারের পেছনের লোকজন ইমামের খুতবা শুনতে পরেননি। নামাজ শেষে এ নিয়ে গ্রামের আব্দুস ছালাম মণ্ডল ও উজ্জল সরকারের দলের মধ্যে প্রথমে বাগবিতণ্ডা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে উভয়পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে উজ্জল সরকার (২৬), ছালাম মণ্ডল (৩৬), সেলিম মণ্ডল (৪২), শফিকুল ইসলাম (৪০), করিম সরকার (২৮), সোহেল রানাসহ (২৫) অন্তত ১০ আহত হন। তাদেরকে পার্শ্ববর্তী কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান পুলিশ ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

এ বিষয়ে আব্দুস ছালাম মণ্ডল ও উজ্জল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা এই ঘটনার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেন এবং এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন। 

উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান সমকালকে জানান, দমদমা গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঈদের জামাতে মাইকের যান্ত্রিক ক্রটি নিয়ে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ, আহত ১০