আমিরাতের শেখ জায়েদ মসজিদে ঈদ জামাতে লাখো মুসল্লি
Published: 31st, March 2025 GMT
বিশ্বের অনেক দেশের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতে রবিবার মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন হয়। দেশটির সর্ববৃহৎ শেখ জায়েদ মসজিদে ঈদের জামাতে সবচেয়ে বেশি মুসল্লির সমাগম হয়।
স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আমিরাতের প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে প্রথম সারির সরকারি-বেসরকারি শেখরা এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। সরকারি ও কূটনৈতিক ব্যক্তিরা এই মসজিদে নামাজ আদায় করার কারণে সারা রাত মসজিদে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। তবে কূটনৈতিক ব্যক্তিরা এ মসজিদে নামাজ আদায় করলেও সাধারণ মানুষের প্রবেশে কোনো বাধা ছিল না। এখানে সব দেশের পেশাজীবী মানুষকে নামাজ আদায়ের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত কারণে মসজিদের ভেতর প্রবেশ করতে অনেক সময় লেগে যায়। মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করার জন্য রাত ৩টা থেকেই মুসল্লিরা মসজিদে আসা শুরু করেন।
আরো পড়ুন:
পঞ্চগড়ের যে মসজিদে প্রতিদিন ইফতার করেন ৩০০ জন
দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে খতমে তারাবিহ পড়ার আহ্বান
মসজিদের ভেতর প্রবেশ করার আগে প্রথম সিকিউরিটি গেটে কোনো বাধা না থাকলেও দ্বিতীয় সিকিউরিটি গেট থেকে বডি চেকিংয়ে মাধ্যমে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। সিকিউরিটি ব্যবস্থা এতটাই কড়াকড়ি যে, গেটের বাইরে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমে যায় কিন্তু মসজিদের ভেতর ঢোকার আগেই নামাজ শুরু হয়ে যায়। যার ফলে নামাজ পড়তে আসা এক-তৃতীয়াংশ লোক ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি। তারা বাইরে নামাজ আদায় করেন।
২০০৭ সালে নির্মিত শেখ জায়েদ মসজিদটি আরব আমিরাতে আয়তনে সবচেয়ে বড় মসজিদ ও বিশ্বের ২৩তম বৃহত্তম মসজিদ। এই মসজিদের ভেতরে ৪১ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে অমুসলিম ভিজিটরদেরও প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। তবে কিছু নিয়ম-কানুনের মধ্য দিয়ে তারা ভেতরে প্রবেশ করতে পারেন।
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মসজ দ ঈদ প রব শ ক আম র ত
এছাড়াও পড়ুন:
নলছিটিতে সাব-রেজিস্ট্রারের ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে দলিল লেখকদের কর্মবিরতি
নলছিটি উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার নাহিদ জাহান মুনার বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে টানা তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন উপজেলার সকল দলিল লেখক। তাদের অভিযোগ, সাব-রেজিস্ট্রার মুনা যোগদানের পর থেকেই দলিল লেখকদের কাছ থেকে শ্রেণিভেদে অতিরিক্ত কমিশনের টাকা আদায় করে আসছেন। এমনকি প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাগজপত্র চেয়ে দলিল সম্পাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন তিনি।
দলিল লেখকরা আরও দাবি করেন, নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে পাঁচ দিন অফিস করার কথা থাকলেও সাব-রেজিস্ট্রার মুনা সপ্তাহে মাত্র দুই দিন উপস্থিত থাকেন এবং তাও আবার দুপুরে এসে বিকেলে অফিস থেকে চলে যান। গত ১৩ এপ্রিল এক দলিল লেখকের আইডি সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পর থেকে তারা দলিল সম্পাদনে বিরত থাকার ঘোষণা দেন।
২০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ অনির্দিষ্টকালীন কর্মবিরতির ফলে নলছিটি উপজেলায় জমি ক্রয়-বিক্রয়ের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে কয়েক হাজার জমির ক্রেতা-বিক্রেতা ভোগান্তিতে পড়েছেন এবং সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে। প্রবাসী, দূরদূরান্ত থেকে আসা সেবা প্রত্যাশী ও স্থানীয়রা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন লিটন জানান, সাব-রেজিস্ট্রারের হয়রানিমূলক আচরণের প্রতিবাদে এ কর্মবিরতি চলছে এবং কোনো সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত তা চলবে।
অন্যদিকে,অভিযোগ অস্বীকার করে সাব-রেজিস্ট্রার নাহিদ জাহান মুনা বলেন, এক দলিল লেখক এডিটকৃত ভোটার আইডি দিয়ে দলিল করতে চাওয়ায় তাকে শোকজ করা হয়েছে। সেই কারণেই লেখকরা একজোট হয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন।
জেলা রেজিস্ট্রার মো. মহসিন জানান, এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তবে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।