ঈদের সুবাদে সকল ভেদাভেদ ভুলে, মানবতার কল্যাণে কাজ করতে হবে : সাখাওয়াত
Published: 31st, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বার্তায় নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক মোবারক জানিয়ে সকলের মঙ্গল কামনা করেছেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ এক মাস পবিত্র সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের পয়গাম নিয়ে মাহে রমজান এসেছিল। তার পর আনন্দের বার্তা নিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর এসেছে।
পবিত্র রমজান সকলকে হিংসা-বিদ্বেষ, মারামারি, পরনিন্দা ছেড়ে দিয়ে আত্মসংযম অর্জন করতে শিখায় এবং আল্লাহর ভয় অর্জনের শিক্ষা দেয়। ঈদ ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলের জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে আনে। ঈদুল ফিতরে সবার জীবনে বয়ে আসুক অনাবিল আনন্দ ও সুখ-শান্তি।
সাখাওয়াত হোসেন খান আরও বলেন, ঈদের অনাবিল আনন্দে প্রতিটি মানুষের জীবন হাসি-খুশি ও পূর্ণতায় ভরে উঠুক। এই সুবাদে সকল ভেদাভেদ ভুলে, সকলকে মানবতার কল্যাণে কাজ করতে হবে।
এছাড়াও সাখাওয়াত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সহ দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত রাজনৈতিক সহযোদ্ধাসহ সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ঈদ আনন দ
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের মোনাজাতে খালেদা জিয়ার নাম না বলায় ইমামকে যুবদল নেতার হুমকি
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নে ঈদের নামাজের পর এক দোয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করায় এক ইমামকে বরখাস্তের হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় যুবদল নেতা।
সোমবার (৩১ মার্চ) কাশিপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন চর কাশিপুরের আঞ্জুবাহার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক।
তিনি অভিযোগ করেন, নামাজের দোয়ায় খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করায় ফতুল্লা থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈকত হাসান ইকবাল তাকে হয়রানি করেছেন।
ইমদাদুল হক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক। তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন যে তাকে “হয়রানি করা হয়েছিল এবং চাকরি হারানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল।”
“ঈদের দিন ঈদগাহ থেকে মনে কষ্ট নিয়ে বাড়ি ফিরলাম.. “শিরোনামের তার পোস্টে, ইমদাদুল ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। স্থানীয় অনেকেই যুবদল নেতার আচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং এরই মধ্যে পোস্টটি শতাধিক মানুষ শেয়ার করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কাশিপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে দ্বিতীয় জামাত সকাল পৌনে টার দিকে অনুষ্ঠিত হয়। আখেরি মোনাজাতের সময়, ইমাম দেশ ও জাতির মঙ্গল এবং সকল অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্য কামনা করে প্রার্থনা করেন। তবে তিনি কোনও নির্দিষ্ট নাম উল্লেখ করেননি।
নামাজের পর, যুবদল নেতা সৈকত হাসান ইকবাল এবং তার অনুসারীরা ইমাম ইমদাদুল হকের মুখোমুখি হন। অনুরোধ সত্ত্বেও ইমাম খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করায় ইকবাল ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তিনি ইমামের সাথে তর্ক শুরু করেন, তবে অন্যান্য মুসলিম ব্যক্তিদের তীব্র আপত্তির মুখে তিনি স্থান ত্যাগ করেন।
মুফতি মুহাম্মদ ইমদাদুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নামাজের আগে স্থানীয় বিএনপি সমর্থক এবং ঈদগাহ কমিটির সদস্য তাকে খালেদা জিয়ার আরোগ্যের জন্য বিশেষভাবে প্রার্থনা করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তবে, তিনি কোনও নির্দিষ্ট নাম উল্লেখ না করে সকল অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করার সিদ্ধান্ত নেন।
“আমি যথারীতি নামাজ আদায় করেছি এবং কারও নাম উল্লেখ করিনি কারণ এটি সকল রাজনৈতিক পটভূমির লোকদের নিয়ে একটি জনসমাবেশ ছিল। আমি সকলের মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা করেছি, কিন্তু নামাজের পরে যুবদল নেতা ইকবাল আমাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন। তিনি আমার সাথে আক্রমণাত্মকভাবে কথা বলেন, আমি কেন তার নাম নেই নি তা জানতে চান।
ইমদাদুল হক স্থানীয় বিএনপি নেতাদের যুবদল নেতার অসদাচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত যুবদল নেতা সৈকত হাসান ইকবালকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি তার সাথে খারাপ ব্যবহার করি নি। আমি কেবল জিজ্ঞাসা করেছি, অনুরোধ করার পরেও খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ করেননি কেনো।
তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, যে তিনি তা করতে বাধ্য নন। তারপর আমি তার চাকরি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি এবং পরে জানতে পারি তার মসজিদ কমিটির সভাপতি আমাদের ছোট ভাইদের একজন। ইমামকে বরখাস্ত করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি।