কলকাতায় ঈদের দিন স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে মিছিল
Published: 31st, March 2025 GMT
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় ঈদুল ফিতরের দিন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে মিছিল হয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে রাজ্যটির বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের নামাজে সামিল হন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। তার আগেই এই মিছিল হয়।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঈদের সবচেয়ে বড় নামাজটি হয় কলকাতার রেড রোডে। নামাজ পড়ান ইমাম কাজি ফজলুর রহমান। প্রায় লাখো মুসল্লি এই নামাজে অংশ নিয়েছিলেন।
আরো পড়ুন:
হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
গাজার কিছু এলাকা দখল করতে পারে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু
কলকাতার নাখোদা মসজিদ, টিপু সুলতান মসজিদ, পার্ক সার্কাস, ময়দান, খিদিরপুরসহ রাজ্যের অসংখ্য মসজিদে নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষেই একে অপরকে আলিঙ্গন করেন, কুশল বিনিময় করেন মুসল্লিরা।
এদিন ঈদের নামাজ শুরু হওয়ার আগেই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে কলকাতায় বিশাল সংহতি মিছিল হয়। হাতে ব্যানার নিয়ে স্লোগান তুলে বিশাল মিছিল কলকাতার রেড রোডে প্রবেশ করে। বড়দের পাশাপাশি শিশুদের দেখা যায় মিছিলে।
মিছিলে অংশগ্রহণকারী শেখ আমির নামে এক মুসুল্লি বলেন, “আজকে আমাদের খুশির দিন, আনন্দের দিন। কিন্তু ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই-বোনেদের সঙ্গে যে অন্যায় হচ্ছে, তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ওরাও যাতে শান্তিতে থাকতে পারে, আমরা যেভাবে পরিবারের সাথে ঘরে ঈদ করছি, ঠিক সেভাবে ওরাও যেন পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ পালন করতে পারে।
“আমি যেমন আমার বাচ্চাকে সাথে নিয়ে নামাজ পড়তে এসেছি, ঠিক ওরাও যেন এ রকম করতে পারে। কিন্তু ওদের সাথে প্রচণ্ড অত্যাচার এবং জুলুম হচ্ছে। নিরপরাধ বাচ্চাদের হত্যা করা হচ্ছে। এটা কি অপরাধ নয়? ইসরায়েলের উচিত ওই বাচ্চাদের সাথে মানবিক আচরণ করা। ইসরায়েলের আক্রমণে যেসব বাচ্চারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি,” বলেন শেখ আমির।
রেড রোডের ঈদের নামাজে অংশ নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তার সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও মমতার ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাসহ আরো অনেক নেতাকর্মী।
মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় সমস্ত মসজিদ, ঈদগাহ রঙিন আলোকসজ্জায় সেজে উঠেছে। আগামী কয়েক দিন মুসলিম মহল্লাগুলোতে ঈদ উপলক্ষে চলবে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি খুশির ঈদ উদযাপন হচ্ছে দিল্লি, লখনৌ, হায়দরাবাদ, মুম্বাই, জম্মু-কাশ্মীর, ভোপাল, পাটনাসহ ভারতের প্রতিটি শহরে। দিল্লির জামা মসজিদে এদিন হাজার হাজার মানুষ ঈদের নামাজে অংশ নেয়।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নাগপুরে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে ঈদ উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল নাগপুর, মুম্বাইসহ মহারাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে। নাশকতা এড়াতে দিল্লিসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ শহরেই ছিল পুলিশের কড়া নজরদারি।
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ ঈদ র ন ম জ কলক ত র মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের জামাতে মুসল্লিদের ঢল
বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজ মসজিদে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের জামায়াত উপলক্ষে আজ সোমবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা মসজিদের প্রাঙ্গণে ভিড় জমান।
মুসল্লিদের আধিক্যের কারণে মসজিদে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসলিমদের সুবিধার্থে মূল মসজিদ কমপ্লেক্সের বাইরে উত্তর ও দক্ষিণ পাশে দুটি প্যান্ডেল করা হয়। সেখানেও মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন। সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে ইমামতি করেন খানজাহান আলী (রহ.) মাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা খালিদ।
সকাল সোয়া ৮টায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন। তৃতীয় ও শেষ জামাতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মাদ্রাসার প্রভাষক ও মৌলভীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মাসুম বিল্লাহ।
প্রতিটি জামাতে মুসাল্লিদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং কোলাকুলি মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায় তাদের। সব মিলিয়ে ঈদের জামাত উপলক্ষে ষাটগম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়। প্রথম জামাতে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসানসহ জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।