এই না হলে কি আর তিনি মহাতারকা! হাঁটুর বয়সী এক ছেলের কাছে হেরে যাওয়ার পর চোখের সমস্যাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাননি নোভাক জোকোভিচ। এটা সত্য এবং সবাই দেখেছেনও যে জোকোভিচ মায়ামিতে আজ এটিপি মাস্টার্স ১০০০ টুর্নামেন্টের ফাইনালে চোখে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ নিয়ে খেলেছেন। কিন্তু সেটাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে কৈশোরের প্রান্তে থাকা ইয়াকুব মেনসিকের কীর্তিকে কোনোভাবেই ছোট করতে চাননি জোকোভিচ।

মেনসিকের কাছে ৭–৬ (৭–৪), ৭–৬ (৭–৪) গেমে হারার পর ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে সার্বিয়ার টেনিস তারকাকে যখন চোখের সমস্যার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়, তিনি উল্টো সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার জন্য এটা দুর্ভাগ্যের। দুটি টাইব্রেকার, বৃষ্টির কারণে (৬ ঘণ্টা) দেরিতে শুরু হওয়া অদ্ভুত এক ম্যাচ, অদ্ভুত এক দিন। আমিও কোর্টে সেরা ছন্দে ছিলাম না; কিন্তু যা হয়েছে তো হয়েছেই। তার জয়টাকে ছোট করার কিছু নেই।’ জোকোভিচ এরপর যোগ করেন, ‘সত্যি আমি এসব (চোখের সমস্যা) নিয়ে কথা বলতে চাই না। কিছু বিষয় ছিল, কিন্তু তা বলতে চাই না.

..শুধু তাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। আমি এমন কিছু বলতে চাই না, যেটাকে অজুহাত মনে হয়।’

জোকোভিচকে হারানোর পর মেনসিক বলেছেন, সার্বিয়ান তারকাই তাঁর আদর্শ

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নলছিটিতে সাব-রেজিস্ট্রারের ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে দলিল লেখকদের কর্মবিরতি

নলছিটি উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার নাহিদ জাহান মুনার বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে টানা তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন উপজেলার সকল দলিল লেখক। তাদের অভিযোগ, সাব-রেজিস্ট্রার মুনা যোগদানের পর থেকেই দলিল লেখকদের কাছ থেকে শ্রেণিভেদে অতিরিক্ত কমিশনের টাকা আদায় করে আসছেন। এমনকি প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাগজপত্র চেয়ে দলিল সম্পাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন তিনি।

দলিল লেখকরা আরও দাবি করেন, নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে পাঁচ দিন অফিস করার কথা থাকলেও সাব-রেজিস্ট্রার মুনা সপ্তাহে মাত্র দুই দিন উপস্থিত থাকেন এবং তাও আবার দুপুরে এসে বিকেলে অফিস থেকে চলে যান। গত ১৩ এপ্রিল এক দলিল লেখকের আইডি সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পর থেকে তারা দলিল সম্পাদনে বিরত থাকার ঘোষণা দেন।

২০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ অনির্দিষ্টকালীন কর্মবিরতির ফলে নলছিটি উপজেলায় জমি ক্রয়-বিক্রয়ের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে কয়েক হাজার জমির ক্রেতা-বিক্রেতা ভোগান্তিতে পড়েছেন এবং সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে। প্রবাসী, দূরদূরান্ত থেকে আসা সেবা প্রত্যাশী ও স্থানীয়রা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন লিটন জানান, সাব-রেজিস্ট্রারের হয়রানিমূলক আচরণের প্রতিবাদে এ কর্মবিরতি চলছে এবং কোনো সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত তা চলবে।

অন্যদিকে,অভিযোগ অস্বীকার করে সাব-রেজিস্ট্রার নাহিদ জাহান মুনা বলেন, এক দলিল লেখক এডিটকৃত ভোটার আইডি দিয়ে দলিল করতে চাওয়ায় তাকে শোকজ করা হয়েছে। সেই কারণেই লেখকরা একজোট হয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন।

জেলা রেজিস্ট্রার মো. মহসিন জানান, এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তবে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ