বুলেট প্রুফ গ্লাসের ওপার থেকে দেখা দিলেন সালমান
Published: 31st, March 2025 GMT
সালমান খানের বান্দ্রার বাড়ির সামনে উপচেপড়া ভিড়। নানাভাবে তাদের সামলে রাখার চেষ্টা করছেন পুলিশ। কিছুক্ষণ পরই দেখা দেন অভিনেতা সালমান খান। তবে বাড়ির বাইরে আসেননি; ভেতর থেকে কাচের দেওয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে ভক্তদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন।
‘বিংস সালমান খান’-এর অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। ক্যাপশনে লেখা, “ধন্যবাদ। ধন্যবাদ। সবাইকে ঈদ মোবারক।”
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, প্রত্যেক ঈদে ভক্তদের সামনে আসেন সালমান খান। এবারো তার ব্যত্যয় ঘটেনি। সালমানের জীবনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আগেই বাড়ির সামনের অংশে বুলেট প্রুফ গ্লাস লাগানো হয়েছে। আর সেই বুলেট প্রুফ গ্লাসের অপর প্রান্ত থেকে ভক্তদের সঙ্গে দেখা করেন ‘ওয়ান্টেড’ তারকা।
আরো পড়ুন:
মুক্তির আগেই ‘সিকান্দার’ সিনেমা ফাঁস
‘রাশমিকার সমস্যা নেই, ওর বাবারও নেই, আপনাদের সমস্যা কোথায়?’
লরেন্স বিষ্ণোই সালমান খানকে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। কেবল তাই নয়, তার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিও ছুঁড়েছে। ফলে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে কঠিন সময় পার করছেন সালমান খান ও তার পরিবার। গত বছরের ১৮ অক্টোবরও প্রাণনাশের হুমকি পান সালমান খান। এরপরও নিয়মিত শুটিং করেছেন। তবে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করেছেন আত্মবিশ্বাসী এই অভিনেতা।
সালমান খান অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সিকান্দার’। ৩০ মার্চ বিশ্বের সাড়ে ৫ হাজার পর্দায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। মুক্তির প্রথম দিনে ৩০ কোটি রুপি আয় করেছেন সিনেমাটি।
এ আর মুরুগাদোস নির্মিত সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সালমান খান। আর তার বিপরীতে রয়েছেন ৩১ বছরের ছোট রাশমিকা মান্দানা।
রাশমিকা-সালমান ছাড়াও ‘সিকান্দার’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন কাজল আগরওয়াল, সত্যরাজ, শর্মন জোশী, প্রতীক বব্বর প্রমুখ। এটি প্রযোজনা করছেন সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কর ছ ন র স মন
এছাড়াও পড়ুন:
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।