ঢাকার ছিন্নমূল মানুষের জীবনে নেই ঈদের আনন্দ
Published: 31st, March 2025 GMT
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এক মাস সিয়াম সাধনার পর সচ্ছল ব্যক্তিরা ঈদে পরিবার-পরিজন নিয়ে সাধ্যমতো আনন্দ উপভোগ করলেও ছিন্নমূল মানুষদের ঈদের দিন কাটে অন্যান্য দিনে মতোই। তারা না পান ভালো খাবার, না পান ভালো জামা-কাপড়। রাস্তায় বসে-শুয়ে কেটে যায় তাদের ঈদের দিন।
সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন দুপুরে কমলাপুর রেল স্টেশনের সামনে কথা হয় রাহেলা বেগমের সঙ্গে। তার পরনে ছেঁড়া ও ময়লা কাপড়। কোলে কাঁদছে অভুক্ত সন্তান।
রাহেলা বেগম বলেন, “ঈদ এলে অন্যরা যেমন নতুন জামা-কাপড় কিনেন, খাবার খান, ঘোরাফেরা করেন; আমরা হেডা পারি না। আমরা গরিব মানুষ, কমলাপুরের ফুটপাতে থাকি, ফুটপাতেই খাই।”
মতিঝিলে কথা হয় ভিক্ষুক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। নাম জিজ্ঞাসা করামাত্রই একটু মুচকি হেসে বলেন, “বাবা আজ ঈদ। কিন্তু, আমার গায়ে কোনো কাপড় নাই। ভিক্ষা করে কি আর ঈদ করা যায়? রোজার মাসে যে কয়টা টাকা আয় করেছিলাম, পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দিতে হয়েছে। ঈদের দিনেও ভিক্ষা করছি, আমাগো আবার কীসের ঈদ?”
টিকাটুলির ফুটপাতে থাকা জুলেখা বলেন, “দুই সন্তান নিয়ে রাস্তায় থাকি। বাঁইচা থাকতেই তো কষ্ট হয়। আমাগোও ঈদ করতে ইচ্ছা করে। কিন্তু, কী করমু? আমাগো টাকা-পয়সা নেই, থাকলে ঈদে নতুন কাপড় কিনতাম।”
নিউ মার্কেট, কারওয়ান বাজার, কমলাপুর, হাইকোর্ট এলাকা, গুলিস্তান, কাকরাইল, বিজয়নগর, মতিঝিল, আজিমপুর, বাংলা মোটরসহ বেশকিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকার রাস্তায় বসে-শুয়ে আছেন অনেকে। তাদের জীবনে নেই ঈদের আনন্দের ছোঁয়া। কেউ কিছু দেবে, সেই অপেক্ষায় আছেন তারা। ভিক্ষা কিংবা সাহায্যের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছুটছেন। কেউবা রাস্তার ধারে লাকড়ির চুলায় ভাত-তরকারি রান্না করছেন। ঈদ তাদের জীবনে কোনো ছাপ ফেলেনি।
ঢাকা/এমআর/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ১৮
ভারতের গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) গুজরাটের বনাসকাণ্ঠা জেলার ডীসা শহরে আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণ হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, তীব্র বিস্ফোরণের ফলে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে।
বনাসকাণ্ঠা জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয়রাজ মাকওয়ানা বলেন, "বিস্ফোরণের পর পরই স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার কাজ শুরু করে। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, গোডাউনের একাংশেই শ্রমিকরা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। বিস্ফোরণের সময়ও কারখানার শ্রমিকরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মারা যাওয়া চার শিশুর মধ্যে দুই জনের বয়স এক বছরেরও নিচে।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন ইয়াদভ। নিহতের পরিবারের জন্য ২ লাখ টাকা ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ঢাকা/ইভা