বরাবরের মত এবারের ঈদুল ফিতরেও বাংলা সিনেমার দারুণ সূচনা হলো দেশের মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্সে। এবারের ঈদে সিনেমা মুক্তি পেয়েছে ছয়টি। সিনেমাগুলো হচ্ছে ‘বরবাদ’, ‘দাগি’, ‘জংলি’, ‘অন্তরাত্মা’, ‘চক্কর’ ও ‘জ্বীন ৩’। এর মধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেপ্লেক্সে বরবাদ ও দাগি ৩৪ টি করে শো পেয়েছে। অন্যদিকে  চক্কর ২১টি ও জংলি পেয়েছে ১৬টি করে শো।  পাশাপাশি সিঙ্গেল স্ক্রিণে চলছে বরবাদের একচ্ছত্র আধিপত্য। ১১০টির মত সিঙ্গেল স্ক্রিণে মুক্তি চলছে। 

ঈদের দিন থেকেই স্টার সিনেপ্লেক্সে ১০ টা ৫০ মিনিট থেকে শো শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটির সবগুলো শাখাতেই একই টাইমে শুরু হয় ঈদের সিনেমার প্রদর্শণী। তার আগে চাঁদ রাত থেকেই শুরু হয় অগ্রিম টিকেট বিক্রি। মধ্যরাতে রাতে গিয়ে খবর মেলে স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখায় বরবাদ, দাগি ও জংলি-তিনটি সিনেমার টিকেটই ‘সোল্ড আউট’। যার প্রভাব দেখা গেল ঈদের সকাল থেকেই। প্রতিষ্ঠানটির সবগুলো শাখাতেই সকাল থেকে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেল। সরে জমিনে বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্সের শাখায় গিয়ে দেখা মিল টিকেট কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন। নাহ, এই দীর্ঘ লাইন কোনো হলিউডের সিনেমার জন্য নয়। কেবল ঈদে মুক্তি পাওয়া বাংলা সিনেমার দেখার জন্য আগ্রহী হয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছেন দর্শক। 

তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল কেউ এসেছেন বরবাদ দেখতে, কেউ দাগি, কেউ আবার জংলি। সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল ঈদের দিন প্রথম শো থেকেই দর্শক সন্তোষজনক।

বিষয়টি নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহউদ্দিন আহমেদ জানান, স্টার সিনেপ্লেক্স সবসময় নিজেদের দেশের সিনেমা প্রদর্শণে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এবার ঈদেও তার ব্যত্যয় ঘটছে না। ঈদের সবগুলো ছবি নিয়ে আমরা আশাবাদি। প্রথম দিনের দর্শক রেসপন্সে আমরা খুশি। বরবাদ,দাগি জংলি,চক্কর ও অন্তরাত্মাসহ সবগুলো ছবিই দর্শক রেসপন্স ভালো। 

দুপুরের শোয়ের জন্য টিকেট কাউন্টেরে খোঁজয়ে জানা যায় বরবাদ,দাগি ও জংলির শোয়ের জন্য গতকাল রাতেই অনলাইনে টিকেট সোল্ড আউট। কেবল চক্করের টিকেট পাওয়া যাচ্ছিল। তবে টিকেট কাউন্টারে যথাক্রমে তিন সিনেমার কোনোটিরই টিকেট নেই। বরবাদের টিকেট তো আগামীকালও মিলবে না। মিলবে কেবল চক্কর। 

প্রথম দিন থেকেই ঈদের সিনেমা বরবাদ, দাগি ও জংলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিনেমা বিষয়কগ্রুপগুলোতে দারুণ আলোচনা হচ্ছে। সিনেমা দেখে দেখ দর্শকরা সেই সিনেমার স্ক্রিণশট নিয়ে তাদের অভিমত জানাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো সিনেমার নেতিবাচক রিভিউ চোখে পড়েনি। সব মিলিয়ে ঈদের সিনেমার দারুণ সূচনা বলছে সবাই। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঈদ র স ন ম ঈদ র স র জন য সবগ ল বরব দ প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামী-স্ত্রীর গতিরোধ করে যুবক বললেন, ‘বিশ্বাসের মেয়েকে নিয়ে পালাচ্ছিস কোথায়? দাঁড়া সমন্বয়ক আসছে’

কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে শ্লীলতাহানি, অপহরণচেষ্টা ও মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার মামলায় মেহেদী হাসান নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বটতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এর আগে, সকালে রাজীবপুর থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারীর বাবা আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। 

গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের মরিচাকান্দি এলাকার আলীর ছেলে। 

মামলার বাদী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, ‘মেয়ে, মেয়ের স্বামী, ননদ ও দেবর দাওয়াত খেয়ে সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরছিল। তারা উপজেলার বটতলা এলাকা থেকে তাদের পিছু নেয় মেহেদী হাসান, নিশাত, মো. আশাসহ আরও কয়েকজন যুবক। পরে মরিচাকান্দি এলাকায় একটি সেতুর ওপর তাদের বহনকারী ইজিবাইকটি গতিরোধ করে তারা। এ সময় মেহেদী হাসান মেয়ে জামাই শিহাবকে বলেন, বিশ্বাসের মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছ কোথায়? তখন শিহাব উত্তরে বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে পালিয়ে নিয়ে যাব কেন? প্রয়োজনে আমার শ্বশুরের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে নিশ্চিত হন। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে মেহেদী হাসান, রঞ্জু মিয়া নামের আরেকজনকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে আসতে বলে। এ সময় তাঁর জামাই শিহাব অভিযুক্তদের কাছে জানতে চান, কাকে ডাকছেন? তখন মেহেদী বলেন, দাঁড়া আমার বড় ভাই সমন্বয়ক, সে আসছে। একপর্যায়ে আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের বহনকারী আরেকটি ইজিবাইক ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।’

ভুক্তভোগী শিহাব বলেন, ‘মরিচাকান্দি এলাকায় সেতুর ওপর গতিরোধ করে বেশ কয়েকজন যুবক। এ সময় তারা নিজেদের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে আমার স্ত্রী ও চাচাতো বোনের শ্লীলতাহানি করে এবং অপহরণের চেষ্টা করে। তারা মুক্তিপণও চায়। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে আমাদের আরও একটি ইজিবাইক সেখানে এলে তারা পালিয়ে যায়।’

রাজীবপুর থানার দায়িত্বরত এসআই আতিকুর জামান বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামি মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে কুড়িগ্রাম আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়েই চলেন তারা (মামলার আসামিরা)।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ