প্রথম দিনেই বরবাদ, দাগি ও জংলিদের দারুণ সূচনা
Published: 31st, March 2025 GMT
বরাবরের মত এবারের ঈদুল ফিতরেও বাংলা সিনেমার দারুণ সূচনা হলো দেশের মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্সে। এবারের ঈদে সিনেমা মুক্তি পেয়েছে ছয়টি। সিনেমাগুলো হচ্ছে ‘বরবাদ’, ‘দাগি’, ‘জংলি’, ‘অন্তরাত্মা’, ‘চক্কর’ ও ‘জ্বীন ৩’। এর মধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেপ্লেক্সে বরবাদ ও দাগি ৩৪ টি করে শো পেয়েছে। অন্যদিকে চক্কর ২১টি ও জংলি পেয়েছে ১৬টি করে শো। পাশাপাশি সিঙ্গেল স্ক্রিণে চলছে বরবাদের একচ্ছত্র আধিপত্য। ১১০টির মত সিঙ্গেল স্ক্রিণে মুক্তি চলছে।
ঈদের দিন থেকেই স্টার সিনেপ্লেক্সে ১০ টা ৫০ মিনিট থেকে শো শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটির সবগুলো শাখাতেই একই টাইমে শুরু হয় ঈদের সিনেমার প্রদর্শণী। তার আগে চাঁদ রাত থেকেই শুরু হয় অগ্রিম টিকেট বিক্রি। মধ্যরাতে রাতে গিয়ে খবর মেলে স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখায় বরবাদ, দাগি ও জংলি-তিনটি সিনেমার টিকেটই ‘সোল্ড আউট’। যার প্রভাব দেখা গেল ঈদের সকাল থেকেই। প্রতিষ্ঠানটির সবগুলো শাখাতেই সকাল থেকে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেল। সরে জমিনে বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্সের শাখায় গিয়ে দেখা মিল টিকেট কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন। নাহ, এই দীর্ঘ লাইন কোনো হলিউডের সিনেমার জন্য নয়। কেবল ঈদে মুক্তি পাওয়া বাংলা সিনেমার দেখার জন্য আগ্রহী হয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছেন দর্শক।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল কেউ এসেছেন বরবাদ দেখতে, কেউ দাগি, কেউ আবার জংলি। সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল ঈদের দিন প্রথম শো থেকেই দর্শক সন্তোষজনক।
বিষয়টি নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহউদ্দিন আহমেদ জানান, স্টার সিনেপ্লেক্স সবসময় নিজেদের দেশের সিনেমা প্রদর্শণে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এবার ঈদেও তার ব্যত্যয় ঘটছে না। ঈদের সবগুলো ছবি নিয়ে আমরা আশাবাদি। প্রথম দিনের দর্শক রেসপন্সে আমরা খুশি। বরবাদ,দাগি জংলি,চক্কর ও অন্তরাত্মাসহ সবগুলো ছবিই দর্শক রেসপন্স ভালো।
দুপুরের শোয়ের জন্য টিকেট কাউন্টেরে খোঁজয়ে জানা যায় বরবাদ,দাগি ও জংলির শোয়ের জন্য গতকাল রাতেই অনলাইনে টিকেট সোল্ড আউট। কেবল চক্করের টিকেট পাওয়া যাচ্ছিল। তবে টিকেট কাউন্টারে যথাক্রমে তিন সিনেমার কোনোটিরই টিকেট নেই। বরবাদের টিকেট তো আগামীকালও মিলবে না। মিলবে কেবল চক্কর।
প্রথম দিন থেকেই ঈদের সিনেমা বরবাদ, দাগি ও জংলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিনেমা বিষয়কগ্রুপগুলোতে দারুণ আলোচনা হচ্ছে। সিনেমা দেখে দেখ দর্শকরা সেই সিনেমার স্ক্রিণশট নিয়ে তাদের অভিমত জানাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো সিনেমার নেতিবাচক রিভিউ চোখে পড়েনি। সব মিলিয়ে ঈদের সিনেমার দারুণ সূচনা বলছে সবাই।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ র স ন ম ঈদ র স র জন য সবগ ল বরব দ প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রোকারেজ হাউসের আর্থিক প্রতিবেদন তৈরিতে ছাড়
শেয়ারবাজারের ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে কিছু বিষয়ে ছাড় দিয়ে ২০২৪ সালের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন তৈরির সুযোগ দিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে আলাদাভাবে নিজস্ব রূপরেখা বিএসইসিকে জানাতে হবে। তার ভিত্তিতে ‘কেস-টু-কেস’ সিদ্ধান্ত জানাবে সংস্থাটি।
গতকাল মঙ্গলবার বিএসইসির সঙ্গে শীর্ষ ২০ ব্রোকারেজ হাউসের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। লোকসানের বিপরীতে পর্যাপ্ত প্রভিশন না রেখে আর্থিক হিসাব তৈরিতে ছাড় গত ডিসেম্বরে শেষ হয়। ফলে ব্রোকারেজ হাউসগুলো বার্ষিক আর্থিক হিসাব প্রস্তুত করতে পারছিল না। এমন প্রেক্ষাপটে ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএর অনুরোধে বৈঠকটি হয়।
বিএসইসির হিসাবে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক মিলে মোট ৩৬ হাজার মার্জিন অ্যাকাউন্টে মূলধনি লোকসান রয়েছে, যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিতি রেখেছে। অনেক ব্রোকারেজ হাউসে মার্জিন ঋণের অ্যাকাউন্টে ‘নেগেটিভ ইক্যুয়িটি’ রয়েছে। এছাড়া প্রচুর ‘আনরিয়ালাইজড লস’ বা সম্ভাব্য ক্ষতি রয়েছে।
নেগেটিভ ইক্যুয়িটি হলো নিজস্ব মূলধনের বাইরে মার্জিন ঋণ নিয়ে কেনা শেয়ারের দাম যখন এতই কমে যায় যে, সব শেয়ার বিক্রি করেও ঋণের অর্থ আদায়ে ঘাটতি থাকে। শেয়ারে আনরিয়েলাইজড লস হলো– বিনিয়োগের পর বিক্রির আগে বাজারমূল্য কমে যাওয়ায় সম্ভাব্য ক্ষতি। এমন ক্ষতির বিপরীতে মুনাফা থেকে লোকসানের সমপরিমাণ অর্থ মূলধন হিসেবে সংরক্ষণ করতে হয়, যা করতে পারছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে শেয়ারবাজার ধসে মূলত ‘নেগেটিভ ইক্যুয়িটি’ তৈরি হয়েছে। ঋণে কেনা শেয়ারের বাজারমূল্য ঋণের তুলনায় ১২৫ শতাংশে নামলে ‘ফোর্স সেল’ করে ঋণ আদায় করার আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। তবে দরপতন ঠেকানোর নাম করে ২০১১ সাল থেকে বিএসইসি ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংককে ফোর্স সেল করতে বাধা দেয়। এজন্য প্রভিশন সংরক্ষণে ছাড় দিয়ে আসছিল। নতুন কমিশন আর ছাড় দিচ্ছিল না।
এ সংকট সমাধানে আলোচনার অনুরোধ জানিয়ে গত সোমবার ডিএসইর ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএর পক্ষ থেকে বিএসইসিকে চিঠি দেওয়া হয়। জানতে চাইলে আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডিবিএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও আইডিএলসি সিকিউরিটিজের এমডি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। দ্রুততম সময়ে আলোচনায় সাড়া দেওয়ায় বিএসইসিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন সমকালকে বলেন, শেয়ারবাজারে ‘নেগেটিভ ইক্যুয়িটি’ সমস্যাটি গত এক যুগেরও বেশি সময়ের, যা ‘ক্যান্সারে’ রূপ নিয়েছে। বিএসইসি বলেছে, এটি বয়ে বেড়ানোর সুযোগ নেই। ব্রোকাররাও তা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সমাধান করতে সম্মত হয়েছে। কমিশন প্রত্যেকের কাছ থেকে পৃথক পরিকল্পনা চেয়েছে। পরিকল্পনা জানানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। তবে চলতি প্রান্তিকের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।