ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও খুশির আমেজে আজ সোমবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর ঈদ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন গেল ২৫ মার্চ বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়া হামজা চৌধুরী, বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া ও অন্যান্য ফুটবলাররা।

হামজা তার ঈদ শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, ‘‘আসসালামু আ’লাইকুম সবাইকে। আমি ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদ মোবারক। আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুক। শিগগিরই দেখা হবে ইনশাল্লাহ।’’

জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘‘আসসালামু আ’লাইকুম সবাইকে। ঈদ মোবারক। আশা করি সবাই পরিবারের সাথে ঈদ উপভোগ করতেছো। সবাই ভালো থাকো। আল্লাহ হাফেজ।’’

আরো পড়ুন:

“ইনশাআল্লাহ জুনে ফিরে আসব”

‘মেসির সঙ্গে’ পরিচয় করিয়ে দিলেন জামাল, ছেত্রীর সঙ্গে তুলনায় দিলেন অন্যরকম উত্তর

ফুলব্যাক রহমত মিয়া বলেন, ‘‘রোজা আমাদের আত্মসংযম শিখিয়েছে। একে-অপরের প্রতি প্রতিহিংসা ভুলে, একে-অপরের প্রতি ভালোবাসা ছড়িয়ে দিই। সকলকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।’’

সাদ উদ্দিন ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘‘সবাইকে ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো। সবাই আত্মীয়-স্বজন, ফ্যামিলি, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঈদ উদযাপন করো। সুস্থা থাকো। ঈদ মোবারক।’’

জাতীয় দলের স্ট্রাইকার শেখ মোরসালিন বলেন, ‘‘দেশ এবং দেশের বাইরে অবস্থানরত সবাইকে ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা। আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থনই আমাদের শক্তি। এই পবিত্র দিনে সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ঈদ আপনার জীবনে সুখ শান্তি সমৃদ্ধি বয়ে আনুক।’’

গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ বলেন, ‘‘আসসালামু আ’লাইকুম। সবাইকে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। সবাইকে ঈদ মোবারক।’’

জাতীয় ফুটবল দলের নির্ভরযোগ্য লেফটব্যাক ইসা ফয়সাল বলেন, ‘‘ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। সবাইকে জানাই ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।’’

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ক্ষমতায় গেল তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি: তারেক রহমান

তিস্তা প্রকল্পের সঙ্গে উত্তরের প্রায় তিন কোটি মানুষ জড়িয়ে আছে। এরইমধ্যে বিএনপির ডাকে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এতে অনেক দলেই সমর্থন দিয়েছে। আগামীতে বিএনপি সরকারে গেলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। বুধবার নীলফামারী শিল্পকলা মিলনায়তনে বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও জনসম্পৃত্তি শীর্ষক কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান বলেন, বিএনপি কখনও কোনো মানুষের ধর্ম-বর্ণ নিয়ে বিচার করে না। বিএনপি মনে করে প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার। রাষ্ট্রে উচিত প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।

সংরক্ষিত আসন সম্পর্কে তারেক রহমান বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিতে ৫০টি আসনের পরিবর্তে আগামীতে ১০০টি সংরক্ষিত আসনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিএনপি। তবে সব দলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আসন বৃদ্ধির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের আমলে পল্লী চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল। বিএনপি আবারও রাষ্ট্রের মানুষের সেবা দানে পল্লী চিকিৎসার ব্যবস্থা চালু করবে। রোগ প্রতিরোধে যাতে মানুষের মাঝে সচেতনা বৃদ্ধি পায়, মানুষ যাতে বাড়িতে বসে প্রাথমিক চিকিৎসা পায়, এ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হবে। 

কর্মশালায় বিএনপি চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, ‘সংষ্কার ও নির্বাচন বিপরীতমুখী ঘটনা নয়। তাদের ইচ্ছে করেই মুখোমুখি করা হচ্ছে।’
 
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘যে সংস্কারের চিন্তা সরকার করছে, পাঁচ বছর আগেই তরুণ নেতা তারেক রহমান সেই সংস্কারের রুপরেখা দিয়েছেন। তারেক রহমানের সেই সংস্কারগুলো সমাজে সমাদৃত হয়েছে এবং সরকার গ্রহণ করেছে।’

বিএনপির নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকারের সভাপতিত্বে এ সময় দলের কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হিরা, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক মিসেস নেওয়াজ হালিমা আরলী, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বিএনপি নীলফামারী শাখার সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম বক্তব্য দেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল।

এছাড়া সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপি কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি আব্দুল গফুর সরকার। এখানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বেবী নাজনিন, তারেক রহমানে উপদেষ্টা মাহদি আমিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশারফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নীলফামারী জেলা শাখার সকল ইউনিটসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ