কিংবদন্তিরা ‘চুল আঁচড়ানো–শেভ করা’ নিয়ে কথা বলায় ঈদ আড্ডায় নাসিমের বিরক্তি
Published: 31st, March 2025 GMT
সাম্প্রতিক সময়ে একেবারেই ভালো ক্রিকেট খেলতে পারছে না পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও বাজেভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থতার কারণে সাবেকদের বেশ সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে বর্তমান ক্রিকেটারদের।
সমালোচনায় আপত্তি না থাকলেও অনেক সময় সমালোচনা মাত্রা ছাড়িয়ে যায় বলে অভিযোগ বর্তমান ক্রিকেটারদের। ঈদ উপলক্ষে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) উদ্যোগে আয়োজিত এক আড্ডায় সাবেক ক্রিকেটারদের একহাত নিয়েছেন পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহ। দেশের কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা খেলায় ভুল ধরার পরিবর্তে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বেশি কথা বলেন বলে মন্তব্য করেছেন নাসিম।
ঈদ উপলক্ষে আড্ডাটিতে নাসিম ছাড়াও অতিথি হিসেবে ছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ব্যাটসম্যান ফখর জামান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন সাবেক পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ।
আরও পড়ুনপাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত নন পেসার নাসিম শাহ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫অনুষ্ঠানের শেষ দিকে টেলিভিশন টক শোতে হওয়া সমালোচনার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাসিম বলেছেন, ‘একজন ভক্ত যখন এমন কিছু বলেন (ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মন্তব্য), আপনি ভাবতে পারেন, “ওহ, এই লোক কখনো ক্রিকেট খেলেনি।” আমরা যখন বাসায় যাই, তখন আমাদের ভাইয়েরাও অনেক সময় এমন এমন কথা বলে, যা শুনে আমরা বলি, “আচ্ছা ঠিক আছে, সে কখনো ক্রিকেট খেলেনি।”’
নাসিম আরও যোগ করে বলেন, ‘কিন্তু এমন, কেউ যিনি ১০ থেকে ১৫ বছর ক্রিকেট খেলেছেন (তাঁদের বলাটা দুঃখজনক)। দেখুন, পারফরম্যান্স নিয়ে আপনি কথা বলুন, কেউ ভালো বোলিং করছে না সেটা নিয়ে কথা বলুন, কেউ ভালো ব্যাটিং করছে না সেটা নিয়েও বলতে পারেন। কীভাবে ভালো হতে পারে, কোথায় ভুল ছিল, সেসব নিয়ে আলাপ হোক। কিন্তু অনেক বেশি ব্যক্তিগত বিষয় কথা বলা (উচিত নয়)।’
আরও পড়ুন‘৮ কেজি খাসির মাংস খাওয়া’ বাবরদের ফিল্ডিংকে ‘অর্ডিনারি’ বললেন গম্ভীর ২৫ অক্টোবর ২০২৩সাবেক ক্রিকেটাররা কী ধরনের সমালোচনা করেন, তা জানিয়ে নাসিম বলেন, ‘কেউ চুল কীভাবে আঁচড়েছে, কথা কীভাবে বলছে, শেভ কীভাবে করছে—এসব নিয়ে কথা বলাটা ব্যক্তিগতভাবে আঘাত করে। অথচ তাদের আমরা কিংবদন্তি হিসেবে দেখি। এখন আমরা কি তাদের এড়িয়ে যেতে শুরু করব? কারণ, তারা ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলে। আমাদের মনে হয়, “আরে এরাও আমার ভাই বা সাধারণ দর্শকদের মতো কথা বলছে।” সমর্থকদের বিষয়টা মানা যায়। কিন্তু ১০ থেকে ১৫ বছর খেলার পর এভাবে যদি কেউ কথা বলে, তবে সেটা মানা যায় না।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের জামাতে মুসল্লিদের ঢল
বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজ মসজিদে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের জামায়াত উপলক্ষে আজ সোমবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা মসজিদের প্রাঙ্গণে ভিড় জমান।
মুসল্লিদের আধিক্যের কারণে মসজিদে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসলিমদের সুবিধার্থে মূল মসজিদ কমপ্লেক্সের বাইরে উত্তর ও দক্ষিণ পাশে দুটি প্যান্ডেল করা হয়। সেখানেও মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন। সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে ইমামতি করেন খানজাহান আলী (রহ.) মাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা খালিদ।
সকাল সোয়া ৮টায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন। তৃতীয় ও শেষ জামাতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মাদ্রাসার প্রভাষক ও মৌলভীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মাসুম বিল্লাহ।
প্রতিটি জামাতে মুসাল্লিদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং কোলাকুলি মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায় তাদের। সব মিলিয়ে ঈদের জামাত উপলক্ষে ষাটগম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়। প্রথম জামাতে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসানসহ জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।