বাকিতে গরুর মাংস বিক্রি না করাকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
Published: 31st, March 2025 GMT
বাকিতে গরুর মাংস বিক্রি না করাকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ঘিরইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও ধর্মপাশা থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গতকাল রোববার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার ঘিরইল গ্রামের বাসিন্দা শামীমসহ (২৬) কয়েকজন মিলে ওই গ্রামের একটি বাড়ির উঠানে গরুর মাংস বিক্রি করার জন্য একটি ষাঁড় জবাই করেন। এ সময় একই গ্রামের বাসিন্দা হেলিম মিয়া (২৫) বাকিতে গরুর মাংস নিতে চাইলে শামীম ও তাঁর লোকজন এতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাত আটটার দিকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিস বসে ঘটনাটি মীমাংসা করে দেন।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঘিরই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শামীম ও হেলিম পক্ষের লোকজনদের মধ্যে গরুর মাংস বাকিতে না দেওয়ার ঘটনা নিয়ে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে আল আমিন (৪০), জাহাঙ্গীর (২০), আশরাফুল (৩৫), হাফিজ উদ্দিন (২৫), অনি মিয়া (২৪), হারুন (৬০), করম আলী (৬০), নুর নবীসহ (৪০) ১৫ জন আহত হন। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। আল আমিন ও জাহাঙ্গীর গুরুতর আহত হওয়ায় তাঁদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ছয়জনকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহত অন্যরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক আজ বিকেল পৌনে চারটার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘গরুর মাংস বাকিতে বিক্রি না করাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে কখন কোথায় ঈদুল ফিতরের নামাজ
ময়মনসিংহে ঈদুল ফিতরের জামাতের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলার ১৩টি উপজেলায় ঈদুল ফিতরের জামাতের সময় নির্ধারণ করে বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে অনুলিপি পাঠিয়েছেন।
ময়মনসিংহ নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়, একই মাঠে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। এতে ইমামতি করবেন হাফেজ মুফতী আব্দুল্লাল আল মামুন।
বড় মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়, মাদানীনূর মার্কাজ মসজিদ মাঠে ঈদের জামাত হবে সকাল ৭টায়, বলাশপুর ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত হবে। চরশশা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
মুক্তাগাছা বড় মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়, ফুলবাড়িয়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ঈদের নামাজ হবে সকাল ৯টায়, ত্রিশাল পৌরসভা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়, ভালুকা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়, গফরগাঁও উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ঈদের নামাজ হবে সকাল ১০টায়;
গৌরীপুর সরকারি কলেজ মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ১০মিনিটে, ঈশ্বরগঞ্জ পৌর ঈদগাহ মাঠে নামাজ হবে সকাল ৯টায়, নান্দাইল উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ঈদের নামাজ হবে সকাল ১০টায়, তারাকান্দা ঈদগাহ মাঠে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৯টায়;
হালুয়াঘাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৯টায় এবং ধোবাউড়া দর্শা ঈদগাহ মাঠে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক মো. হাবেজ আহমেদ বলেন, “সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসল্লীরা সুশৃঙ্খল ভাবে নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন।”
ঢাকা/মিলন/এস