সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ঈদের নামাজ আদায়ের সময় মাইকের যান্ত্রিক ক্রটি নিয়ে কথা কাটাকটি নিয়ে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের দমদমা গ্রামে ঈদের নামাজ আদায়ের সময় এই সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের দমদমা গ্রামে ঈদের নামাজ আদায়ের সময় মাইকের যান্ত্রিক ক্রটির কারণে দুই দলের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে অন্ততঃ ১০ জন আহত হন। আহতদেরকে কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

স্থানীয়রা জানান, দমদমা গ্রামে জামে মসজিদ চত্বরে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। কিন্তু মাইকের ত্রুটির কারণে কাতারের পেছনের লোকজন ইমামের খুতবা শুনতে পরেননি। নামাজ শেষে এ নিয়ে গ্রামের আব্দুস ছালাম মণ্ডল ও উজ্জল সরকারের দলের মধ্যে প্রথমে বাগবিতণ্ডা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে উভয়পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে উজ্জল সরকার (২৬), ছালাম মণ্ডল (৩৬), সেলিম মণ্ডল (৪২), শফিকুল ইসলাম (৪০), করিম সরকার (২৮), সোহেল রানাসহ (২৫) অন্তত ১০ আহত হন। তাদেরকে পার্শ্ববর্তী কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

রাকিবুল হাসান পুলিশ ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

এ বিষয়ে আব্দুস ছালাম মণ্ডল ও উজ্জল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা এই ঘটনার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেন এবং এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন। 

উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান সমকালকে জানান, দমদমা গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ স ঘর ষ উল ল প ড় স ঘর ষ সরক র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ছবি তুললেই লাঠিপেটা, বনানীতে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ

রাজধানীর বনানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে চালকদের আন্দোলন উত্তপ্তে রূপ নেয়। আন্দোলনের ছবি বা ভিডিও ধারণ করতে গেলেই রিকশাচালকদের হামলার শিকার হতে হয়েছে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে এলাকার যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে বনানী ১১ নম্বর রোড সংযোগ সেতুর সামনে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এই সময়ে যে কোনো ব্যক্তি ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে গেলেই চালকরা তাদের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করেন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন। তিনি রাইজিংবিডি ডটকমকে জানান, অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে আন্দোলনের ছবি তুলতেই চালকরা তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। 

তিনি বলেন, ‘‘অফিস সহকারীর সহায়তায় কোনোমতে জীবন নিয়ে ফিরে এসেছি। অটোরিকশা চালকরা বড় রামদা ও লাঠি নিয়ে যাকে পেয়েছে তাকেই আক্রমণ করেছেন।’’

বনানী সোসাইটির বাসিন্দা মোহাম্মদ আমজাদ জানান, তিনি ও তার কয়েকজন বন্ধু রাস্তায় দাঁড়ালে চালকরা তাদের লক্ষ্য করে লাঠিচার্জ শুরু করেন। ছবি তুলতে গেলে আরো বেপরোয়া হয়ে দুই বন্ধুকে গুরুতর আহত করা হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি আরো বলেন, ‘‘অটোরিকশা চালকরা বস্তি থেকে লোকজন ভাড়া করে এনে সোসাইটির বাসিন্দাদের ওপর হামলা চালাচ্ছেন। এই ঘটনার বিচার না হলে ভবিষ্যতে আরো বড় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে।’’

বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা আন্দোলন করছিল। ছবি তুলতে গেলে তারা হামলা চালিয়েছে। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

ঢাকা/রায়হান/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রানা প্লাজা ধসে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন
  • স্ট্রোক করে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতাল যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, প্রাণ গেল রোগীর
  • ছবি তুললেই লাঠিপেটা, বনানীতে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ