ঈদগাহে টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৯
Published: 31st, March 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ঈদগাহ মাঠে টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা চাঁদপুর ইউনিয়নের নিয়ামতবাড়িয়া শাহ নিয়ামতউল্লাহ ঈদগাহ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- ওই এলাকার বদর উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন (৪৬), করিমের ছেলে মুনহর শেখ (৫৫) সিজারত (৪৩), মনজু আলীর ছেলে কলম আলী (৩৮), মনছুর শেখের ছেলে আলম হোসেন (৩০), জিয়া শেখের ছেলে জিহাদ শেখ (১৮), মুজাহিদের ছেলে সাবিদ সাহা, আবু দাউদের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৫০) ও তার ছেলে বাধন শেখ (২১)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নিয়ামতবাড়িয়ার শাহ নিয়ামতউল্লাহ ঈদগাহ মাঠের পরিচালনা পরিষদের কমিটি নেই। সোমবার সকালে ঈদের নামাজ পড়ান মাওলানা সুরুজ আলী। তিনি নামাজ শেষে ঘোষণা দেন, এবার মসজিদের নামে কোনো টাকা আদায় করা যাবে না। কিন্তু, ইমামের কথা অমান্য করে স্থানীয় আলী রেজা তার লোকজন দিয়ে টাকা আদায় শুরু করেন। এ সময় তাদের টাকা আদায়ে বাধা দেন ফারুক হোসেন ও তার লোকজন। এ নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দুপুরে সরেজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসক।
আহত মনোহর শেখ ও আলম হোসেন বলেন, মসজিদের টাকা তুলতে বাধা দেওয়ায় আলী রেজা ও তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। ইটপাটকেল মেরে আমাদের অন্তত সাতজনকে আহত করেছে।
তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে আলী রেজা বলেন, ‘‘মসজিদের নামে টাকা তোলার অপরাধে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করেছে। এতে আমাদের দুই-তিন জন আহত হয়ে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো.
তবে, এ ঘটনায় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বিপাশা বৈশাখ।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ‘‘ঈদের মাঠে টাকা তোলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ল কজন মসজ দ র স ঘর ষ এ ঘটন ঈদগ হ
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনা জেলার ১৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
খুলনা জেলার ১৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ১৮৮১ সালের ২৫ এপ্রিল খুলনাকে জেলার মর্যাদা দেওয়া হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রামের পরে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প ও বন্দরনগরী ঐতিহ্যবাহী খুলনা। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রূপসা ও ভৈরব নদীর তীরে এর অবস্থান।
নদ-নদী বিধৌত হযরত খানজাহান আলীর (রহ.) স্মৃতি বিজড়িত সুন্দরবনের কোল ঘেঁষা অপরূপ এ জেলাটি লম্বা আকৃতির ও চৌকা ধরনের। দেশের প্রাচীনতম নদী বন্দরগুলোর মধ্যে খুলনা অন্যতম।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠার ১৪৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা, স্মরণিকা প্রকাশ, খুলনা মেজবানী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা আজ শিববাড়ির মোড়ে আয়োজিত সমাবেশ উদ্বোধনের পর নগরীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হবে।
খুলনার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস থেকে জানা যায়, ৪ হাজার ৬৩০ বর্গমাইল এলাকা, ৪৩ হাজার ৫০০ জনসংখ্যা অধ্যুষিত খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরাকে নিয়ে ১৮৮২ সালের ২৫ এপ্রিল গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আগে খুলনা ছিল যশোর জেলার মহকুমা।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/টিপু