বরিশাল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ বছর পর একত্রে নামাজ আদায় করতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা। এ ধরনের পরিবেশ ধরে রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তারা।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টায় নগরীর বান্দ রোডের হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রায়হান কাওছার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার, কেন্দ্রীয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোয়াজ্জেম হোসেন হেলালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেন। 

নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয়। নামাজ শেষে পরস্পরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসুল্লিরা। 

আরো পড়ুন:

সাইপ্রাসে প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন

ঈদের চাঁদ উৎসব

নগরীর আমতলা মোড়ে বরিশাল ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদে ঈদের দ্বিতীয় প্রধান জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর সদর রোডের বায়তুল মোকাররম, জামে এবাদুল্লাহ ও জামে কসাই মসজিদে সকাল ৮টায় ও সকাল সাড়ে ৯টায় দুটি করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। 

নগরীর গীর্জামহল্লার জামে কসাই মসজিদ ও চকবাজার জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে  সকাল সাড়ে ৮টায় প্রথম ও সকাল ১০টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

বরিশাল জেলায় মোট ৮ হাজার ৭৩৪টি মসজিদ রয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজার মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
 

ঢাকা/পলাশ/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ উৎসব বর শ ল মসজ দ নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

জমি নিয়ে বিরোধ, চাটমোহরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০

পাবনার চাটমোহরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নারীসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।

ঈদের পরদিন মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের ধানকুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

আহতরা হলেন- কুকড়াগাড়ি গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন, ধানকুনিয়া গ্রামের রুমা খাতুন, ইদ্রিস আলী, শাহাদৎ হোসেন, সোলাইমান হোসেন, মুক্তা খাতুন, আখিরুল ইসলাম, উজ্জ্বল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শিবলু হোসেন, ইতিয়ারা খাতুন, হৃদয় হোসেন, রাসেল হোসেন, সাথী খাতুন, শামসুন্নাহার, আবু হানিফ, আম্বিয়া খাতুন, হাবিবুর রহমান, হাবিল প্রামানিক, সলকী খাতুন। অন্যদের নাম পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, ধানকুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী ও মোন্নাফ প্রামানিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ হয়। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে ওই জমি নিয়ে দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজনই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক পাবনা জেনারলে হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। 

এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ