ঈদের দ্বিতীয় দিনে ফিলিস্তিনে নিহত ১৭
Published: 31st, March 2025 GMT
ফিলিস্তিনে ঈদের দ্বিতীয় দিনেও গাজার বাসিন্দাদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সোমবার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা অনলাইন।
গাজা উপত্যকার নুসিরাত এবং নেটজারিম করিডোরের খুব কাছাকাছি অঞ্চলে গোলা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেইর এল-বালাহে বিস্ফোরণ শোনা গেছে এবং এই অঞ্চলে তিন কৃষক নিহত হয়েছেন। সিভিল প্রতিরক্ষা দল ও প্যারামেডিকসের মতে, তাদের দেহগুলো পুনরুদ্ধার করা খুব বিপজ্জনক।
জাবালিয়ার শরণার্থী শিবিরের কাছে নিহত হয়েছে তিন জন। সেন্ট্রাল গাজার আজ-জাওয়দা এবং মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের সামরিক হামলা কমপক্ষে দুজন নিহত হয়েছে। মাগাজি শরণার্থী শিবিরে নিহত ফিলিস্তিনির মরদেহ আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর আগে ভোররাতে খান ইউনিসে সিরিজ হামলা চালিয়ে ৯জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এদিকে, দক্ষিণ শহর রাফাহতে স্থানীয়দের বাস্তুচ্যুতির নির্দেশ জারি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এখানে শিগগিরই যৌথ অভিযান শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র অ্যাভিচয়ে অ্যাড্রাই জানিয়েছেন, রাফাহ, নাসার এবং আশ-শাওকার নিকটবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের আল-মাওয়াসিতে পালিয়ে যাওয়া উচিত।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জমি নিয়ে বিরোধ, চাটমোহরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০
পাবনার চাটমোহরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নারীসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
ঈদের পরদিন মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের ধানকুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আহতরা হলেন- কুকড়াগাড়ি গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন, ধানকুনিয়া গ্রামের রুমা খাতুন, ইদ্রিস আলী, শাহাদৎ হোসেন, সোলাইমান হোসেন, মুক্তা খাতুন, আখিরুল ইসলাম, উজ্জ্বল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শিবলু হোসেন, ইতিয়ারা খাতুন, হৃদয় হোসেন, রাসেল হোসেন, সাথী খাতুন, শামসুন্নাহার, আবু হানিফ, আম্বিয়া খাতুন, হাবিবুর রহমান, হাবিল প্রামানিক, সলকী খাতুন। অন্যদের নাম পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ধানকুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী ও মোন্নাফ প্রামানিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ হয়। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে ওই জমি নিয়ে দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজনই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক পাবনা জেনারলে হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।