তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। বিশেষ করে ঈদে তাঁরা কী করেন, কোথায় যান কিংবা ছোটবেলা তাদের ঈদ কেমন ছিল- প্রায়ই এসব প্রশ্ন করেন ভক্তরা। এবার চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ জানালেন, ছোটবেলার বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

সমকাল ঈদ আড্ডায় উপস্থিত হয়ে সিয়াম বলেন, ‘আমি তখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি। ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তাম। সেখানে তো অনেক মুসল্লি। নামাজের পর কোলাকোলি শেষে দেখি আব্বু পাশে নেই। অনেকক্ষণ বাবাকে খুঁজেছি। পরে দেখি মসজিদ খালি হওয়ার পথে। বাবাকে খুঁজে না পেয়ে একটি রিকশায় করে বাড়ি ফিরি। কিন্তু বাড়ি ফিরে দেখি বাবা তখনো বাসায় আসেনি। তখন তো ফোন ছিল না। এটা আব্বুর বাবার জন্য ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ছিল। কারণ তিনি আশপাশের পুরো এলাকা আমাকে খুঁজেছেন।’

ঈদের সালামি বিয়ে সিয়াম বলেন, ‘আমি জীবনে একজনের কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি সালামি পেয়েছি, তিনি বলেন আমার বাবা। তার কাছ থেকেই আজীবন সালামি নিতে চাই। এখন সালামি নেওয়ার থেকে দেওয়ার পাল্টাটা ভারি। এখন বড় হয়েছি, তাই সবাইকে এখন সালামি দিতে হয়।’

এবার ঈদে মুক্তি পেয়েছে সিয়াম আহমেদের সিনেমা জংলি। এতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী ও প্রার্থনা ফারদিন দিঘী। আরও অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু। সিনেমার গল্প লিখেছেন আজাদ খান, চিত্রনাট্য করেছেন যৌথভাবে মেহেদী হাসান ও কলকাতার সুকৃতি সাহা। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

জমি নিয়ে বিরোধ, চাটমোহরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০

পাবনার চাটমোহরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নারীসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।

ঈদের পরদিন মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের ধানকুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

আহতরা হলেন- কুকড়াগাড়ি গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন, ধানকুনিয়া গ্রামের রুমা খাতুন, ইদ্রিস আলী, শাহাদৎ হোসেন, সোলাইমান হোসেন, মুক্তা খাতুন, আখিরুল ইসলাম, উজ্জ্বল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শিবলু হোসেন, ইতিয়ারা খাতুন, হৃদয় হোসেন, রাসেল হোসেন, সাথী খাতুন, শামসুন্নাহার, আবু হানিফ, আম্বিয়া খাতুন, হাবিবুর রহমান, হাবিল প্রামানিক, সলকী খাতুন। অন্যদের নাম পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, ধানকুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী ও মোন্নাফ প্রামানিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ হয়। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে ওই জমি নিয়ে দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজনই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক পাবনা জেনারলে হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। 

এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ