ঈদের জামাত শেষ হতে না হতেই দল বেঁধে বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে ছুটলেন তাঁরা
Published: 31st, March 2025 GMT
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ আকস্মিক ভেঙে আনুলিয়া ইউনিয়নের মানুষের ঈদের আনন্দ মলিন হতে বসেছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ইউনিয়নের খোলপেটুয়া নদীর বিছট নামক স্থানের ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রামে পানি ঢোকা শুরু হয়। বেলা ১১টার থেকে নদীতে ভরা জোয়ার হওয়ায় গ্রামের মধ্যে পানি ঢুকছে হু হু করে। ইতিমধ্যে তিনটি গ্রামে পানি ঢুকছে। বাঁধ সংস্কার না করা গেলে তিনটি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিছট গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে খোলপেটুয়া নদীর পাউবোর বেড়িবাঁধ দীর্ঘদিন ধরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিল। স্থানীয় মানুষের দাবির মুখে সাতক্ষীরা পাউবো (বিভাগ-২) ওই এলাকায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে কাজ শুরু করে। যেখানে কাজ চলছে, ঠিক তার পাশে হঠাৎ আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে বাঁধ ধসে যায়।
গ্রামের ব্যবসায়ী শওকাত হোসেন জানান, বাঁধে ধস নামার খবর জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন মসজিদের মাইকে গ্রামের মানুষ একত্র হয়ে বাঁধ মেরামতের আহ্বান জানান। কিছুক্ষণের মধ্যে হাজারখানেক মানুষ এক হয়ে বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে কাজ শুরু করেন। কিন্তু ১০টার দিকে জোয়ারের পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢোকা শুরু করে।
বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে হু হু করে ঢুকছে জোয়ারের পানি। আজ সোমবার সকালে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের খোলপেটুয়া নদীর বিছট এলাকায়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জমি নিয়ে বিরোধ, চাটমোহরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০
পাবনার চাটমোহরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নারীসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
ঈদের পরদিন মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের ধানকুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আহতরা হলেন- কুকড়াগাড়ি গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন, ধানকুনিয়া গ্রামের রুমা খাতুন, ইদ্রিস আলী, শাহাদৎ হোসেন, সোলাইমান হোসেন, মুক্তা খাতুন, আখিরুল ইসলাম, উজ্জ্বল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শিবলু হোসেন, ইতিয়ারা খাতুন, হৃদয় হোসেন, রাসেল হোসেন, সাথী খাতুন, শামসুন্নাহার, আবু হানিফ, আম্বিয়া খাতুন, হাবিবুর রহমান, হাবিল প্রামানিক, সলকী খাতুন। অন্যদের নাম পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ধানকুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী ও মোন্নাফ প্রামানিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ হয়। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে ওই জমি নিয়ে দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজনই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক পাবনা জেনারলে হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।