হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জগন মোহন রাওয়ের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং টিকিট সংক্রান্ত অনৈতিক চাপে রাখার অভিযোগ এনেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

ফ্র্যাঞ্চাইজিটির দাবি, রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ম্যাচের আগে রাও কর্পোরেট বক্সগুলো তালাবদ্ধ করে দেন এবং বিনামূল্যে অতিরিক্ত টিকিট দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য ফ্রাঞ্চাইজি হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে।

সানরাইজার্স ম্যানেজমেন্ট ইতোমধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং আইপিএল পরিচালনা কমিটিকেও বিষয়টি জানিয়েছে। তবে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে দলটি।

সানরাইজার্স এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জগন মোহন রাও আমাদের কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছেন, ব্ল্যাকমেইল করছেন। এমনকি আইপিএল শুরুর আগেই তিনি আমাদের স্টাফদের হুমকি দিয়েছেন, যা তারা প্রমাণস্বরূপ ই-মেইলে উল্লেখ করেছেন।’

সানরাইজার্স অভিযোগ করেছে, হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য স্বাভাবিক পদ্ধতি এড়িয়ে টিকিট ও পাস সংগ্রহ করতে চেয়েছেন। দলটির মতে, রাও প্রতিটি ম্যাচের জন্য ১০% টিকিট (৩৯০০টি) বরাদ্দ রাখার দাবি করেন, যা সানরাইজার্সের দেওয়া ৩৯০০টি বিনামূল্যের টিকিটের অতিরিক্ত। ফ্র্যাঞ্চাইজি এতে আপত্তি জানায়, কারণ এতে সমর্থকদের জন্য টিকিটের সংখ্যা কমে যাবে এবং টিকিট বিক্রির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

তবে ক্রমাগত চাপে পড়ে সানরাইজার্স প্রথমে ১০০০টি টিকিট বরাদ্দ দেয়, পরে এটি ২০০০-এ উন্নীত করতে বাধ্য হয়। তবে তারা জোর দেয় যে, পুরো অর্থ হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অফিসিয়াল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে একবারে পরিশোধ করতে হবে।  

সানরাইজার্স আরও অভিযোগ করেছে যে, স্টেডিয়ামের সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করেছে তারা, কিন্তু অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিজেকে এই উন্নয়নের কৃতিত্ব দিতে থাকেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা স্টেডিয়ামের রং করা, টয়লেট সংস্কার, কর্পোরেট বক্সের মানোন্নয়ন ও নতুন এয়ার কন্ডিশনার স্থাপনের জন্য বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করেছি। কিন্তু অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জগন মোহন রাও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, এসব কাজ তিনি করেছেন।’

বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য ফ্রাঞ্চাইজি হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে। দলটির দাবি, বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে চেয়েছিল তারা। তবে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কর্পোরেট বক্স তালাবদ্ধ করে ব্ল্যাকমেইল করায় তারা অভিযোগ তুলতে বাধ্য হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র জন য ঞ চ ইজ ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

ওজন কমাতে ‘ডাবল কার্বিং’ এড়িয়ে যাওয়া কেন জরুরি

ওজন কমানোর জন্য সব প্রচেষ্টা থাকার পরেও শুধুমাত্র একটি ভুলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো ‘ডাবল কার্বিং’। ফিটনেস প্রশিক্ষক ‘ইম্যানুয়েল ডিকারসন জুনিয়র’ এই বিষয়ে একটি ভিডিও তার ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করেছেন। তিনি একই সঙ্গে দুই রকম কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন। আরও বলছেন, প্রত্যেকবার খাওয়ার সময় কেবল একটি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খান। ধরুন বার্গার খাচ্ছেন, তবে তার সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাবেন না। কারণ বার্গারের পাউরুটিতে কার্ব আছে আবার ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজেও থাকছে। এর বদলে বার্গারের সঙ্গে হালকা করে প্যানে ভেজে নেওয়া সবজি খেতে পারেন। কিংবা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেলে পাউরুটি দুটি বাদ দিতে পারেন।

অনেকেই ভাতের সঙ্গে আলু ভর্তা বা আলুর তরকারি খেয়ে থাকেন। আবার বিরিয়ানি থেকে ঝালমুড়ি— সবকিছুতেই দুইরকমের কার্বোহাইড্রেট বিদ্যমান। বিরিয়ানিততে-আলু, ঝালমুড়িতে মুড়ি এবং আলু, এমনকি, বাঙালির প্রিয় মাংসের সঙ্গেও আলু থাকা জরুরি। দেখা যায় যে মুখোরচক খাবারগুলো ‘ডাবল কার্বিং’ এর অন্যতম উৎস। যেমন—মোগলাই পরোটার সঙ্গে আলুর তরকারি, আলু-পরোটা, শিঙাড়া; এই সবই ‘ডাবল কার্বিং’ এর উদাহরণ। অনেকে ভাত-রুটি একসঙ্গে খান। খিচুড়ির সঙ্গেও খাওয়া হয় আলুরদম, আলুভাজা অথবা আলুর বড়া। এসব খাবার অধিকমাত্রায় খেলে মেদ ঝরানো কঠিন হতে পারে।

‘ডাবল কার্বিং’ খাবার খেলে শরীরে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রা বেড়ে যায়। যা দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রক্তে শর্করা হঠাৎ বাড়লে আরও বেশি খাবার গ্রহণের আগ্রহ বাড়তে পারে। এতে ওজন ঝরানো কটিন হয়ে যায়।  

আরো পড়ুন:

যে অভ্যাসটি আপনার জীবনকে আমূল পাল্টে দিতে পারে

নিজের সেরা ভার্সন হতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পরামর্শ জেনে নিন

পুষ্টিবিদরা বলছেন,  প্রতিবেলায় খাবারে একটি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার রেখে তার সঙ্গে পর্যাপ্ত প্রোটিনজাতীয় খাবার রাখুন। ভাতের সঙ্গে আলু ছাড়া সব্জি অথবা পনির বা বা চিকেন রাখুন। বা লুচি-পরোটার সঙ্গে আলু ভাজির বদলে নিতে পারেন ডাল বা কম শর্করার কাচা কলার তরকারি। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ